ইভ টিজিং কি? জানুন বিস্তারিত

ইভ টিজিং পরিচিতি হিসেবে এসেছে সমাজের এক গুরুতর সমস্যা হিসাবে, যেখানে মানুষ রাস্তা ও প্রকাশ্য জায়গাগুলিতে যৌন হয়রানির শিকার হয়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, এহেন কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে অশালীন আচরণ বা গানের জন্য সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল এবং মনিটরি জরিমানা বা এর উভয়েরই দণ্ড বিধান করে। ইভ টিজিং সংজ্ঞা দিয়ে বোঝানো হয় নারীর লজ্জা ভঙ্গ করার মতো যে কোনো মন্দ উদ্দেশ্যসম্পন্ন কাজের জন্য সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা নির্ধারিত হতে পারে।

এর মধ্যে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, প্রকাশ্য বা গৃহমধ্যে অসভ্য আচরণ করলে সর্বোচ্চ এক বছরের জেল বা দুই হাজার বাংলাদেশি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে, এবং আর্টিকেল ৭৫ অনুযায়ী অশিষ্ট আচরণের জন্য সর্বোচ্চ তিন মাসের জেল বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা নির্ধারিত হতে পারে। ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে তদন্ত বা বিচারের আগে অপরাধীদের অবিলম্বে সর্বোচ্চ দুই বছরের শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা রয়েছে বলে নিবন্ধটি উল্লেখ করে। সামগ্রিকভাবে এই নিবন্ধে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়ে থাকে এবং নিরাপত্তার জন্য সবসময় পরিবারের সঙ্গে অবস্থানের তথ্য শেয়ার করার পরামর্শ দেয়।

Contents show

ইভ টিজিং এর সংজ্ঞা ও ইতিহাস

ইভ টিজিং একটি সামাজিক নির্যাতনের রূপ, যা কেবলমাত্র মেয়েদের নিরাপত্তা নয়, বরং পুরো সমাজের সুস্থতাকে আক্রান্ত করে। ইভ টিজিং উৎপত্তি এর ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এই অধ্যায়ে।

ইভ টিজিং কোথা থেকে শুরু হয়েছে

ইভ টিজিং যে কোনো অযাচিত যৌন হয়রানি বা মন্তব্য যা মেয়েদের পূর্ণ অধিকার এবং স্বাধীনতাকে বিঘ্নিত করে, তার সূত্রপাত মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে, বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং বাংলাদেশে হয়েছে।

ইভ টিজিং এর সামাজিক প্রেক্ষাপট

এই অঞ্চলের সামাজিক গঠন একটি পুরুষপ্রধান ব্যবস্থা যেখানে মেয়েদের স্বাধিকার অবাধে লঙ্ঘন হয়। ইভ টিজিং এর ঘটনায় মেয়েরা প্রতিদিন বিভিন্ন রূপে হয়রানির মুখোমুখি হন, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নষ্ট করে।

ইতিহাস সাক্ষী, ১৯৮৮ সালে ভারতে ‘দি দিল্লি প্রোহিবিশন অফ এভ-টিজিং অ্যাক্ট- ১৯৮৮’ প্রণীত হয়, যা এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রথম আইনি পদক্ষেপ। বাংলাদেশেও এই সমস্যাকে আইনি পরিসরে নিয়ে আসা হয় ২০০০ সালে।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশে কিশোর অপরাধ এবং প্রতিকার

সর্বদা এমন উদাহরণ আছে যে, শুধু আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে নয়, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক বদল এনেই আমরা মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারি।

ইভ টিজিং এর প্রকারভেদ

ইভ টিজিং এর আলোচনায় প্রকারভেদ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। বিভিন্ন ধরনের ইভ টিজিং যেমন মৌখিক হয়রানি, শারীরিক নিপীড়ন, এবং ডিজিটাল অপরাধের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে নিপীড়ন সংঘটিত হয়।

মৌখিক ইভ টিজিং

মৌখিক হয়রানি প্রায়শই ছলনাময়ী প্রশংসা, অনাকাঙ্ক্ষিত প্রস্তাব এবং অশ্লীল মন্তব্যের মাধ্যমে ঘটে। এই ধরনের হয়রানি বাক্যবাণের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুর মানসিক শান্তি ব্যাহত করে এবং ব্যক্তিকে অস্বস্তি দেয়।

শারীরিক ইভ টিজিং

শারীরিক নিপীড়ন আরও গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছায়, যা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ, ঠেলাঠেলি, এমনকি শারীরিক আক্রমণের রূপ নিতে পারে। এই ধরনের অপরাধ সামাজিকভাবে অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এর প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ প্রয়োজন।

ডিজিটাল ইভ টিজিং

ডিজিটাল অপরাধ যা অনলাইন প্ল্যাটফর্মসমূহে ঘটে, তা অসংখ্য মানুষের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে বিস্তার লাভ করছে। এর অন্তর্ভুক্ত হয় অনলাইন হুমকি, হেনস্থা, অপ্রীতিকর ইমেজ পাঠানো, অথবা ইন্টারনেটে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো। প্রোফাইল সংরক্ষণ এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ এই ধরনের নিপীড়নের প্রতিরোধে সহায়ক।

কেন ইভ টিজিং ঘটে?

