বিক্রম ঘোষ

বিক্রম ঘোষ একজন প্রখ্যাত ভারতীয় সঙ্গীতজ্ঞ, তবলা শিল্পী বিক্রম ঘোষের জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হলে তার সঙ্গীত প্রতিভা ও বহুমুখী কাজের বিশাল তালিকা উঠে আসে। জন্ম ১৯৬৬ সালের ২০ অক্টোবর কলকাতায়, বিক্রম ঘোষ তার পরিবারিক পরিবেশ থেকেই পেয়েছেন সঙ্গীতের প্রাথমিক পাঠ।

বিভিন্ন ঘরানার সঙ্গীত সৃষ্টি করেছেন তিনি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্লাসিকাল, রক, মডার্ন, এবং ফিউশন সঙ্গীত। ২০১২ সালে রিদিমস্কেপ ব্যান্ডের দশম বার্ষিকী উদযাপনে তার মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্স প্রশংসিত হয়। বিক্রম ঘোষের ‘Transformason’ অ্যালবামটি ২০১২ সালে ইন্ডিয়ান রেকর্ডিং আর্টস একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা ফিউশন অ্যালবামের পুরস্কার জিতেছে। বাস্তবিক আঙ্গিকে, তার জীবন ও কর্মজীবন নানা দিক দিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে যা তবলা শিল্পী বিক্রম ঘোষকে আজকের উচ্চতায় নিয়ে এসেছে।

প্রারম্ভিক জীবন

প্রতিভাধর সঙ্গীতশিল্পী বিক্রম ঘোষের জন্ম ২০ অক্টোবর ১৯৬৬ সালে কলকাতায়। তাঁর পরিবারেই সংগীতের প্রেরণা পেয়ে তিনি ক্রমাগত সঙ্গীতের প্রতি একাগ্রতা বজায় রেখেছেন। বাবা পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষ এবং মা সঙ্গীতময়ী বিজয় লক্ষ্মী ঘোষের সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠা বিক্রম শৈশব থেকেই শিল্পকলা এবং সংস্কৃতির মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত করে নেন।

জন্ম

বিক্রম ঘোষের জন্ম যা কলকাতায়, তা তাকে সুগংগীত পরিবেশে জন্ম দিতে সাহায্য করে। বাবা পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষ, একজন প্রখ্যাত তবলা গুরু এবং মা বিজয় লক্ষ্মী ঘোষের শিক্ষায় বিক্রম ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

পারিবারিক প্রেক্ষাপট

বিক্রম ঘোষের পরিবার সঙ্গীতময় পরিবেশকে সমর্থন দেয়। তার বাবা পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষ ছিলেন বিখ্যাত তবলাবাদক, যিনি তার শিক্ষার প্রাথমিক ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তিনি একজন তবলা শিক্ষক হওয়ার আনন্দ সহকারে বিক্রমকে তবলা শিক্ষার সূচনা করে দেন।

শিক্ষা

বিক্রম ঘোষের শিক্ষা প্রাথমিক ভাবে শুরু হয়েছিল লা মারটিনিয়ার কলেজ এবং তারপর সন্ত জেভিয়ার’স কলেজ থেকে। উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে তিনি সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা এবং আগ্রহ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন। বিক্রম ঘোষের শিক্ষা শুধু প্রাতিষ্ঠানিক ছিল না, পরিবারের অনুপ্রেরণার মাধ্যমেও তিনি সঙ্গীত জগতে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেন।

শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ

বিক্রম ঘোষের তবলার প্রতি ভালোবাসা ও দক্ষতা একান্ত পরিবার থেকে উৎসারিত। তার বাবা পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষ ছিলেন তার প্রথম গুরু। ছোটবেলা থেকেই বিক্রম তার বাবার কাছ থেকে তবলা শিক্ষা গ্রহন করেন এবং তবলার সূক্ষ্ম ও মার্জিত কৌশল শিখেন।

আরও পড়ুনঃ  জয়নুল আবেদিন

তবলা শেখা

তবলা শিক্ষার শুরুতে বিক্রম তার বাবার প্রশিক্ষনে নিজেকে তত্ত্বিগত ও প্রয়োগিক উভয় দিক থেকেই দক্ষ করে তুলেন। এই সময়ের মধ্যেই তিনি স্বীয় দক্ষতা ও প্রতিভার প্রকাশ ঘটাতে শুরু করেন।

