স্তনের টিউমার কি সবসময় ক্যান্সার হয়? সত্য জেনে নিন

প্রতিটি স্তনের টিউমার নিয়ে মানুষের মনে যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়, তার পেছনে রয়েছে এই ভয় যে এটা হয়ত স্তন ক্যান্সারের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু সত্যি কি তাই? আমাদের এই আলোচনায়, আমরা সেই ধারণা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণে যাব এবং স্তন টিউমারের বিভিন্ন প্রকার এবং তাদের বৈশিষ্ট্য, ক্যান্সারের লক্ষণ এবং টিউমার ও ক্যান্সারের পার্থক্য অনুধাবন করব।

একটি স্তন টিউমার যে সবসময় মারাত্মক ক্যান্সার না হতে পারে, সে ব্যাপারে অজ্ঞতা বিষয়ে রোগীদের মধ্যে বেশ প্রচলিত। আমরা এখানে স্তন টিউমারের প্রকারভেদ এবং ক্যান্সার না হলেও তাদের সম্ভাব্য কারণ এবং প্রতিকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করব। এই বিভাগে আমাদের লক্ষ্য হল স্তনের টিউমার এবং স্তন ক্যান্সারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য উদঘাটন করে পাঠকদের সঠিক তথ্য প্রদান করা।

Contents show

স্তন টিউমার কি?

স্তন টিউমার হলো স্তনের অন্তর্গত টিস্যুতে অস্বাভাবিক কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সৃষ্ট গাঁট বা পিণ্ড। এই টিউমারগুলি বেনাইন টিউমার অথবা ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হতে পারে, যার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা এবং পূর্বাভাস নির্ধারিত হয়। এসবের মধ্যে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে অদৃষ্টিপ্রাপ্ত পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।

স্তন টিউমারের সংজ্ঞা

স্তনের টিউমার হলো অবাঞ্ছিত এবং অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট যা সাধারণত একটি স্পষ্ট সীমানাযুক্ত গঠন তৈরি করে যা স্পর্শে শক্ত বা নরম হতে পারে। এগুলির মধ্যে ফাইব্রোএডেনোমা এবং সিস্ট যেমন বিভিন্ন ধরনের বেনাইন টিউমার অন্তর্ভুক্ত।

টিউমার প্রকারভেদ

স্তন টিউমারের দুই প্রধান প্রকার হলো বেনাইন টিউমার এবং ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। বেনাইন টিউমারগুলি ক্যান্সারাস নয় এবং সাধারণত জীবনের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে না। অন্যদিকে, ম্যালিগন্যান্ট টিউমারগুলি ক্যান্সারাস এবং এগুলি অন্যান্য টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

  • বেনাইন টিউমার: যেমন ফাইব্রোএডেনোমা, সিস্ট, এবং লিপোমা।
  • ম্যালিগন্যান্ট টিউমার: যেমন ইনভেসিভ ডাক্টাল কার্সিনোমা এবং ইনসিট্যু কার্সিনোমা।

ক্যান্সার ও টিউমারের মধ্যে পার্থক্য

ক্যান্সার ও টিউমার শব্দ দুটি প্রায়ই বিনিময়যোগ্যভাবে ব্যবহৃত হলেও, এদের মধ্যে গভীর পার্থক্য রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে, এই পার্থক্য বোঝার জন্য কিছু মৌলিক ধারণা জানা জরুরি।

আরও পড়ুনঃ  টনসিল স্টোন আছে কিনা জানার উপায়

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

বেনাইন বনাম ম্যালিগন্যান্ট এই দুই শব্দ দ্বারা টিউমার ক্লাসিফাই করা হয়। বেনাইন টিউমারগুলি সাধারণত নন-ক্যান্সারাস এবং তারা দ্রুত বিস্তার লাভ করে না এবং সাধারণত স্বাস্থ্যের জন্য কম হুমকি সৃষ্টি করে। অপরদিকে, ম্যালিগন্যান্ট টিউমার গুলি ক্যান্সারাস হয় এবং মেটাস্টেসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি

সাধারণভাবে মানুষ যেকোনো টিউমারকে ক্যান্সার হিসেবে চিহ্নিত করার প্রবণতা রাখে, যা ভুল। টিউমার সেলগুলি বিভিন্ন ধরণের হতে পারে এবং সব টিউমার ক্যান্সারাস নয়। বিশেষত, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা টিউমারের গ্রেড এবং স্টেজ নির্ধারণ করার সময় ক্যান্সার সেল বিভাজন এর হার ও ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা পরামর্শ দেন।

  • বেনাইন টিউমার: ধীর বৃদ্ধি, মেটাস্টেসিস নেই, সাধারণত অসুবিধা সৃষ্টি করে না।
  • ম্যালিগন্যান্ট টিউমার: দ্রুত বৃদ্ধি, মেটাস্টেসিস ঘটে, জীবনের জন্য বিপজ্জনক।

সুতরাং, সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য টিউমারের ধরণকে বুঝতে হলে উপযুক্ত চিকিৎসা পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি।

চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় টিউমার শনাক্তকরণ

স্তন টিউমার শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া বিভিন্ন ধরণের স্ক্রিনিং টেস্ট দ্বারা সম্পাদিত হয়, যা প্রাথমিক স্তরে এই টিউমারগুলির অস্তিত্ব নির্ণয় করতে সাহায্য করে।

স্ক্রিনিং পদ্ধতি

  • ম্যামোগ্রাম: স্তনের অবস্থান ও যেকোনো অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করতে এই এক্স-রে পদ্ধতিটি ব্যাপকভাবে প্রযুক্তিগতভাবে ব্যবহৃত হয়।
  • আল্ট্রাসাউন্ড: স্তনের মধ্যে কোনো মাসের কিংবা তরল থাকলে তা সনাক্ত করা যায় এই অত্যাধুনিক ইমেজিং পদ্ধতি দ্বারা।
  • এমআরআই: এই পদ্ধতি অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট চিত্র প্রদান করে, যা টিউমারের আকার ও স্থান নিরূপণে সাহায্য করে।
  • বায়োপসি: সন্দেহজনক এলাকা থেকে কোষ বা টিস্যুর নমুনা গ্রহণ করে পরীক্ষা করা হয়, যা টিউমারের ধরণ চিহ্নিত করতে পারদর্শী।

যা বিবেচনায় রাখতে হবে

টিউমার শনাক্তকরণের সময় স্তন স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও সূক্ষ্ম। এটি বুঝতে গেলে বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করা এবং উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতির সঠিক ব্যবহার জরুরী। পাশাপাশি, রোগীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক স্বাস্থ্য ইতিহাস, এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি ফ্যাক্টরগুলো বিবেচনায় আনা অপরিহার্য।

স্তনে টিউমার হলেও ক্যান্সার নাও হওয়ার কারণ

স্তনে টিউমার ধরা পড়লেও সব ধরণের টিউমার ক্যান্সারের লক্ষণ বহন করে না। এমন কিছু বেনাইন স্তন টিউমার আছে যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর নয় এবং অক্যান্সারাস টিউমার হিসেবে পরিচিত। এসব টিউমার হল বিভিন্ন স্তনের ভালো জিনিস যা ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ নয়।

আরও পড়ুনঃ  দ্রুত ঘুমানোর সহজ উপায় - স্বাস্থ্যকর নিদ্রার টিপস

মাংসপেশি টিউমার

মাইোমা নামে পরিচিত এই টিউমারগুলো মাংসপেশি বা তন্তুজাল থেকে উৎপন্ন হয় যা সাধারণত বেনাইন হয়ে থাকে। মাইোমা স্তনে প্রদাহ বা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে, তবে এগুলো ক্যান্সারের মতো মারাত্মক নয়।

