জেনে নিন বিটিএস জুংকুক সম্পর্কে সবকিছু

বিশ্বজুড়ে খ্যাতিমান দক্ষিণ কোরিয়ার বয় ব্যান্ড বিটিএস-এর কনিষ্ঠতম সদস্য জুংকুকের জীবন সম্পর্কে জানার জন্য প্রস্তুত? ১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ সালে বুসান শহরে জন্মগ্রহণ করা জুংকুক তার অনন্য কণ্ঠস্বর ও নৃত্য দক্ষতার জন্য পরিচিত। বিটিএস-এর সাথে তার যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালে, যখন বিটিএস তাদের প্রথম অ্যালবাম “2 Cool 4 Skool” দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে।

জুংকুক বিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রকল্পে অবদান রেখে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার একক গান “Begin” ও “Euphoria” বিশ্বব্যাপী চার্টে শীর্ষ স্থান দখল করেছে। তিনি কনসার্ট ট্যুরকালীন সময়ে “বিটিএস ওয়ার্ল্ড ট্যুর” এর মতো ঘটনা স্পন্দিত করেছেন যা সারা বিশ্বে অনুরাগীদের মন জয় করেছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম V Live-এ তার একক প্রচারনা ২২ মিলিয়ন দর্শকের একযোগে দেখার নজির সৃষ্টি করেছে।

Contents show

জুংকুকের প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা

জোন জুংকুক, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে জন্মগ্রহণ করেন ১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ সালে। তাঁর শৈশব কেটেছে বুসানে, যেখানে তিনি তার বাবা-মা এবং বড় ভাইয়ের সঙ্গে একটি প্রশান্ত পরিবারের মধ্যে বেড়ে উঠেছিলেন। ছোটবেলায়, জুংকুকের শৈশব ছিলো সাধারণ কোরিয়ান পরিবারের জীবন।

বিটিএস জুংকুক তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন বুসানের বায়োন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর্ব শেষে, তিনি সিউল চলে আসেন, যেখানে তিনি স্কুল অফ পারফর্মিং আর্টস সিওলে পড়াশোনা করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা নিয়ে তার প্রতিভার বিকাশ ঘটান। জুংকুকের শিক্ষা প্রক্রিয়া ছিলো মজার এবং প্রেরণাদায়ক। অল্প বয়সে, তিনি ‘সুপারস্টার কে’ নামে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিভা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ২০১১ সালে।

জুংকুকের প্রতিভা সিউলের নামকরা এজেন্সি গুলোর নজরে আসে এবং শেষ পর্যন্ত তিনি জনপ্রিয় বয় ব্যান্ড বিটিএস এ যোগ দেন। তার সঙ্গীত জীবন শুরু করার পূর্বে, জুংকুকের শৈশব সময়কাল ছিল নানা কর্মকাণ্ডে পরিপূর্ণ যা তার বর্তমান অবস্থানের ভিত্তি রেখে যায়।

বিটিএস-এ যোগদান ও তার সংগীত যাত্রা

জুংকুক, যাকে আজ মিলিয়ন ভক্তরা ভালোবাসে, তার সংগীত যাত্রা শুরু করেছিলেন শুধুমাত্র একটি স্বপ্ন নিয়ে। কিশোর বয়সে তার অসীম প্রতিভার কারণে, একাধিক এজেন্সি তার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু, তিনি বিটিএস-এ যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।

২০১৩ সালে, মাত্র পনেরো বছর বয়সে, তিনি বিটিএস-এর অংশ হন। তার কণ্ঠস্বর, দক্ষ নাচ এবং মঞ্চে দারুণ উপস্থিতি দ্রুতই তাকে ভক্তদের প্রিয় করে তোলে। বিটিএস দলের সদস্য হিসেবে, জুংকুক অসংখ্য হিট গান উপহার দিয়েছেন যা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়েছে।

বিটিএস-এর সাথে তার প্রথম দিনের স্মৃতি এখনও তার মনে জ্বলজ্বল করে। দলের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কাজ করে, তিনি শিখেছেন কীভাবে আরও ভালো পারফর্মার হওয়া যায়। এই সংগীত যাত্রা তাকে সারা বিশ্বজুড়ে অনুরাগীদের হৃদয়ে স্থান করে দিয়েছে।

জুংকুকের সংগীত যাত্রা যে শুধুমাত্র একক কোনো কৌশলে সীমাবদ্ধ ছিল না, তা প্রমাণ করে তাঁর অসাধারণ বহুমুখিতা। তিনি গান লেখায়, সুরারোপে এবং এমনকি সরাসরি পরিচালনাতেও সমানভাবে পারদর্শী।