উস্তাদ আলি আকবর খান

বিক্রম ঘোষের গুরুদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন উস্তাদ আলি আকবর খান। আলি আকবর খানের তত্ত্বাবধানে বিক্রম তার তবলা বাদক হিসেবে তার দক্ষতার উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছান। গুরু এলিয়ার হাত ধরে তবলার জটিল ছন্দ শিখতে এবং তা প্রয়োগ করতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন।

কর্মজীবন

বিক্রম ঘোষের কর্মজীবন খুবই বিবিধ এবং সফলতার দৃষ্টান্ত। নিজের দক্ষতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি সঙ্গীত জগতে এক বিশেষ অবস্থান অর্জন করেছেন। তার কর্মজীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো।

কার্যক্ষেত্রে বিস্তার

বিক্রম ঘোষ শুধুমাত্র একজন তবলা শিল্পী হিসেবেই নয়, বরং অনেক সঙ্গীত প্রজেক্ট এবং ফিউশন সঙ্গীতে তার অসামান্য অবদানের জন্যও পরিচিত। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে অস্কারজয়ী এ আর রহমান, রবিশঙ্কর, আনুশকা শংকর প্রমুখ শিল্পীদের সাথে মঞ্চ ভাগ করেছেন। এই বৈচিত্র্যময় কর্মকাণ্ড তার কর্মজীবনের বিস্তারের প্রতিফলন।

বিখ্যাত কাজগুলো

বিক্রম ঘোষের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে অন্যতম হল ‘রিদিমস্কেপ’। এই ব্যান্ডের মাধ্যমে তিনি ফিউশন সঙ্গীতে নতুন দিক উন্মোচন করেন। এছাড়া, তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনায় নিজের মেধা ও দক্ষতার ছাপ রেখেছেন, যেমন ‘পরিনীতা’, ‘জোডি ব্রেকার্স’, ‘অমর ছবি’। তার কর্মজীবনে এই বিখ্যাত কাজগুলো তাকে সঙ্গীতপ্রেমীদের মধ্যে অমর করে তুলেছে।

Vikram Ghosh-এর ফিউশন সঙ্গীত

বিক্রম ঘোষের ফিউশন সঙ্গীত শাস্ত্রীয় ও আধুনিক সঙ্গীত প্রকল্পের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করে। তাঁর সঙ্গীতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বাদ্যযন্ত্রের মিশ্রণ ঘটে, যা শ্রোতাকে এক নতুন ধারার অভিজ্ঞতা প্রদান করে। বিক্রম ঘোষ প্রথম সঙ্গীত ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০১ সালে “Drums of India: Father and Sons” অ্যালবামটির মাধ্যমে। তারপরে ২০০৭ সালে তিনি “Pulse Setting Drums” মুক্তি দেন, যেখানে জাকির হুসেন এবং তৌফিক কোরেশি ছিলেন।

২০০৩ সালে, Sony Music এর আওতায় “Definitive Collection – Rhythms and Genre” অ্যালবাম মুক্তি পায়। ২০১২ সালে বিক্রম ঘোষের “Transformason” অ্যালবামের জন্য গ্লোবাল ইন্ডিয়ান মিউজিক একাডেমি (GIMA) পুরস্কার লাভ করেন সেরা ফিউশন অ্যালবাম শ্রেণীতে।

আধুনিক সঙ্গীত প্রকল্পেরমাধ্যমে বিক্রম ঘোষ তার সৃষ্টিশীলতার প্রমাণ দিয়েছেন যা বিভিন্ন ঘরানার মধ্য দিয়ে আবর্তিত হয়েছে। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “Tagore Lounge” অ্যালবাম তার দক্ষতার একটি চমৎকার উদাহরণ। বিক্রম ঘোষের ফিউশন সঙ্গীত নতুন প্রতিভার সাথে মিলে এক সাধারণ ধ্বনির প্রবাহ তৈরি করে, যা তাকে এই সঙ্গীত জগতে অনন্য স্থান করে দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  নুসরাত ইমরোজ তিশা

