পেটের ডান পাশে ব্যথা কেন হয়?

পেটের ডান পাশ ব্যথা নানা কারণের জন্য হতে পারে। তীব্র বা মৃদু—সব ধরনের আকস্মিক বা দীর্ঘস্থায়ী পেটে ব্যথার কারণ গভীর একটি বিস্তৃতি রয়েছে। অনেক সময় সাধারণ পাচনতন্ত্রের অস্বস্তি থেকে শুরু করে অ্যাপেনডিসাইটিসের মতো গুরুতর সমস্যাও এই ব্যথা ঘটাতে পারে। পরিসংখ্যান বলে দেয় যে, পেটের ডান পাশের প্রায় ৭৫% তীব্র ব্যথা অ্যাপেনডিসাইটিসের কারণে হয় এবং গলব্লাডারের সমস্যাজনিত ব্যথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের ১০-১৫% প্রভাবিত করে।

পেট ব্যথা প্রতিকার এর সঠিক উপায় সনাক্ত করা হয় ডান পাশের পেটের ব্যথার অন্তর্নিহিত কারন বুঝে। ইনফামেটরি বাওয়েল ডিজিজের আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান বলে যে ১-২% প্রাপ্তবয়স্ক এদের প্রভাবে ভুগছেন, যেখানে ক্রোন’স ডিজিজ সাধারণত লোয়ার রাইট এবডোমেনে অবস্থিত টার্মিনাল ইলিয়ামকে প্রভাবিত করে। আবার লিভারের রোগের মতো হেপাটাইটিস এবং সিরোসিসে পেটের উপরের ডানদিকে আঘাতের জন্য দায়ী হতে পারে। এসব তথ্যের অবতারণা করা জরুরি যাতে রোগী এবং চিকিৎসকেরা সচেতন হয়ে উপযুক্ত প্রতিকারগুলি অবলম্বন করতে পারেন।

Contents show

ডান পাশের পেটের ব্যথার সাধারণ কারণ

পেটের ডান পাশের ব্যথা প্রায়শই বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত জটিলতার ইঙ্গিত দেয়, যা তীব্র থেকে হলকা ব্যথায় প্রকাশ পেতে পারে। এই ব্যথার প্রধান কারণগুলো হল খাদ্যনালী সমস্যা এবং পাচনতন্ত্রের জটিলতা, যা অনেক সময় আমাদের জীবনযাত্রার ধরণ এবং খাদ্যাভ্যাসের প্রতিফলন ঘটায়। এছাড়াও, লিভারের রোগ এবং গলব্লাডারের সমস্যা এসবের মাঝে প্রধান ভূমিকা রাখে।

খাদ্যনালী এবং পাচনতন্ত্রের সমস্যা

খাদ্যনালীর সমস্যা যেমন গ্যাস্ট্রোএসোফাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এবং বিভিন্ন পাচনতন্ত্রের জটিলতা যেমন ইরিটাবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (IBS) ডান পাশের পেটের ব্যথার মূল কারণ হতে পারে। এগুলি প্রায়ই খাদ্যগ্রহণের পর খাদ্যনালীতে এসিডের বিপর্যয় ঘটায়, যা পেটের ব্যথা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে।

লিভার এবং গলব্লাডারের সমস্যা

লিভারের রোগ যেমন হেপাটাইটিস বা ফ্যাটি লিভার এবং গলব্লাডারের সমস্যা যেমন পাথর বা চোলিসিস্টাইটিস ডান পাশের পেটব্যথার প্রচলিত কারণ। লিভার ও গলব্লাডারের যেকোনো অস্বাভাবিকতা বা প্রদাহ সঙ্গে সঙ্গে প্রভাব ফেলে পেটের ডান পাশে, যা অস্বস্তি ও ব্যথায় প্রকাশ পেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  স্বপ্নদোষ হলে শরীর দুর্বল হয় কেন

অ্যাপেনডিসাইটিস: একটি সাধারণ সমস্যা

অ্যাপেনডিসাইটিস হচ্ছে অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ, যা অনেক সময় পেটের ডান পাশে তীব্র ব্যথার কারণ হতে পারে। এই সমস্যাকে উপেক্ষা করলে এটি জটিলতায় পরিণত হতে পারে, তাই অ্যাপেনডিসাইটিস লক্ষণ সমূহ সনাক্ত করা ও অ্যাপেনডিসাইটিস চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা জরুরি।

