মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়
বাংলাদেশের নারী সাস্থ্য বিষয়ক বাজারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মেয়েদের জরায়ুতে হওয়া উটেরাইন ফাইব্রয়েড সংক্রান্ত সমস্যাটি সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এমন তিন ধরনের টিউমার আছে: ইন্ট্রামিউরাল, সাবমিউকোসাল, এবং সাবসেরোসাল ফাইব্রয়েড। এই টিউমারগুলির সাধারণ উপসর্গ হচ্ছে পেলভিক ব্যথা, প্রচণ্ড রক্তস্রাব, প্রলম্বিত রোগমুক্তি পর্ব, পেটের ফোলা, প্রায়শই প্রস্রাব করা, এবং গর্ভাবস্থায় জটিলতা।
আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় জরায়ু টিউমার ধরা পড়ে এবং সব টিউমারের জন্য শল্যচিকিৎসা জরুরি নয়, বিভিন্ন চিকিৎসার বিকল্প বিবেচনা করা যেতে পারে। মেয়েদের জরায়ুতে টিউমারের কারণ গুলির মধ্যে হরমোনের প্রভাব, জেনেটিক ফ্যাক্টর এবং পরিবেশগত কারণ অন্যতম। অসার্জিকাল চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে আছে ইউটেরাইন আর্টারি এমবলাইজেশন এবং এমআরআই-গাইডেড আল্ট্রাসাউন্ড অ্যাবলেশন। একে আরেকটি নামেও ডাকা হয়, যা হল মায়োমা বা ফাইব্রোমা, এবং এটি ৩০ বছরের বেশি বয়সের নারীদের মধ্যে প্রবলভাবে প্রচলিত।
জরায়ু টিউমার কি?
জরায়ু টিউমার এক প্রকার অস্বাভাবিক টিস্যুর বৃদ্ধি, যা মূলত মহিলাদের জরায়ুতে ঘটে। এই টিউমার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে এবং সাধারণত মায়োমা টিউমার নামে পরিচিত। এই মায়োমা টিউমার জরায়ুর মাংসপেশী ও ফাইব্রাস টিস্যুর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে ঘটে।
টিউমারের সংজ্ঞা
জরায়ু টিউমার সংজ্ঞা অনুযায়ী, এটি এক ধরনের নন-ক্যান্সারাস (অর্থাৎ অঘাতজনক নয়) টিস্যুর সমষ্টি, যা জরায়ুর মাংসপেশির স্তরে বিকাশ লাভ করে। এগুলি আকারে ছোট হতে শুরু করে, কিন্তু সময়ের সাথে বড় হতে পারে।
টিউমারের প্রকারভেদ
জরায়ু টিউমারের বিভিন্ন টিউমার প্রকারভেদ রয়েছে যেমন সাবসেরৌস (জরায়ুর বাহ্যিক পৃষ্ঠে), ইন্ট্রামিউরাল (মাংসপেশী স্তরের মধ্যে), সাবমুকোসাল (জরায়ুর ভিতরের পর্দায়), এবং পেডুনকুলেটেড (ডাঁটা যুক্ত)। প্রতিটি প্রকারের টিউমারের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে।
সাধারণ লক্ষণ
জরায়ু টিউমারের লক্ষণগুলো বিভিন্ন রকমের হতে পারে যা ঋতুস্রাবের পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত। অতিরিক্ত রক্তপাত, পেটে অস্বস্তি, মূত্রত্যাগে চাপ অনুভব, এবং যৌন মিলনে ব্যথা সহজেই নির্ণয় করা যায়। এই লক্ষণগুলির প্রতিকারের জন্য প্রায়শই ঔষধি প্রয়োজন হতে পারে এবং জটিলতা রোধে অপারেশনও প্রয়োজন হতে পারে।
জরায়ু টিউমারের কারণসমূহ
জরায়ু টিউমারের উদ্ভবের পেছনে বেশ কয়েকটি প্রধান কারণ রয়েছে যা বিজ্ঞানীরা ধারণ করেন। এই কারণগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জীনগত ফ্যাক্টরগুলি, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং হরমোনের প্রভাব। এই তিন ফ্যাক্টর সম্মিলিতভাবে একজন মহিলার শরীরে টিউমার সৃষ্টি বা প্রকোপ ঘটাতে পারে।
জেনেটিক কারণ
বিজ্ঞান ও গবেষণা বলে, টিউমারের জেনেটিক কারণ অনেক ক্ষেত্রেই টিউমার গঠনের একটি প্রধান অবদান রাখে। যদি পরিবারে কেউ এর আগে টিউমারে ভুগে থাকেন, তাহলে তার পরবর্তী প্রজন্মের সদস্যদের মধ্যেও এই আশঙ্কা বেড়ে যায়।
পরিবেশগত কার্যকলাপ