রিদিমস্কেপ ও অন্যান্য প্রজেক্ট

বিখ্যাত তবলা বাদক বিক্রম ঘোষ শুধুমাত্র সঙ্গীতে প্রতিভাশালী নন, তাঁর বিভিন্ন সঙ্গীত প্রজেক্টও তাঁকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। তিনি যখন তাঁর নিজস্ব স্টাইল এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে সঙ্গীতকে নতুন আঙ্গিকে রূপান্তর করতে শুরু করেন, তখন সেই যাত্রায় তাঁর হয়ে উঠে কিছু উল্লেখযোগ্য প্রজেক্ট। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রিদিমস্কেপ এবং ফোকট্রনিক

রিদিমস্কেপ

রিদিমস্কেপ হল একটি ফিউশন সঙ্গীত প্রজেক্ট যা বিক্রম ঘোষের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত। এই প্রজেক্টটি বিভিন্ন সঙ্গীত ঘরানার মেলবন্ধনের মাধ্যমে সৃষ্টির এক নতুন ধারা নিয়ে আসে। 2012 সালে, রিদিমস্কেপ তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম “ট্রান্সফরমেশন” প্রকাশ করে, এবং এই অ্যালবামটি ভারতীয় রেকর্ডিং আর্টস অ্যাওয়ার্ডসে “সেরা ফিউশন অ্যালবাম” পুরস্কার লাভ করে। প্রজেক্টটি সঙ্গীত উৎসাহীদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং বিক্রম ঘোষের সৃষ্টিশীলতার উৎকর্ষতায় ভরপুর।

ফোকট্রনিক

বিক্রম ঘোষের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গীত প্রজেক্ট হল ফোকট্রনিক। ফোকট্রনিক একটি পরিচ্ছন্ন সঙ্গীত উদ্যোগ যা সমকালীন ও ঐতিহ্যবাহী ফোক সঙ্গীতের মিশেলে প্রস্তুত করা হয়। এটি মুলত ডিজিটাল এবং বৈদ্যুতিক সঙ্গীতের সঙ্গে ফোক সঙ্গীতের সংমিশ্রণ নিয়ে গঠিত। এই প্রজেক্টটি ভারতীয় ফোক সঙ্গীতকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেয় এবং সঙ্গীতপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে। ফোকট্রনিক প্রকল্পটি বিভিন্নভাবে সঙ্গীত প্রজেক্টের মাধ্যমে লোকগীতির সংরক্ষণ ও প্রসারে অবদান রাখছে।

এই উভয় সঙ্গীত প্রজেক্টগুলিই বিক্রম ঘোষের প্রতিভা এবং সঙ্গীতে নতুন আঙ্গিক আনার তার অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করে। রিদিমস্কেপ এবং ফোকট্রনিক প্রজেক্টের সাথে, তিনি সঙ্গীতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এবং এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন।

সিনেমা ও টেলিভিশন

বিক্রম ঘোষের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার একাধিক সফল চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে সঙ্গীত রচনা দ্বারা সজ্জিত। টেলিভিশনে বিক্রম ঘোষের একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প ‘হঠাৎ নীরার জন্য’ নামে পরিচিত, যা অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

‘হঠাৎ নীরার জন্য’ ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সম্প্রচারিত হয়েছিল। এটি কালারস বাংলা চ্যানেলে প্রথম প্রচার হয়েছিল, যার মোট ১৫৫টি এপিসোড ছিল একমাত্র সিজনে।

এই সিরিজের প্রধান অভিনেতারা ছিলেন গৌরব চক্রবর্তী, সৌগাত বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং ঋদ্ধিমা ঘোষ। ‘হঠাৎ নীরার জন্য’ কম্পোজার ছিলেন নীল দত্ত এবং প্রোডাকশন কোম্পানি ছিল দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া। প্রথম এপিসোডটি বর্ণনা করেছিলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী।

পাওলি দাম তার ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৩ সালে বাংলা টেলিভিশন সিরিয়াল ‘জীবন নিয়ে খেলা’ দিয়ে। তিনি জনপ্রিয় হন ‘তিথির অতিথি’ এবং ‘সোনার হরিণ’ সিরিয়ালগুলি দিয়ে, যেগুলি ইটিভি বাংলায় ছয় বছর ধরে চলেছিল। ২০০৯ সালে তিনি সাতটি বাংলা সিনেমাতে উপস্থিত হন, যার মধ্যে ‘কালবেলা’ চলচ্চিত্র তাকে অনেক সুপরিচিত করে তোলে।