বিটিএস-এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে “ডায়নামাইট”, “বাটার”, এবং “পারমিশন টু ডান্স”, যেখানে জুংকুকের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই গানের মাধ্যমে তারা বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের মন জয় করেছে।

বিটিএস এবং জুংকুকের সংগীত যাত্রা ভবিষ্যতে আরও নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছে তাদের বিশ্বব্যাপী অনুরাগীরা।

আরও পড়ুনঃ  কীর্তি সুরেশ

প্রারম্ভিক ব্যক্তিগত জীবন এবং অনুপ্রেরণা

বিটিএস-এর অন্যতম প্রতিভাধর সদস্য জুংকুকের জন্ম ১৯৯৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর, দক্ষিণ কোরিয়ায়। কিশোর বয়স থেকেই তার প্রাথমিক স্বপ্ন এবং ধ্রুবক অনুপ্রেরণা ছিল সংগীত এবং নাচ। তিনি অত্যন্ত প্রতিভাবান শিল্পী হিসেবে দ্রুতই নিজের পরিচিতি লাভ করেন।

প্রাথমিক স্বপ্ন এবং ধ্রুবক অনুপ্রেরণা

ছোট বেলা থেকেই জুংকুকের প্রাথমিক অনুপ্রেরণা ছিল সংগীত এবং নাচ। বিখ্যাত কোরিয়ান শিল্পীদের মতো হতে চাওয়ার স্বপ্ন তাকে অনবরত অনুপ্রাণিত করেছিল। তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর, একদিন দক্ষিণ কোরিয়ার আসল প্রতিভা শোতে অংশগ্রহণ করেন এবং সেখান থেকেই তার শিল্পী জীবনের শুরু।

নাচের প্রশিক্ষণ ও লস অ্যাঞ্জেলেস যাত্রা

জুংকুকের নাচ প্রশিক্ষণ দক্ষতা আনার জন্য তাকে লস অ্যাঞ্জেলেসে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি বিখ্যাত নৃত্য প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তিনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তার দক্ষতা যেমন বাড়িয়েছেন, তেমনিভাবে তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। লস অ্যাঞ্জেলসে নাচ প্রশিক্ষণ নিয়ে আসার পর, তার নাচের পারফরমেন্সগুলো আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে।

তার অমিত প্রতিভা এবং নিবেদিত প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, ২০১৯ সালে Gallup Korea দ্বারা পরিচালিত এক সমীক্ষায় জুংকুককে দক্ষিণ কোরিয়ার তৃতীয় জনপ্রিয় সেলিব্রিটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০২০ সালে তিনি গুগল-এ সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধিত ক-পপ আইডল হিসেবে শীর্ষে আসেন এবং তার একক সম্প্রচারে ২০২১ সালে ২২ মিলিয়ন দর্শকের নতুন রেকর্ড স্থাপন করেন।

বিটিএসের সদস্য হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান

জুংকুক বিটিএসের সদস্য হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি তার সৃজনশীলতা এবং শক্তিশালী পারফরমেন্সের মাধ্যমে ফ্যানদের মন জয় করেছেন। তার অবদান শুধুমাত্র ব্যান্ডের গানে সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিভিন্ন সলো প্রজেক্টেও তিনি সফলভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

সল-অ্যালবামগুলো

জুংকুকের সোলো অ্যালবামগুলি তার সম্ভাবনা এবং শিল্পী প্রতিভা প্রদর্শন করে। তার সজ্জনতা ও ছন্দময় সুরের মাধ্যমে তিনি ভক্তদের মুগ্ধ করেছেন। বিটিএসের গান ছাড়াও, তিনি সলো পারফরমেন্সে যেমন “ইপিফ্যানি” ও “ইউং ফরএভার” গানগুলি পরিবেশন করেছেন।

আমাদের কাছ থেকে শেখা

জুংকুকের সততা, কঠোর পরিশ্রম এবং তার সঙ্গীত ভালোবাসার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। তার জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় থেকে, আমরা সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি এবং আমাদের নিজস্ব জীবনেও তার থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারি। “বিটিএসের গান” এবং “জুংকুকের সোলো অ্যালবাম” থেকে আমরা জানতে পারি কিভাবে তিনি সংগীত এবং পারফরমেন্সের প্রতি নিজের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখেন।

জুংকুকের শিল্পী প্রতিভা

জুংকুকের শুধু গান ও নাচের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তার বিপুল শিল্পি প্রতিভাও অনস্বীকার্য।