পরিবেশগত কারণগুলিও টিউমার সৃষ্টির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। পরিবেশগত ঝুঁকি যেমন অত্যধিক দূষণ, রাসায়নিক সংস্পর্শ এবং অপুষ্টি – এই সব কারণে দেহের অভ্যন্তরীণ মিলনাত্মক পরিবর্তন হতে পারে যা জরায়ু টিউমারের সৃষ্টি ঘটাতে পারে।
হরমোনের প্রভাব
হরমোন, বিশেষ করে হরমোনের প্রভাব, জরায়ু টিউমার ফর্মেশন এবং বৃদ্ধির একটি মুখ্য উৎস হতে পারে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মতো হরমোনগুলির উচ্চ মাত্রা টিউমারেরর কোষগুলির বৃদ্ধি এবং প্রসারণে অবদান রাখতে পারে।
এই জেনেটিক, পরিবেশগত এবং হরমোনিয়াল কারণগুলি একত্রিত হয়ে জরায়ুতে টিউমারের সৃষ্টিতে অবদান রাখে। টিউমার প্রতিরোধে এবং চিকিৎসায় এই তিন কারণকে যথাযথভাবে বুঝতে পারা অত্যন্ত জরুরী।
টিউমারের প্রভাব
জরায়ু টিউমারের প্রভাব কেবল শারীরিক নয়, মানসিক দিক থেকেও গভীর প্রভাব ফেলে। এই দুটি দিক থেকে টিউমারের প্রভাব আমাদের জীবনযাত্রায় বিভিন্ন সমস্যা ডেকে আনে।
শারীরিক স্বাস্থ্য
টিউমারের শারীরিক প্রভাব প্রায়ই কিডনি ও ইউরিনারি ব্লাডারের চাপ বৃদ্ধি করে। এই চাপ বিভিন্ন শারীরিক অস্বস্তি, যেমন মুত্রনালীর বাধাপ্রাপ্তি এবং প্রস্রাবে সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
- জরায়ুর টিউমারে প্রভাবিত যন্ত্রণা ও ব্যথা।
- মুত্রত্যাগে কষ্ট অথবা বারবার মুত্রত্যাগের প্রয়োজন।
- ইউরিনারি ব্লাডার বা কিডনিতে পাথর সৃষ্টির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
মানসিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত হয় টিউমারের উপস্থিতিতে যা হতাশা ও উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এই মানসিক চাপ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত করে।
- শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের উদ্বেগ।
- ব্যাধির ভবিষ্যৎ প্রতিক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা।
- চিকিৎসা পদ্ধতি এবং পুনর্বাসন সময়ের দীর্ঘস্থায়িত্ব।
শারীরিক এবং মানসিক দুই দিক থেকেই টিউমারের প্রভাব সামলানোর জন্য সঠিক চিকিৎসা এবং সচেতনতা জরুরি।
জরায়ুর টিউমার হওয়ার উপসর্গ
জরায়ুর টিউমার বা ফাইব্রয়েডস হওয়ার উপসর্গ নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যে অনেক ধরণের জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে। এর মধ্যে প্রধানত অস্বাভাবিক এবং অতিরিক্ত ঋতুস্রাব, দীর্ঘসময় স্থায়ী হওয়া এবং তলপেটে ব্যথা অন্যতম।
ব্যথা ও অস্বস্তি
জরায়ু টিউমারের উপসর্গ হিসেবে তলপেটে ব্যথা সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রথম লক্ষণ হতে পারে। এই ব্যথা মাসিকের সময়ে বেশি অনুভূত হয় এবং সাধারণত অন্যান্য সময়ে একটি মৃদু চাপ অনুভূত হতে পারে।
রক্তস্রাবের পরিবর্তন
জরায়ুর টিউমার থাকলে রক্তস্রাবের পরিবর্তন ঘটে থাকে, যেমন অস্বাভাবিকভাবে ভারি বা অল্প রক্তস্রাব। এছাড়াও, মাসিকের চক্রে অনিয়ম থাকলে এটি সাধারণত টিউমারের উপস্থিতির ইঙ্গিত দিতে পারে। অতিরিক্ত ঋতুস্রাবের ফলে শরীরে আরো নানান ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যেমন অ্যানিমিয়া।
- তলপেটে মাঝে মাঝে হঠাৎ ব্যথা হওয়া।
- স্বাভাবিকের চেয়ে মাসিক চক্রে বেশি রক্তপাত হওয়া।
- মাসিক চক্রের আনিয়মিততা লক্ষণীয়।
