পাইলস এর লক্ষণ

পাইলস, যা অর্শ্বরোগ নামে পরিচিত, হল মলদ্বার এবং রেকটামে অবস্থিত শিরাগুলির প্রদাহ এবং সংক্রমণের ফলে হওয়া এক অস্বস্তিকর অবস্থা। পাইলসের প্রাথমিক চিহ্ন হিসেবে চুলকানি, অস্বস্তি, এবং মলত্যাগের সময়ে রক্তক্ষরণ অন্যতম। এই হেমোরয়েডের সাধারণ উপসর্গগুলি নিজে নিজে চিনে নিতে পারলে প্রাথমিক পর্যায়েই চিকিত্সা করা সম্ভব।

হেমোরয়েডের প্রকারভেদ অনুসারে, পাইলস হতে পারে বাহ্যিক অথবা অভ্যন্তরীণ, এবং মলদ্বারের খোলার উপরে নির্ভর করে এগুলির লক্ষণের ধরনও ভিন্ন হয়। পাইলসের উপসর্গের ধরন বুঝতে সক্ষম হলে সঠিক চিকিৎসা এবং পরিবর্তিত জীবনযাপনের মাধ্যমে এই সমস্যার অগ্রগতি কমানো সম্ভব হয়।

Contents show

পাইলস কি?

পাইলস বা হেমোরয়েড বা অর্শ্বরোগ, বুঝায় মলদ্বার এবং গুদার আশেপাশের রক্তনালিগুলোর প্রসারিত এবং ফুলে ওঠা স্থিতি। এই অবস্থাটি প্রায়শঃ যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে এবং অনেক সময় রক্তপাতের সাথে পরিলক্ষিত হয়।

পাইলসের সংজ্ঞা

পাইলসের বিভিন্ন ধরন এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক পাইলস। অভ্যন্তরীণ পাইলস গুদার অভ্যন্তরে রক্তনালিগুলোর সংকুচিত ও প্রসারিত হওয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যা বাইরে থেকে দৃশ্যমান নয়। অন্যদিকে, বাহ্যিক পাইলস মলদ্বারের বাইরে অবস্থিত হয় এবং চামড়ার নিচে অনুভূত হতে পারে এবং দৃশ্যমান হয়।

পাইলসের প্রকার

পাইলস কি তা বুঝতে গিয়ে আমরা দেখতে পাই যে এর প্রধানত দুই প্রকার রয়েছে, যা হল:

  1. অভ্যন্তরীণ পাইলস: এটি গুদার অভ্যন্তরে রক্তনালিগুলোর সংকুচিত ও প্রসারিত হওয়া, যা বাইরে থেকে দৃশ্যমান নয়।
  2. বাহ্যিক পাইলস: এই ধরনের পাইলস গুদার বাইরে অবস্থিত হয় এবং সাধারণত চামড়ার নিচে অনুভূত হয়। এটি দৃশ্যমান এবং প্রায়ই চুলকানি ও যন্ত্রণাদায়ক।

পাইলসের সাধারণ লক্ষণগুলি

পাইলস হল অত্যন্ত পরিচিত এক সমস্যা যা বিশেষ করে মলদ্বারের শিরা ফুলে যাওয়ার মাধ্যমে ব্যাপক ব্যথা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই অবস্থায়, এর প্রাথমিক উপসর্গ হিসাবে মলদ্বারে ব্যথা এবং মলদ্বার থেকে রক্তপাত পরিলক্ষিত হয়।

ব্যথা এবং অস্বস্তি

মলদ্বারে ব্যথা, যা মলত্যাগের সময় প্রায়ই অনুভূত হয়, পাইলসের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। পাইলসের ফুলে যাওয়া শিরাগুলি চাপের কারণে মারাত্মক ব্যথা ও জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে থাকে।

রক্তপাত

মলদ্বার থেকে রক্তপাত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ। মল ত্যাগের সময় কিংবা এর পরে টয়লেট পেপারে রক্তের ছাপ খুঁজে পেতে পারেন। এটি প্রায়শই পাইলসের শিরাগুলির আক্রান্ত হওয়ার ফলে দেখা দেয়।

আরও পড়ুনঃ  কিডনি ফাংশন উন্নতির উপায় - স্বাস্থ্য টিপস

উপরোক্ত সমস্যাগুলি, বিশেষত পাইলসের উপসর্গ, সাধারণত নিজে থেকে সারে না এবং তা চিকিৎসা ছাড়া বাড়তে পারে। তাই, উল্লেখিত লক্ষণগুলি পরিলক্ষিত হলে সময়মতো বিশিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