ফাইব্রোডেনোমা

ফাইব্রোডেনোমা হল এক ধরনের বেনাইন টিউমার যা স্তনের স্থিতিস্থাপক ও বিকাশমূলক টিস্যু থেকে জন্ম নেয়। এরা সাধারণত স্থির থাকে ও ব্যথাহীন হয়। বয়স্ক নারীদের মধ্যে এই ধরণের টিউমার সর্বাধিক ঘটে থাকে এবং এরা ক্যান্সারাস হয়ে ওঠার আশঙ্কা অত্যন্ত কম।

  • মাইোমা ও ফাইব্রোডেনোমা বেনাইন এবং অক্যান্সারাস টিউমারের ভালো উদাহরণ।
  • এদের উপস্থিতি স্তনের স্বাস্থ্যে সিস্ট তৈরির মাধ্যমেও দেখা দেয়, যা ক্যান্সার সৃষ্টি করে না।

স্তন টিউমার নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি

স্তন টিউমার নিরীক্ষণের প্রাথমিক ধাপগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করে এই সমস্যা দেখা হয়, যাতে ক্লিনিকাল ব্রেস্ট এক্সামের পাশাপাশি নিয়মিত প্যাথলজি রিপোর্টের মাধ্যমে সম্ভাব্য টিউমারগুলির বিশালেষণ করা হয়।

চিকিৎসার প্রাথমিক পদক্ষেপ

একজন রোগীর স্তন টিউমারের সন্ধানে চিকিৎসা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে ক্লিনিকাল ব্রেস্ট এক্সাম। এরপরে, নির্দিষ্ট কিছু ইমেজিং টেস্ট ও বায়োপসি করা হয়। বায়োপসির প্যাথলজি রিপোর্ট চিকিৎসকদের টিউমারের ধরন এবং ক্যান্সারের অবস্থা বুঝতে সাহায্য করে।

রোগীর অবজারভেশন

রোগীর চিকিৎসার পরবর্তী ধাপ হিসেবে মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিম নিয়মিত ফলো-আপ টেস্ট এবং পেশেন্ট মনিটরিং পরিচালনা করে। এই পদক্ষেপগুলো রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার সময় অগ্রগতি অনুসরণের জন্য অপরিহার্য। রোগীর স্বাস্থ্য অবস্থা এবং চিকিৎসার প্রতিক্রিয়া নিরীক্ষণের মাধ্যমে, চিকিৎসকরা আগামী করণীয় নির্ধারণ করে থাকেন।

স্তন টিউমার এবং ক্যান্সারের লক্ষণ

স্তন টিউমার এবং ক্যান্সারের বিশিষ্ট লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা জরুরী যাতে প্রাথমিক পর্যায়েই চিকিৎসা শুরু করা যায়। এখানে কিছু সাধারণ লক্ষণ উল্লেখ করা হলো যা সাধারণত টিউমার এবং ক্যান্সারের ইঙ্গিত দেয়।

সাধারণ লক্ষণ

  • স্তন ব্যথা: স্তনে অস্বাভাবিক ব্যথা যা চলমান ও স্থায়ী থাকে।
  • লাম্প: স্তনে গাঁট বা উঁচু অংশ অনুভূত হওয়া, যা নরম বা শক্ত হতে পারে।
  • স্কিন চেঞ্জ: স্তনের ত্বকে রঙ পরিবর্তন, চুলকানি, বা ত্বক খসখসে হওয়া।
  • আকার পরিবর্তন: স্তনের আকারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন, যেমন, এক স্তন অন্য স্তনের চেয়ে বড় হয়ে যাওয়া।
  • নিপল ডিসচার্জ: নিপল থেকে প্রস্রাব বা তরল পদার্থের নির্গমন।

লক্ষণের পরিবর্তন

যদিও উপরের উল্লিখিত লক্ষণগুলি স্তন টিউমার বা ক্যান্সারের সাধারণ নির্দেশক, লক্ষণের পরিবর্তন নতুন দিক থেকে আরও সতর্কতার প্রয়োজন নির্দেশ করতে পারে। যেমন:

  1. স্তনের ব্যথা যদি হঠাৎ বেড়ে যায় বা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।
  2. স্তনে নতুন লাম্প গঠন হয়েছে বা পূর্বের লাম্পের আকার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
  3. স্কিন চেঞ্জ যেমন ঘন প্যাচ গঠন এবং ত্বকের টেক্সচারে পরিবর্তন।
  4. আকার পরিবর্তন যা একপাশে দৃষ্টিগোচর হয়েছে বা আসাধারণ ভাবে চোখে পড়ে।
  5. নিপল ডিসচার্জ যদি রং বা গন্ধে পরিবর্তন আসে।
আরও পড়ুনঃ  ইউরিক অ্যাসিড কমানোর উপায় – সহজ টিপস

এই লক্ষণগুলির পরিবর্তন যদি দেখা দেয়, অতি সত্ত্বর চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক চিকিৎসা জীবন রক্ষাকারী হতে পারে।

ক্যান্সারের সম্ভাবনার উপর প্রভাবিত বিষয়গুলি

স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা উপর বিবিধ প্রভাবিত বিষয়গুলির মধ্যে বংশগত এবং জীবনযাত্রার প্রভাব অন্যতম। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, জেনেটিক ফ্যাক্টর এবং পরিবেশগত শর্তাবলী একসাথে রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

বংশগত কারণ

বংশগত ফ্যাক্টর অর্থাৎ জেনেটিক প্রবণতা, যেমন BRCA1 এবং BRCA2 জিনস, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে অবদান রাখে। এই জিনগুলির অস্বাভাবিক মিউটেশন রোগের সম্ভাবনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে।

জীবনযাত্রার প্রভাব

জীবনযাত্রায় পরিবর্তন যেমন লাইফ স্টাইল চয়েসেস এবং এনভায়রনমেন্টাল ফ্যাক্টরগুলি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রভাবিত করে। খাদ্যাভাস, শারীরিক অভ্যাস, ও পরিবেশ সংক্রান্ত পরিবর্তন এসবের মধ্যে পড়ে।

  • ধূমপান ও মদ্যপান এড়ানো
  • নিয়মিত শারীরিক কসরত
  • সুষম খাদ্যাভাস অনুসরণ

সব মিলিয়ে, জেনেটিক ফ্যাক্টর ও লাইফ স্টাইলের পছন্দগুলি যেমন এনভায়রনমেন্টাল ফ্যাক্টরের সাথে মিলে এই রোগের বিস্তার ঘটায়। সঠিক তথ্য ও সচেতনতা দ্বারা ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব।

নারীদের জন্য উদ্বেগ এবং সচেতনতা

নারীদের জন্য স্তন ক্যান্সার এক বড় উদ্বেগের বিষয়। তবে, সচেতনতা এবং নিয়মিত রেগুলার চেকআপ এর প্রারম্ভিক ধাপে শনাক্ত করে সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব। মহিলা স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্রেস্ট সেলফ-এক্সামিনেশন এর পদ্ধতি রয়েছে, যা নিজে বাড়িতেই সহজেই করা যায়। নিয়মিত এই পরীক্ষাটি স্ব-সচেতনতার এক মূল্যবান অংশ।

কিভাবে নিজেকে পরীক্ষা করবেন

ব্রেস্ট সেলফ-এক্সামিনেশন মাসিক চক্রের নির্দিষ্ট সময়ে করা উত্তম। ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে, দর্পণের সামনে থেকে শুয়ে থেকে বা স্নানের সময়, নিজের বুকের ত্বকের কোনও অস্বাভাবিকতা, গুটি বা টান অনুভূত হয় কিনা তা খেয়াল করা। এই সহজ পদ্ধতি অস্বাভাবিক লক্ষণের প্রাথমিক গতির অনুধাবন করতে পারে।

চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করা

যদি সেলফ-এক্সামিনেশনে কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ নজরে আসে, তাহলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের সাক্ষাৎ গ্রহণ করা উচিত। সৃষ্টিশীল সংলাপের মাধ্যমে নিয়মিত স্তন চেকআপ এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিশ্চিত করাও বিস্ময়জনক ভাবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর। সুতরাং, নিজের স্বাস্থ্যকে অগ্রাহ্য না করে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা ব্যক্তিগত অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button