অ্যাপেন্ডিক্সের অবস্থান

অ্যাপেন্ডিক্স আমাদের বৃহদান্ত্রের প্রথম অংশে অবস্থিত একটি ছোট টিউবের মতো অংশ, যা সাধারণত পেটের ডান নিচের দিকে পাওয়া যায়। এর প্রদাহ অনেক সময় অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথাকে ট্রিগার করে, যা স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি করতে পারে।

লক্ষণ ও সংকেত

  • পেটের ডান দিকে হঠাৎ ব্যথা করা, যা শরীর চলাচলে বাড়তে থাকে।
  • বমি বমি ভাব, বমি হওয়া অথবা জ্বর হয়ে থাকে।
  • অ্যাপেনডিসাইটিস লক্ষণগুলো ডাক্তার কর্তৃক সরাসরি পরীক্ষা এবং অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে নির্ণীত হতে পারে।

চিকিৎসার পদ্ধতি

অ্যাপেনডিসাইটিস চিকিৎসা সাধারণত অ্যাপেন্ডেক্টমি নামক অস্ত্রোপচার দ্বারা করা হয়, যেখানে প্রদাহিত অ্যাপেনডিক্স অপসারণ করা হয়। এছাড়াও, প্রয়োজন অনুযায়ী এন্টিবায়োটিকস ও অন্যান্য সমর্থনমূলক চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়। তীব্র অ্যাপেনডিসাইটিসের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি।

তলপেটের পেশী বা হাড়ের আঘাত

জিম বা অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপে অত্যধিক পরিশ্রম এবং ভুল পদ্ধতিতে ব্যায়াম করার ফলে মাঝে মাঝে তলপেটের পেশীতে আঘাত পাওয়া সাধারণ ঘটনা। এই ধরনের পেশীর আঘাত কখনো কখনো গুরুতর রূপ নিতে পারে, যা পেশী ব্যথা চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করে।

জিম বা শারীরিক ক্রিয়াকলাপের প্রভাব

ভুল পদ্ধতিতে ওজন তোলা বা হঠাৎ করে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বাড়িয়ে দেওয়া তলপেটের পেশীর আঘাত ঘটাতে পারে। এসব ক্রিয়াকলাপে যথাযথ পদ্ধতি ও পরিমাপ অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি।

ক্ষীণ পেশী এবং ডাক্তারি পরীক্ষা

যদি পেশী ব্যথা বাড়তে থাকে বা কোনো পেশীর ফোলাভাব দেখা দেয়, তবে তা ক্ষীণ পেশী বা পেশীর আঘাতের নির্দেশ করতে পারে। এমন ক্ষেত্রে, অবশ্যই যত্নশীলভাবে ডাক্তারি পরীক্ষা প্রদান করা উচিৎ, যাতে সময়মতো চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়। নিয়মিত পরীক্ষা ও সঠিক চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে আঘাত থেকে পুনরুদ্ধার এবং পেশী ব্যথা চিকিৎসা সম্ভব হয়।

পেটের ডান পাশে ব্যথার অন্যান্য চিকিৎসা

ডান পাশের পেটের ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য আধুনিক মেডিকেল পরীক্ষাগুলি অত্যন্ত জরুরী। এসব পরীক্ষার মধ্যে আলট্রাসনোগ্রাম একটি প্রধান পদ্ধতি।

আলট্রাসনোগ্রাম এবং অন্যান্য পরীক্ষা

পেটের ব্যথা পরীক্ষা যেমন আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে ডাক্তাররা পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির ছবি পান, যা দিয়ে তারা পিত্তপাথর, পিত্তনালীর সংক্রমণ, এমনকি টিউমারের মতো গুরুতর অসুস্থতা চিহ্নিত করতে পারেন। এই পরীক্ষাগুলি শুধু নির্ণায়ক নয়, বরং চিকিৎসাপূর্ব পরিকল্পনা তৈরিতেও সাহায্য করে।