বাহ্যিক পাইলসের লক্ষণ

বাহ্যিক পাইলস এমন একটি অবস্থা যা সাধারণত মলদ্বারের চারপাশে অস্বাভাবিকতা দ্বারা চিহ্নিত হয়। এই অস্বাভাবিকতাগুলি সহজেই দেখা যায় এবং বিশেষ করে ব্যথা, চুলকানি এবং জ্বলন সৃষ্টি করে।

সহজে দেখা যায় এমন অস্বাভাবিকতা

বাহ্যিক পাইলসের প্রকাশ ঘটে শারীরিকভাবে মলদ্বারের চারপাশের ত্বকে স্ফীতি হিসেবে। এটি সূক্ষ্মভাবে দেখা যায় এবং অনেক সময় হাত দিয়ে ছোঁয়া যেতে পারে। মল ত্যাগের সময় দেখা যায় এই অস্বাভাবিকতাগুলি আরও প্রকট হয়ে ওঠে।

চুলকানি

বাহ্যিক পাইলসের একটি প্রধান লক্ষণ হলো চুলকানি। এটি এমন এক অস্বস্তিকর অনুভূতি যা প্রায় সময় মলদ্বারের চারপাশে অনুভূত হয়। চুলকানি দ্বারা সৃষ্ট এ বিরক্তি অনেক সময় আপনাকে প্রবল আঘাত করতে পারে, বিশেষ করে যখন তা জ্বলনের সাথে মিশে যায়।

অভ্যন্তরীণ পাইলসের লক্ষণ

অভ্যন্তরীণ পাইলস মূলত মলদ্বারের ভিতর ঘটে এবং এর উপসর্গগুলি প্রায়শই অগোচরে থাকে। এই ধরনের পাইলসের ক্ষেত্রে বিশেষ বৈশিষ্ট্যাবলী অন্তর্ভুক্ত, যা নিম্নলিখিত উপাদানগুলি দ্বারা চিহ্নিত।

ননেভাসিকাল রক্তপাত

অভ্যন্তরীণ পাইলসের একটি প্রধান লক্ষণ হল মলদ্বারের ভিতরে রক্তপাত। এটি সাধারণত মলত্যাগের সময় বা পরে মলের সাথে রক্ত মিশে যায়, যা টয়লেটের পানিতে লাল রঙের স্পষ্ট দেখা যায়। রক্তপাতের এই ধরনটি ব্যথার অনুপস্থিতিতেও ঘটতে পারে, যা অভ্যন্তরীণ পাইলসের সংক্রামক প্রকৃতির ইঙ্গিত দেয়।

চাপ বা চাপ অনুভূতি

আরেকটি সাধারণ উপসর্গ হল মলদ্বারের চাপ। এটি মূলত মলদ্বারের ভিতরের পাইলসের ফুলে যাওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়। এই অবস্থা অস্বস্তিকর হতে পারে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির মলত্যাগের অভ্যাসে প্রভাব ফেলতে পারে। মলদ্বারের চাপ যে কোনো সময়ে নজরে আসতে পারে, বিশেষত দীর্ঘসময় বসে থাকার পর বা ভারী জিনিস তোলার সময়।

অভ্যন্তরীণ পাইলস হলে চিকিৎসা অবিলম্বে নেওয়া উচিত, যাতে কোনো গুরুতর জটিলতা এড়ানো যায়। নিয়মিত চেকআপ এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এ ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

ক্রনিক পাইলসের লক্ষণ

ক্রনিক পাইলস দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি ও বারবার পায়ুপথের সমস্যার লক্ষণ নিয়ে চিহ্নিত হয়। এটি যে কোনো বয়সে ঘটতে পারে এবং বিশেষত পৌঁছে দেয় দীর্ঘমেয়াদি নাজুকতা পর্যায়ে।

দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তির অভিজ্ঞতা

ক্রনিক পাইলসের উপসর্গ হিসাবে দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তি পায়ুপথে অনুভূত হতে পারে। এই অস্বস্তি বহু সময় শারীরিক কাজে ব্যাঘাত ঘটায় এবং নিত্য দিনের কার্যক্রমে বাধা দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তি বারবার পেইন রিলিফ মেডিসিন গ্রহণ করতে বাধ্য হন।