তিনি যেমন গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ে পারদর্শী তেমনি চিত্রকলা ও আঁকা ছবির ক্ষেত্রে অসাধারণ প্রতিভাবান। জুংকুক শিল্পী হিসেবে তার ঠান্ডা এবং উৎকর্ষতায় ভরপুর কাজগুলোর জন্য পরিচিত। তার বিভিন্ন চিত্রকর্ম এবং ডিজাইনের মধ্যে দৃশ্যমান হয় তার গভীর মননশীলতা ও সৃজনশীল চিন্তাভাবনা।

  • জুংকুকের চিত্রকর্মে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় যা তার জীবনের বিভিন্ন সময়ের গল্প বর্ণনা করে।
  • গ্রাফিক ডিজাইনের ক্ষেত্রে জুংকুক জনপ্রিয়তার নতুন মাত্রা স্পর্শ করেছেন, তার করা বিভিন্ন ডিজাইন অনেকের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠে।
  • বিটিএসের বিভিন্ন অ্যালবাম এবং মিউজিক ভিডিওর জন্যও তিনি অনেক সময় নিজ হাতে ইলাস্ট্রেশন এবং কনসেপ্ট আর্ট তৈরি করেন।

জুংকুক শিল্পী হিসেবে নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছেন তার অভিনব চিন্তাভাবনা এবং দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে সংগীত জগতের বাইরেও একজন শিল্পী হিসেবে তার দখল কম নয়।

জুংকুকের প্রিয় ভিডিও গেম এবং গেমিং অভ্যাস

জুংকুক শুধুমাত্র একজন ছন্দময় গায়ক এবং নৃত্যশিল্পী নয়, তিনি একজন প্যাশনেট গেমারও। বিটিএস-এর একজন বিশিষ্ট সদস্য হিসেবে, দীর্ঘ সময় ধরে জুংকুক ভিডিও গেম খেলার মাধ্যমে নিজের মানসিক প্রশান্তি খুঁজে পান।

শুটার গেম এবং রোল-প্লেয়িং গেম (RPG) জুংকুকের প্রিয় ভিডিও গেমের প্রকারভেদগুলির মধ্যে অন্যতম। তিনি ‘কলে অফ ডিউটি’, ‘ওভারওয়াচ’ এবং ‘ফাইনাল ফ্যান্টাসি’ সিরিজের মতো বিখ্যাত গেমগুলির ভক্ত।

আরও পড়ুনঃ  অপু বিশ্বাস

জুংকুকের গেমিং অভ্যাস তাকে অফুরন্ত আনন্দ দেয়, পাশাপাশি তাঁর লক্ষ্য অর্জনে সহায়তাও করে। তিনি কখনো কখনো তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর গেমিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, যা তাঁর ফলোয়ারদের মাঝে বড় আনন্দ নিয়ে আসে।

  • আবেগপূর্ণ সার্ভার সংযোগ স্থাপন
  • বন্ধুদের সাথে দীর্ঘ রাতব্যাপী গেমিং সেশন
  • নতুন গেমগুলির পরীক্ষা ও পর্যালোচনা

জুংকুকের গেমিং শুধুমাত্র বিনোদন নয়, এটি তাঁর সৃজনশীলতার অংশ। তিনি বিভিন্ন গেম প্লে করে নতুন অনুপ্রেরণা এবং ধারণা পান। এই অভ্যাস তাকে দীর্ঘ সময় ধরে সমসাময়িক গেমিং সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত রেখেছে এবং জুংকুক ভিডিও গেম মাধ্যমে তার ফ্যানবেজের সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ স্থাপন করে আসছেন।

বিটিএস রিয়েলিটি শোতে জুংকুকের অবদান

বিটিএসের বিভিন্ন রিয়েলিটি শোতে জুংকুকের অবদান সবসময়ই উল্লেখযোগ্য। তাঁর অদম্য সৃজনশীলতা, প্রাকৃতিক হাস্যরস, এবং ইন্টেলিজেন্স তাকে অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আলাদা করে তোলে। বিটিএস রিয়েলিটি শোতে তিনি প্রায়শই দলের ভক্তদের সামনে একটি নতুন দিক তুলে ধরেন, যা তাদের সবার ভালোবাসার কারণ।

অসংখ্য বিটিএস রিয়েলিটি শো-তে জুংকুকের অংশগ্রহণ গ্রুপের ভক্তদের জন্য প্রতিটি বিষয়ে নতুন আকর্ষণ যুক্ত করেছে। তাঁর পৃথক ব্যক্তিত্ব এবং বিটিএসের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা রিয়েলিটি শোতে প্রজ্বলিত হয়, যা দর্শকদের প্রেরণা যোগায়।