যদি এই ধরণের লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নির্ধারণ করে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করবেন। নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরায়ুর টিউমার এবং অন্যান্য গুরুতর অবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করতে সহায়ক হবে।
ডাক্তারি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা
জরায়ু টিউমার সনাক্তকরণের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে পেলভিক পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষায় চিকিৎসক শারীরিকভাবে পেলভিক অঞ্চল পরীক্ষা করেন, যা সম্ভাব্য অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করতে সহায়তা করে।
এর পরে, নির্ণায়ক আলট্রাসোনিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, যা একটি ইমেজিং প্রযুক্তি এবং এটি জরায়ু ও তার আশপাশের ক্ষেত্রের ভিতরের চিত্র প্রদান করে। এটি ডাক্তারি নির্ণয় প্রক্রিয়াতে অপরিহার্য।
স্বাভাবিক পরীক্ষা
স্বাভাবিক পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় পেলভিক পরীক্ষা প্রাথমিক ধাপ। এটি সাধারণত চিকিৎসকের অফিসে সঞ্চালিত হয় এবং এটি রোগীর স্বাস্থ্য অবস্থান অনুসারে বার্ষিক হতে পারে।
ইমেজিং পরীক্ষার গুরুত্ব
আলট্রাসোনিক পদ্ধতির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অবস্থানের চিত্র পাওয়া যায়, যা চিকিৎসককে আরও নির্ভুল ডাক্তারি নির্ণয় করতে সাহায্য করে। এই পদ্ধতিটি বিশেষত টিউমার বা অন্যান্য অস্বাভাবিক গঠনগুলো চিহ্নিত করে সঠিক চিকিৎসা পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়তা করে।
সঠিক ডাক্তারি নির্ণয় ও উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে জরায়ুর সমস্যাগুলি সমাধান করা সম্ভব এবং মহিলাদের স্বাস্থ্যকে আরও উন্নত করা যায়।
চিকিৎসা পদ্ধতিসমূহ
টিউমারের চিকিৎসায় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় যার মধ্যে রয়েছে ওষুধের পাশাপাশি সার্জিকাল পদ্ধতি। এই সার্জিকাল পদ্ধতিগুলি প্রায়ই হিস্টেরোস্কোপিক এবং ল্যাপ্যারোস্কোপিক মায়োমেক্টমি হিসেবে পরিচিত, যা কম ইনভেসিভ এবং রোগীর জন্য কম জটিল। উটেরাইন আটারি এমবোলাইজেশন একটি নতুন পদ্ধতি যা টিউমারে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয় এবং টিউমারের আকার হ্রাস পায়।
ওষুধের ব্যবহার
উটেরাইন টিউমারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলি সাধারণত রোগীদের উপসর্গগুলিকে কমাতে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে। এই ধরনের ওষুধের মধ্যে রয়েছে হরমোন থেরাপি, যা টিউমারের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তস্রাব কমায়।
সার্জারী অপশনসমূহ
- হিস্টেরোস্কোপিক মায়োমেক্টমি: এটি গর্ভাশয়ের ভিতরের টিউমার সরানোর একটি পদ্ধতি, যা কোনো চির ছাড়াই সম্পন্ন করা হয়।
- ল্যাপ্যারোস্কোপিক মায়োমেক্টমি: একটি সূক্ষ্ম ক্যামেরা এবং সরঞ্জামগুলির সাহায্যে পেটের ছোট ছোট কাটা স্থান দিয়ে টিউমার অপসারণ। এটি পুনরুদ্ধারের সময় কমায় এবং কম জটিলতার সাথে আসে।
- উটেরাইন আটারি এমবোলাইজেশন: এই পদ্ধতিটি টিউমারের রক্তপ্রবাহ কেটে দিয়ে টিউমারকে সঙ্কুচিত করে, যা উপসর্গ হ্রাস করে এবং অপারেশনের প্রয়োজন এড়ায়।
প্রতিরোধের উপায়
জরায়ু টিউমার প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। এই জীবনযাপনে খাবারদাবার এবং রুটিন পরিচালনা দুইটি অপরিহার্য উপাদান।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