পেটের সমস্যা

পেট ফাঁপা, পেটের যন্ত্রণা এবং পেটে ভার অনুভূত হওয়া ক্রনিক পাইলসের ক্ষেত্রে সাধারণ সমস্যা। এই ধরনের সমস্যাগুলি দৈনন্দিন কার্যকলাপে ব্যাঘাত ঘটায় এবং পুষ্টি গ্রহণে বাধা দেয়। যথাযথ চিকিত্সা ও পরিচর্যা না করলে অবস্থা অবনতি হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  কোর্টিসল লেভেল পরীক্ষা করার উপায় – জানুন

পাইলসের বিপজ্জনক লক্ষণ

পাইলসের বিপজ্জনক লক্ষণসমূহ মধ্যে পাইলসের গুরুতর লক্ষণ গুলির মধ্যে অবিরত রক্তপাতের সমস্যা এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা অন্যতম। এই ধরনের লক্ষণ যদি দেখা যায়, তাহলে অবিলম্বে মেডিক্যাল পরামর্শ নেওয়া উচিত।

স্থায়ী রক্তপাত

পাইলসের ক্ষেত্রে যদি অবিরাম এবং স্থায়ী রক্তপাত ঘটে, তবে এটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। এ ধরনের রক্তপাতের সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে রক্তাল্পতা এবং অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

লম্বা সময় ধরে ব্যথা

দীর্ঘ সময় ধরে তীব্র ব্যথা পাইলসের একটি গুরুতর লক্ষণ যা দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক অসুবিধা এবং অশান্তি সৃষ্টি করে। পাইলসের এই ধরনের ব্যথা সাধারণত চাপের সময় বা মল ত্যাগের সময় বেড়ে যায়, এবং এর ফলে ব্যক্তির মানসিক দিক ও প্রভাবিত হতে পারে।

এই ধরনের গুরুতর লক্ষণগুলির পর্যবেক্ষণ হল অত্যন্ত জরুরি এবং এর প্রাথমিক চরণে ডাক্তারের সাহায্য নেওয়া, জীবনযাত্রায় সুস্থ পরিবর্তন ঘটানো এবং যথাযথ চিকিৎসা গ্রহন প্রয়োজন। এতে করে এই ধরনের গুরুতর লক্ষণ থেকে আরাম পাওয়া সম্ভব হয়। সবসময় নিঃসঙ্কোচে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।

পরিবেশগত কারণ

পাইলস রোগের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে পাইলসের পরিবেশগত কারণ অন্যতম। দৈনিক জীবনের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং নিয়মিত শারীরিক অভ্যাসের অভাব পাইলসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

যেসব পরিবার্তিত অভ্যাসগুলো আমাদের পাইলসের সমস্যা তৈরি করে, তার মধ্যে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাব অন্যতম। জাঙ্ক ফুডের অত্যধিক উপর নির্ভরশীলতা, ফাইবারের অভাব যুক্ত খাবার, এবং চটজলদি খানাপিনার প্রবণতা পাইলসের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

খাদ্য প্রধানতঃ যদি ফাইবার এর পরিমাণে কম থাকে, তাহলে তা হজম প্রক্রিয়াকে ধীরগতির করে দেয় এবং মল ত্যাগে সময় লাগে, যা কিনা পাইলসের উদ্ভবের অন্যতম কারণ। অতএব, প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন বহুল খাদ্যতালিকা মেনে চলা আবশ্যক।

শারীরিক কার্যকলাপের অভাব

নিয়মিত শরীরচর্চা শরীরের রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং পরিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করে, যা মল ত্যাগকে সহজ করে। অভাবের ফলে, মল দীর্ঘ সময় মলাধারে থাকে, যা পাইলস সৃষ্টির কারণ হতে পারে। অতএব, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি অথবা হালকা ব্যায়াম এই সমস্যার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

  1. দৈনিক ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন ফল, সবজি এবং শস্যজাতীয় খাদ্য গ্রহণ করুন।
  2. প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা শারীরিক ব্যায়াম নিশ্চিত করুন।

এই সহজ এবং প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি পাইলসের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারেন এবং একটি স্বাস্থ্যবান জীবন যাপনের পথে অগ্রসর হতে পারেন।

জীবনযাপনের পরিবর্তন

পাইলস প্রতিরোধ এবং নিরাময়ে জীবনযাপনের পরিবর্তনের কৌশল গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। এর মধ্যে সুস্থ্য খাদ্যাভাস এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের গুরুত্ব অপরিসীম।