  • জুংকুকের নেতৃত্বগুণ এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রতিফলন
  • বিটিএসের সদস্যদের সাথে জুংকুকের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
  • নাচ ও গান শিক্ষার প্রক্রিয়ায় জুংকুকের অবদান

বিটিএসের প্রতিটি রিয়েলিটি শোতে জুংকুক রিয়েলিটি শো এর মূল আকর্ষণের অংশ হয়ে উঠছেন। তাঁর কাজ ও মনোযোগ বিটিএসকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে, যা দলের অন্যান্য সদস্যদেরও অনুপ্রেরণা জগতে উৎসাহিত করেছে।

Jungkook-এ মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সচেতনতা

Jungkook-এর মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সচেতনতা আজকের নিরন্তর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন বিখ্যাত শিল্পী হিসেবে, Jungkook তার অনন্য দায়িত্ববোধে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন।

বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ১ শতাংশ মানুষের মধ্যে বাইপোলার ডিসঅর্ডার দেখা যায়, যা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, প্রায় ৩% মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে অনুমান করা হয়। সাধারণত লক্ষণগুলি ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে শুরু হয়, যা Jungkook এবং অন্যান্য তরুণদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা চিহ্ন। যথাসময়ে চিকিৎসা না পাওয়া রোগের আসে তার মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি খারাপ প্রভাব ফেলে।

Jungkook মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নিজের অভিজ্ঞতাগুলি প্রকাশ করে ভক্তদের সাথে শেয়ার করেছেন। তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। যেমন, তিনি নিজের মতামত ও আশঙ্কা প্রকাশ করে, অন্যদেরও নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে উৎসাহিত করেন।

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সামগ্রিকভাবে সমাজে বড় প্রভাব ফেলে। বাইপোলার ডিসঅর্ডার বিশ্বজুড়ে অক্ষমতার শীর্ষ ২০টি কারণগুলির মধ্যে একটি। Jungkook সবার কাছে এই বার্তাটি পৌছাতে চান যে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

তাঁর প্রচেষ্টা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সচেতনতা বার্তা অনেক তরুণ প্রজন্মকে সাহস দেয় এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে উৎসাহিত করে। জুংকুক মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা ও তার অভিজ্ঞতা দিয়ে অনেককে প্রভাবিত করেছেন এবং তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করেছেন।

এভাবে, Jungkook-এর মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সচেতনতা প্রচেষ্টা সবার জীবনকে আরো সমৃদ্ধ ও সুস্থ করে তোলে। তার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করার অনুপ্রেরণা পান অনেকেই।

জুংকুক এবং তাঁর পোষা কুকুর জেওন ব্যাম

জুংকুকের কুকুর জেওন ব্যাম শুধু একটি পোষা প্রাণীই নয়, বরং একটি পরম বন্ধুও বটে। জুংকুকের পক্ষে জেওন ব্যাম একটি বড় সহায়ক হয়ে উঠেছে, যা তার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

জেওন ব্যাম একটি ডোবর্ম্যান প্রজাতির কুকুর এবং ইন্টারনেটে এর জনপ্রিয়তা প্রচুর। বিটিএস সদস্য হিসেবে তার কর্মজীবন যেমন ব্যস্ত থাকে, তেমনই জুংকুকের কাছে জেওন ব্যাম যেন সবসময় একটুকরো প্রশান্তি এনে দেয়। সাধারণত ব্যস্ত সময়সূচীর মধ্যে, যখনই সুযোগ পান, জুংকুক তার কুকুরের সাথে খেলে, সময় কাটাতে ভালোবাসেন।

আরও পড়ুনঃ  কারিনা কাপুর

জুংকুকের কুকুর জেওন ব্যাম তার পরিবার এবং ভক্তদের কাছেও একটি প্রিয় নাম হয়ে উঠেছে। ভক্তদের মাঝে ইন্টারনেটে জেওন ব্যামের নানা ছবি এবং ভিডিও শেয়ার হওয়া এক সাধারণ দৃশ্য। এছাড়াও, বিভিন্ন সময়ে বিটিএস সদস্যরা তাদের রিয়েলিটি শো এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় জেওন ব্যামের উপস্থিতি শেয়ার করেন, যা ভক্তদের মাঝে অনেক আন্তরিকতা প্রদান করে।

সংক্ষেপে বলা যায়, জুংকুকের কুকুর জেওন ব্যাম কেবলমাত্র একটি পোষা প্রাণী নয়, বরং জুংকুকের জীবনের অত্যন্ত মূল্যবান অংশ, যা তার মানসিক ভারসাম্য রক্ষায় অপরিসীম ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