ইভ টিজিং একটি জটিল সামাজিক সমস্যা, যার মূলে রয়েছে সামাজিক কারণ, সংস্কৃতি, এবং লিঙ্গ বৈষম্য। এই তিনটি কারণই মিলে তৈরি করে একটি এমন পরিবেশ যেখানে মেয়েদের প্রতি যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো বারবার ঘটে চলে।

সামাজিক মানসিকতা

সামাজিকভাবে একটি প্রচলিত মানসিকতা বিরাজমান যেখানে নারীকে অধিকাংশ সময় একটি ‘দুর্বল লিঙ্গ’ হিসেবে দেখা হয়, যার ফলে তাদের প্রতি শোষণমূলক আচরণ প্রায়ই সহজে গ্রহণ করা হয়।

সাংস্কৃতিক প্রভাব

বাংলাদেশের মতো অনেক দক্ষিণ এশীয় সমাজে, লিঙ্গ বিষয়ক রূঢ়িবাদী ধারণা প্রবলভাবে বিদ্যমান, যা পুরুষদের কাছে নারীদের ‘অধিকারের’ উপর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে। এই সংস্কৃতি সর্বজনীন শ্রদ্ধা এবং সমতার পরিবেশ সৃষ্টিতে বাধা দান করে।

শক্তিশালী লিঙ্গসমতা

লিঙ্গ সমতা না থাকা, অর্থাৎ পুরুষ ও নারীর মধ্যে সমান অধিকার ও সুযোগের অভাব, ইভ টিজিংয়ের প্রবণতা বাড়াতে পারে। যখন সমাজে লিঙ্গ আধিপত্য রয়েছে, সেখানে পুরুষরা অনেক সময় নিজেদের নারীদের উপর বাড়তি ক্ষমতা প্রয়োগের হকদার মনে করে।

সংক্ষেপে, ইভ টিজিং শুধুমাত্র অপরাধীর ব্যক্তিগত বিকৃতির ফল নয়, বরং এটি গভীর সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক রূপরেখার অংশ। এটি বোঝা প্রয়োজন যে, একটি সহিষ্ণু এবং শ্রদ্ধাশীল সমাজ গঠনের জন্য সবাইকে মিলে এই ধরণের বৈষম্যকে প্রতিহত করা উচিত।

ইভ টিজিং এর প্রভাব

ইভ টিজিং এর প্রভাব বহুমাত্রিক ও গভীর উপলব্ধি জাগায়। এক পক্ষে যেমন এর শারীরিক ও মানসিক দিকগুলি প্রকট হয়, অন্য দিকে এর শিক্ষা ও সামাজিক সম্পর্কের উপরও তীব্র আঘাত হানে। এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ব্যক্তির জীবনযাত্রায় গভীর ছাপ ফেলে।

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য

ইভ টিজিং এর শিকার হওয়া ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য গুরুতরভাবে প্রভাবিত হতে পারে। মানসিক চাপ, অবসাদ, আতঙ্ক এবং নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি একজন মানুষকে গভীরভাবে পীড়িত করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  পেটেন্ট কি? আবিষ্কারের আইনি সুরক্ষা

শিক্ষার উপর প্রভাব

শিক্ষা অধ্যয়নরত অবস্থায় ইভ টিজিং এর প্রভাব পড়লে, শিক্ষার্থীর মনোযোগ হ্রাস পায় এবং শিক্ষাগত অগ্রগতি ব্যাহত হয়। ফলশ্রুতিতে এর প্রভাব ক্যারিয়ার বিকাশেও ধরা পড়ে।

সামাজিক সম্পর্কের উপর প্রভাব

সামাজিক মানুষের আত্মজীবনী গঠনে ইভ টিজিং এক্সট্রা বাঁধার মতো কাজ করে। আত্মবিশ্বাসের ক্ষতি ও সামাজিক মেলামেশায় অনাগ্রহ জন্মাতে পারে। এছাড়াও, ভিকটিম ব্লেমিং এর মতো সামাজিক অনুশীলনের ফলে শিকার ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য আরও খারাপ হতে পারে।

সারাংশে বলা যায়, একজন ব্যক্তির জীবনে ইভ টিজিং এর প্রভাব শুধু সাময়িক প্রতিরোধী নয়, বরং গভীর এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই ব্যাধির শিকার হওয়া এড়াতে এবং প্রতিরোধ করতে সচেতনতা ও শিক্ষার প্রয়োজন অপরিহার্য।

সরকারের ভূমিকা

ইভ টিজিং রোধে সরকারের পদক্ষেপ এবং আইনি বিধান একটি প্রাধান্যপূর্ণ বিষয়, যা নারীর নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষার্থে অপরিহার্য।