খাদ্যাভাস উল্লিখিত করা

সুস্থ্য খাদ্যাভাসের প্রস্তাবনায় প্রাধান্য পায় উচ্ছাদনসমৃদ্ধ খাদ্য, যেমন ফলমূল, সবজি, এবং পুরো শস্য। এই ধরনের খাবারের ভূমিকা হলো মলত্যাগের সময় শরীরের চাপ কমিয়ে দেওয়া এবং অন্ত্রের নিয়মিত ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখা। দৈনন্দিন ৩ লিটার পানি পানীয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়, যা হজম প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করে।

আরও পড়ুনঃ  জরায়ু দেখতে কেমন?

শারীরিক ব্যায়াম

নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম হলো আরেকটি অপরিহার্য জীবনযাপনের পরিবর্তন, যা পাইলস প্রতিরোধে কার্যকর। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে বাড়িয়ে তোলে এবং অন্ত্রের প্রেসার হ্রাস করে। ব্যায়ামের ধরণের মধ্যে হাঁটা, জগিং, সাইক্লিং বা সুইমিং অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও রক্তনালীর চাপ হ্রাস পায়।

সব মিলিয়ে, এই জীবনযাপনের পরিবর্তনগুলি আপনার সাধারণ স্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি পাইলস থেকে মুক্তির পথও প্রশস্ত করতে পারে।

পাইলসের চিকিৎসা

পাইলস বা হেমোরয়েডের চিকিৎসা সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি, যার মধ্যে রোগীর আরাম এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি সুনিশ্চিত করা প্রাথমিক লক্ষ্য। বাংলাদেশে পাইলস চিকিৎসা এর প্রচলিত পদ্ধতির বৈচিত্র্য এবং ডাক্তারের পরামর্শে চালিত চিকিৎসার অপার গুরুত্ব রয়েছে।

ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ

ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা শুরু করা অর্শ নিরাময়ের প্রথম ধাপ। অভিজ্ঞ ডাক্তার যেমন ডা. আবু সাইয়েদ মোহাম্মদ, যার ৪৬ বছরের অভিজ্ঞতা, তার দীর্ঘ প্রেক্ষিত এবং বিশেষজ্ঞতা পাইলসের জটিলতা বুঝতে এবং তা নিরাময় করতে সাহায্য করতে পারে।

ওষুধ এবং চিকিৎসা

হেমোরয়েডের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রধানত ওষুধ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সার্জিক্যাল ইন্টারভেনশন নিয়ে গঠিত। অল্পবিস্তর অপারেশনের গড়ে খরচ ৪৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা হতে পারে, তবে প্রায়শই সমস্যার মাত্রা এবং রোগীর ক্ষেত্র বিবেচনা করার পরই চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়। প্রিস্টিন কেয়ার যেমন সংস্থা চিকিৎসা সেবায় ৫০+ রোগীর বিস্তারিত পরামর্শের সুযোগ প্রদান করে থাকে।

পাইলস প্রতিরোধ

হেমোরয়েড, যা বাংলায় পাইলস অথবা অর্শরোগ নামে পরিচিত, তা বেশিরভাগ মানুষের জীবনে কোনো না কোনো সময়ে প্রভাব ফেলে। প্রায় ৩ জনের মধ্যে ৪ জন বয়স্ক ব্যক্তি তাদের জীবনে কোন সময় পাইলসের শিকার হন। এর প্রধান কারণ হতে পারে আমাদের জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভাস। তাই এর প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস

খাদ্য তালিকায় ফাইবার যুক্ত খাবার বাড়ানো, যথেষ্ট পানি পান করা এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম পাইলসের প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। একাধিক গবেষণার মতে, যদি ৬ সপ্তাহ অথবা দেড় মাস ধরে পর্যাপ্ত ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া হয়, তাহলে ৯৫% পাইলস রোগীর রক্তপাত কমে যায়।

এছাড়া, নিয়মিত ও সঠিক পদ্ধতিতে মলত্যাগ এবং দীর্ঘ সময় ধরে একই ভঙ্গিমায় না বসে সচল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের সাথে উপযুক্ত পরামর্শ নেওয়া এবং অভ্যন্তরীণ শর্তের উন্নতির জন্য হোমিওপ্যাথি, কবিরাজি এবং ঔষধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। জীবনযাপনে এই ক্ষুদ্র পরিবর্তন দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য উন্নতির দিক নির্দেশ করে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button