ওষুধের চিকিৎসা

আলট্রাসনোগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী ওষুধ চিকিৎসা নির্ধারণ করা হয়। পেটের ব্যথা মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ যেমন ব্যথা নিরাময়কারী, প্রদাহ প্রতিরোধকারী ওষুধ, এবং মাঝে মাঝে অ্যান্টিবায়োটিকস প্রদান করা হয়। এগুলি শুধুমাত্র সঠিক ডায়াগনোসিসের পর প্রেসক্রাইব করা হয়, যাতে কোনো অসুস্থতা দ্রুত ও কার্যকরীভাবে নিরাময় করা যায়।

  • ব্যথা নিরাময়কারী ওষুধ প্রদান
  • প্রদাহ প্রতিরোধকারী ওষুধ
  • নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি
আরও পড়ুনঃ  প্রেসার লো হলে কি খেতে হবে?

সঠিক চিকিৎসাপদ্ধতি ও পরীক্ষাগুলির সমন্বয়ে ডান পাশের পেটের ব্যথা সহজেই মোকাবেলা করা সম্ভব।

পেটে ব্যথার সময় কবে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে

পেটের ব্যথা যখন অসহ্য হয়ে ওঠে বা দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যথা স্থায়ী হয়ে থাকে, তখন তা জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। জানা জরুরি যে কোন লক্ষণগুলি বিশেষ মনোযোগের দাবি করে।

গুরুতর লক্ষণসমূহ

  • পেটের ব্যথার সাথে যদি উচ্চ জ্বর আসে।
  • বমি বা ডায়রিয়া শুরু হলে যা নিয়ন্ত্রণহীন মনে হয়।
  • ব্যথা যদি হঠাৎ শুরু হয়ে গুরুতর ব্যথা হয় এবং বেড়ে চলে।
  • দেহের অন্যান্য অংশে, যেমন পিঠ বা কোমরে ব্যথা ছড়িয়ে পড়লে।

জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা

এই ধরনের গুরুতর লক্ষণগুলি উপেক্ষা করা যাবে না। এগুলি অবশ্যই জরুরি চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। সঠিক চিকিৎসা ও সময়মতো নির্ণয় যেকোনো জটিলতা এড়াতে এবং দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়ক হতে পারে।

সুতরাং, এরূপ গুরুতর ব্যথা এবং অন্যান্য সংকটজনক লক্ষণ দেখা দিলে, দেরি না করে তাৎক্ষণিক ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় ডান পাশে ব্যথার কারণ

গর্ভাবস্থা একটি নারীর জীবনের এমন এক সময় যখন তার দেহে অনেক রকমের পরিবর্তন ঘটে। এসব পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে হরমোনের পরিবর্তন এবং বাড়তি শারীরিক চাপ, যা প্রায়ই গর্ভাবস্থার ব্যথা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে ডান পাশের পেটে ব্যথা অনেক সময় অ্যাপেনডিসাইটিসের সাথে গুলিয়ে ফেলা হয় যা গর্ভাবস্থার দ্বিতীয়ার্ধে আরও জটিল হতে পারে।

হরমোন পরিবর্তন এবং শারীরিক চাপ

হরমোনের পরিবর্তন গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং এটি শারীরিক চাপ বৃদ্ধি করে। হরমোন রিল্যাক্সিন এবং প্রোজেস্টেরন পেশীগুলিকে শিথিল করে দেয়, যা জয়েন্ট এবং লিগামেন্টগুলিতে পরিবর্তন এনে দেহের বিভিন্ন অংশে ব্যথা সৃষ্টির কারণ হতে পারে।

গর্ভাবস্থা ও অ্যাপেনডিসাইটিসের সম্পর্ক

গর্ভাবস্থায় অ্যাপেনডিসাইটিস একটি বিরল কিন্তু গুরুতর সমস্যা যা ডান পাশের পেটে ব্যথার প্রধান কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থার সময়ে অ্যাপেনডিক্সের অবস্থান পরিবর্তিত হয়, যার ফলে নির্ণয় করা কঠিন হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় যেকোনো ধরনের ব্যথা বা অস্বাভাবিক উপসর্গের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যত্নশীল মনিটরিং এবং সঠিক চিকিৎসা গুরুতর জটিলতা এড়াতে সহায়ক হতে পারে।

খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব

স্থানীয় এবং বিশ্বজুড়ে গবেষণা দেখায় যে, খাদ্যাভ্যাস আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং স্বাস্থ্যে গভীর প্রভাব রেখে চলেছে। বিশেষত, ক্যাফেইনের প্রভাব এবং অ্যালকোহলের প্রভাব এর মাত্রাতিরিক্ত সেবন পেটে ব্যথার কারণ হতে পারে। এছাড়া, বিভিন্ন খাদ্য এলার্জি বিষয়ক সমস্যাও পেটের ডান পাশে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  ঢোক গিলতে গলা ব্যথা কেন হয়?

ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহলের প্রভাব

ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল উভয়ই পাকস্থলী এবং অন্ত্রের ক্রিয়াকলাপের উপর প্রভাব ফেলে, যা প্রায়ই পেটে ডান পাশে ব্যথার সৃষ্টি করে। এই প্রাণীসমূহ যখন আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা হয়, তখন তা পাকস্থলীর অম্লতা বৃদ্ধি পায় এবং এতে করে অন্ত্রের জটিলতা সৃষ্টি হয়।

খাদ্যসংক্রান্ত এলার্জি

খাদ্য এলার্জি আরেক গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর যা পেটের ডান পাশে ব্যথাকে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে, গম বা ডেইরি পণ্যের প্রতি অসহিষ্ণুতা যেমন গ্লুটেন এবং ল্যাকটোজ এলার্জির কারণে অনেকেই পেটে আস্তরণী চাপ এবং ব্যথা অনুভব করে থাকেন। এই এলার্জি প্রতিক্রিয়াগুলি শরীরে প্রদাহ এবং এনজাইমের তারতম্য সৃষ্টি করে, যা পরিপাক তন্ত্রে চাপ সৃষ্টি করে।

এই ধরনের খাদ্যাভ্যাস এবং অভ্যাসগুলির উপর নজর রাখা এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন আনা শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সচেতন খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে নানান অনাকাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

পেটের ডান পাশে ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার

পেট ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যাকে ঘরে বসেই মোকাবিলা করা যেতে পারে, বিশেষত যদি তা হালকা প্রকৃতির হয়। এ সমস্যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘরোয়া প্রতিকার এবং বিশ্রাম উপায় সমূহ সাহায্যকারী হয়। পেটের ডান পাশে ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন গ্যাসের জমাট বাঁধা, পাচনতন্ত্রের অস্বাভাবিকতা, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, ডিম্বাশয়ের সিস্ট, ইক্টোপিক গর্ভধারণ, পিত্তপাথরী, নেফ্রোলিথিয়াসিস, মলের জমাট বেঁধে যাওয়া, এবং NSAIDs এর অত্যধিক ব্যবহার ইত্যাদি। এই ব্যথা সাময়িকভাবে হলে কিংবা কোন গুরুতর জটিলতা না থাকলে নিজেই ব্যাবস্থা নিতে পারেন।

বিশ্রাম এবং হালকা ব্যায়াম

যখন আপনার পেটের ডান পাশে ব্যথা অনুভূত হয়, তখন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আরামদায়ক অবস্থান গ্রহণ করুন এবং চাপ মুক্ত রাখুন। পেট ব্যথা প্রতিকারের জন্য হালকা ব্যায়াম যেমন হালকা হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং ব্যথা হ্রাস পাওয়াতে সহায়ক হতে পারে। আরো কিছু সহজ ব্যায়াম যেমন যোগা বা পাইলেটিস পেটের পেশী শিথিল করতে এবং ব্যথা হ্রাসে উপকারী।

তাত্ক্ষণিক প্রতিকার

প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যথা হলে গভীর শ্বাস নেওয়া বা গরম জলের ব্যাগ ব্যবহার করে ম্যাসাজ করা, ব্যথার তাত্ক্ষণিক প্রতিকারে কাজ করতে পারে। তবে ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং বাড়তে থাকে, তবে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ঘরোয়া প্রতিকার যেমন অতিরিক্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ঔষধের ন্যায্য ব্যবহার সাময়িক উপশম প্রদান করতে পারে কিন্ত চিকিৎসা না করলে অবস্থা জটিল হতে পারে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button