আরও পড়ুনঃ  অপি করিম

২০১০ সালে তিনি ‘মনের মানুষ’ চলচ্চিত্র সহ আরও এগারোটি বাংলা সিনেমাতে কাজ করেন। ২০১১ সালে ক্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রদর্শিত ‘ছত্রাক’ চলচ্চিত্রে তার অভিনয় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে। ২০১২ সালে তিনি বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন ‘হেট স্টোরি’ সিনেমায়, পাশাপাশি ‘এলার চর অধ্যায়’ সহ কিছু বাংলা সিনেমাতেও কাজ করেন। তিনি ২০১৬ সালে হায়দ্রাবাদ বাংলা ফিল্ম ফেস্টিভালে ‘নাটকের মতো’ চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য ভিউয়ার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড জেতেন।

এইসব সাফল্যের মধ্য দিয়ে বিক্রম ঘোষের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারটেলিভিশনে বিক্রম ঘোষ উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় রাখবেন বলে আশা করা যায়।

ব্যক্তিগত জীবন

বিক্রম ঘোষের ব্যক্তিগত জীবন তার জীবনের অন্যান্য দিকের মতোই সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। পরিবার এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে তিনি জীবনের বড় অংশ ভাগ করে নিয়েছেন। এই পর্বে, আমরা তার বিবাহ এবং সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানবো।

বিবাহ

বিক্রম ঘোষ ২০০৪ সালে জীবনসঙ্গী জয়া সিলকে বিবাহ করেন। বিক্রম ঘোষের বিবাহ বেশ আলোচিত ছিল এবং এর ফলে তার ব্যক্তিগত জীবন নতুন মাত্রা পায়। দুইজনই সঙ্গীতের মাধ্যমে একটা গভীর সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং বিক্রম ঘোষের ব্যক্তিগত জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে পরিচিত হন।

সামাজিক উদ্যোগ

বিক্রম ঘোষ তার কর্মজীবন ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। বিক্রম ঘোষের ব্যক্তিগত জীবন এবং সামাজিক উদ্যোগ একে অপরের পরিপূরক। তিনি রিদিমস্কেপ এবং অন্যান্য মিউজিক্যাল প্রোজেক্টের মাধ্যমে সমাজে সঙ্গীতের ভূমিকা প্রসারিত করেছেন। এছাড়াও, শিশু শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সহায়তা ক্ষেত্রে তার বিভিন্ন দানশীল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রাপ্তি ও পুরস্কার

বিক্রম ঘোষ একজন পরিশ্রমী এবং প্রতিভাবান সঙ্গীতজ্ঞ হিসাবে তার কর্মজীবনে অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। তার সঙ্গীতের অবদান শুধু জাতীয় স্তরে নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, GIMA পুরস্কার তার জীবনের উল্লেখযোগ্য পুরস্কারগুলির মধ্য অন্যতম।

GIMA পুরস্কার

বিক্রম ঘোষের পুরস্কার তালিকায় GIMA পুরস্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেছে। GIMA অর্থাৎ গ্লোবাল ইন্ডিয়ান মিউজিক অ্যাকাডেমি পুরস্কার সঙ্গীত জগতের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার হিসাবে মান্য। বিক্রম ঘোষ তার কর্মজীবনে সঙ্গীতে যে উদ্ভাবনী ও সৃষ্টিশীল অবদান রেখেছেন, তার স্বীকৃতি হিসাবে এই পুরস্কার পেয়েছেন। সঙ্গীতাঙ্গনের প্রতিটি কোণে বিক্রম ঘোষের প্রভাব অস্বীকার করা যায় না।

বিক্রম ঘোষের পুরস্কার শুধুমাত্র তার প্রতিভার প্রমাণ নয়, বরং তার সঙ্গীতের প্রতি গভীর অনুরাগ ও পরিশ্রমের ফলও। GIMA পুরস্কারের পাশাপাশি তিনি আরও অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মান অর্জন করেছেন। তার কর্মজীবন সঙ্গীতে নিত্যনতুন সুর ও ছন্দের সমারোহে ভরপুর যা সঙ্গীতপ্রেমীদের মনে স্থায়ী ছাপ ফেলেছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button