बিটিএস এর সাথে পুরস্কার এবং সম্মাননা

জুংকুক এবং বিটিএস একটি বিশেষ সাফল্য ও সম্মাননার পদচারণা গড়েছে, যা কেবল কল্পনাই করা যায়। এই সাফল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন নিম্নে তুলে ধরা হলো:

অর্ডার অফ কালচারাল মেরিট

২০১৮ সালে, জুংকুক এবং তার বিটিএস দলের সদস্যরা পেয়েছিল বিখ্যাত অর্ডার অফ কালচারাল মেরিট পদক, এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতির জন্য একটি বড় সম্মান। জুংকুক, তার অন্যান্য ৬ জন সদস্যদের সাথে, ৫ম শ্রেণীর Hwagwan Order of Cultural Merit পদক অর্জন করেন এবং এ সম্মানপ্রাপ্ত কনিষ্ঠতম ব্যক্তি হন। এটি ছিল কেবলমাত্র বিটিএস পুরস্কার এর মধ্যে অন্যতম একটি।

গ্লোবাল সফলতার কাহিনী

বিটিএস-এর সাথে জুংকুক আন্তর্জাতিক মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন পুরস্কার ও স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তাদের অ্যালবাম এবং গানের জনপ্রিয়তা তাদের গ্লোবাল আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। কিছু চমৎকার সাফল্য নিম্নে তুলে ধরা হলো:

  • বিটিএস কোনও কোরিয়ান গ্রুপ হিসেবে প্রথমবারের মতো ২০২০ সালে গ্র্যামি তে মনোনীত হয়েছিল।
  • জুংকুকের ‘ইউফোরিয়া’ গানটি কোরিয়ান আর্টিস্টদের মধ্য ঘুর্নিঝড়ের মতো প্রভাব ফেলেছে, যা ৪ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।
  • বিটিএস ২৬.৭ বিলিয়ন ভিউস অর্জন করেছে ইউটিউবে, যা পৃথিবীর সবচেয়ে দেখাশোনা করা আর্টিস্টদের মধ্যে অন্যতম।
  • ২০২২ সালে, জুংকুক পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডে “কোলাবোরেশন অফ ২০২২” পুরস্কার জিতেছেন চার্লি পুথের সাথে ‘লেফট অ্যান্ড রাইট’ এর জন্য।

এইসব পুরস্কার ও সম্মাননা কেবলমাত্র তাদের ক্ষমতার প্রমাণই নয় বরং বিশ্বব্যাপী দর্শকদের প্রতি ভালবাসা ও সমর্থনের সাক্ষ্য দেয়।

২০২২ সালে প্রকাশিত আত্মজীবনী সহ অন্যান্য কাজ

২০২২ সালে জুংকুকের আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়, যা তাঁর ভক্তদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই জুংকুক আত্মজীবনী ভক্তদের তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, বিটিএসের সঙ্গে সংগীত যাত্রা এবং অনুপ্রেরণামূলক গল্পগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তাঁর কাজ এবং জীবন নিয়ে এই বইটি অসংখ্য ভক্তের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করেছে।

জুংকুকের আত্মজীবনীর পাশাপাশি, বিটিএস সদস্যদের জীবন ও কর্ম নিয়ে আরও বিভিন্ন বিটিএস বই প্রকাশিত হয়েছে। এই বইগুলো বিটিএসের যাত্রা, সাফল্য এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করে। ভক্তরা এই সমস্ত বইয়ের মাধ্যমে তাঁদের প্রিয় স্টারের জীবনের নানা প্রেক্ষাপট ও দিক জানার সুযোগ পাচ্ছেন।

এই বইগুলো শুধুমাত্র বিনোদনমূলক নয়, বরং শিক্ষামূলকও। যেমন করে বিটিএসের সদস্যরা তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং সাহসিকতার মাধ্যমে কিভাবে গ্লোবাল মঞ্চে সাফল্য অর্জন করেছেন, তা এসব বইয়ের মাধ্যমে জানা যায়। গবেষণা এবং প্রামাণ্য তথ্যের ভিত্তিতে রচিত এই বইগুলো ভক্তদের জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্ত কিভাবে আরো অর্থবহ করা যায় সেই প্রেরণা প্রদান করে।

এছাড়াও, বইগুলোতে দেখা যায় কিভাবে জুংকুক এবং তাঁর সদস্যরা নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছেন এবং প্রতিনিয়ত নিজেদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এই মূল্যবান অভিজ্ঞতা গুলো কেবলমাত্র জুংকুক আত্মজীবনী নয়, বরং অন্যান্য বিটিএস বই গুলোর মাধ্যমেও পাঠকদের মাঝে সঞ্চারিত হয়েছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button