সোয়াফুড এড়ানো এবং তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা অনেক সময়ে জরায়ু টিউমার রোধে সহায়ক হতে পারে। এগুলো শরীরে হরমোনাল ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং অতিরিক্ত এস্ট্রোজেন সঞ্চয় হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে। এছাড়াও, ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা যেকোনো স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের একটি অংশ, যা জরায়ু টিউমার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ।
- অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধূমপান বর্জন
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল এবং সব্জি গ্রহন
- নিয়মিত শরীরচর্চা ও মেডিটেশন
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা দ্বারা টিউমারের বেড়ে ওঠার প্রাথমিক অবস্থা সনাক্ত করা সম্ভব। ডাক্তারি পরামর্শ এবং প্রতি বছর বা প্রয়োজনবোধে আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে টিউমারের অবস্থা নির্ণয় করা যেতে পারে। এই পরীক্ষাগুলো আগেভাগে টিউমার সনাক্ত করে বড় ধরনের চিকিৎসার দায়ভার কমিয়ে দিতে পারে।
- বার্ষিক মহিলা স্বাস্থ্য পরীক্ষা
- হরমোনাল পরীক্ষা
- পেলভিক আল্ট্রাসনোগ্রাফি
এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে, জরায়ু টিউমার থেকে সচেতন থাকা এবং প্রতিরোধ করা সম্ভব।
টিউমার ও গর্ভাবস্থার সম্পর্ক
গর্ভাবস্থা একটি মহিলার জীবনের অত্যন্ত সূক্ষ্ম সময়, যেখানে তার শারীরিক পরিবর্তনের সাথে সাথে তার শরীরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন হরমোনাল পরিবর্তন গর্ভস্থ শিশুর উন্নয়নেও প্রভাব ফেলে। এমন এক সময়ে, ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড কিংবা যেকোনো ধরনের টিউমারের প্রভাব গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে মাতৃজীবনের উপর গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। এসব কারণে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত মেডিকেল সার্ভিলেন্স এবং পরামর্শ কঠোরভাবে অনুসরণ করা উচিত।
প্রেগন্যান্সি কি প্রভাব ফেলে?
গর্ভাবস্থা সময়ে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বদ্ধমূল না হওয়ার পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, যা কোনো মহিলা যদি ইতিমধ্যেই ইউটেরাইন ফাইব্রয়েডের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে এ পরিস্থিতিতে টিউমারের আকার বাড়ার ঝুঁকি অধিক থাকে। এতে করে গর্ভস্থ শিশুর উন্নয়ন এবং যথার্থ জন্ম প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই, প্রেগন্যান্সির সময়ে মাতৃদের অতিরিক্ত সতর্কতা এবং নিয়মিত মেডিকেল অ্যাসেসমেন্ট প্রয়োজন।
এছাড়াও, গর্ভাবস্থায় যে কোনো ঔষধ গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকের জ্ঞাতার্থে করা উচিত। যেমন, লেভোনরজেস্ট্রেল ব্যবহারের আগে এর সমস্ত সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি বিবেচনা করা জরুরি কারণ এর মধ্যে অনেকগুলি গর্ভাবস্থায় অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে না। তাই, গর্ভাবস্থায় সব ধরনের ঔষধ প্রয়োগ নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত হতে অবশ্যই অ্যাপোলো হাসপাতালের মতো বিশ্বস্ত চিকিৎসা সংস্থার পরামর্শ নিন।