আইন ও বিধি

বাংলাদেশে ইভ টিজিং বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে পেনাল কোডের ২৯৪ ধারা অনুসারে, যে কেউ অশ্লীল আচরণ বা অন্যান্যদের সন্মুখে বিরক্তিকর কাজ করে তার জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীর পুলিশ অধ্যাদেশ অনুসারে, ধারা ৭৬ বলে, যে কেউ যদি জনসমক্ষে মহিলাদের হয়রানি বা বিরক্তি ঘটায়, তাহলে তাকে এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

প্রচারমূলক কার্যক্রম

সরকার ইভ টিজিং প্রতিরোধে বহুমুখী প্রচারণা চালু করেছে যেমন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে সচেতনতা কর্মশালা, হেল্পলাইন স্থাপন, এবং নারী পুলিশ অফিসারদের অংশগ্রহণ বাড়িয়েছে। এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে রিপোর্টিং হার এবং নারী নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রচেষ্টা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

  • মহিলা-বান্ধব পুলিশ স্টেশন ও সমর্থন সেন্টার গড়ে তোলা।
  • জনসচেতনতা ও মিডিয়া সম্পৃক্ততা বাড়ানো।

এই প্রচারণাগুলোর মাধ্যমে ইভ টিজিং সমস্যার প্রতি জনগণের ধারণা পরিবর্তনে এবং সামাজিক মূল্যবোধ উন্নয়নে সাহায্য করে।

সমাজের ভূমিকা

বাংলাদেশে ইভ টিজিং একটি গভীর সামাজিক সমস্যা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এ প্রেক্ষিতে, সমাজের প্রত্যেক সদস্যের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। সচেতনতা বৃদ্ধি ও সমর্থন গ্রুপ গঠনের মাধ্যমে এই ঘৃণ্য অভ্যাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

সচেতনতামূলক কার্যক্রম

সমাজে ইভ টিজিং-এর সমস্যার প্রতি সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরী। পাঠশালা, কলেজ, এবং কর্মস্থলে নিয়মিত ওয়ার্কশপ ও সেমিনার আয়োজন করে ইভ টিজিং-এর বিপদজনক প্রভাব সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া। মিডিয়ার সাহায্যে এই ইস্যুর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ ও সমাধানের উপায় তুলে ধরা।

সমর্থন গ্রুপ

ইভ টিজিং-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা এবং পুনর্বাসনের জন্য সমর্থন গ্রুপ গঠন করা গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সামাজিক ও মনোবিজ্ঞানী পেশাজীবীদের নিয়ে এই ধরনের গ্রুপ সাহায্য করতে পারে আক্রান্তদের মানসিক দৃঢ়তা ফিরে পাওয়াতে এবং সমাজে নিজের স্থান পুনরুদ্ধার করতে।

  1. মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা এবং কাউন্সেলিং সেবা প্রদান।
  2. আইনি সহায়তার জন্য পরামর্শ দেওয়া।
  3. শিক্ষামূলক এবং কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরিতে সহায়তা।
আরও পড়ুনঃ  আইন মানুষ কেন মান্য করে? মৌলিক কারণাবলী

শেষ পর্যন্ত, একটি সচেতন এবং সক্রিয় সমাজ ইভ টিজিং-এর মতো সামাজিক সমস্যা দূরিকরণে অপরিহার্য ভূমিকা রাখতে পারে। প্রত্যেকের অবদান ও সহযোগিতা দিয়ে আমরা একটি নিরাপদ ও সমতামূলক সমাজ গড়ে তুলতে পারি।

ইভ টিজিং প্রতিরোধের কৌশল

ইভ টিজিং এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকরী কৌশল গ্রহণ আবশ্যক। পারিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তির সমন্বিত উদ্যোগ একটি সুরক্ষিত ও সম্মানজনক সামাজিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে।

পারিবারিক শিক্ষা

পারিবারিক পর্যায়ে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। তরুণদের মধ্যে সম্মানজনক আচরণ ও সহানুভূতির চর্চা উৎসাহিত করা, গৃহে বই পড়া এবং শিল্পকলা যেমন চিত্রকলা, ক্রীড়া খেলা বা কবিতা আবৃত্তি করার মত কালচারাল এক্টিভিটি চালু রাখা উচিত।

স্কুল ও কলেজের উদ্যোগ

স্কুল এবং কলেজগুলোতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের সচেতন করা, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আচরণগত শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া এবং নিরাপত্তা প্রকল্প চালু করা। পাশাপাশি, পাঠ্যক্রমে লিঙ্গ সচেতনতামূলক শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত জরুরি।

প্রযুক্তির ব্যবহার

প্রযুক্তি ইভ টিজিং প্রতিরোধে এক শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে। নিরাপদ অ্যাপ্লিকেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করা, যা উত্ত্যক্তকারীদের চিহ্নিত করে এবং দ্রুত আইনগত সাহায্য পেতে সক্ষম করে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার্বিকভাবে, প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্র্যাকিং, রিপোর্টিং এবং সাহায্যের ক্ষেত্রগুলিতে কাজ করা এবং তথ্যভিত্তিক সচেতনতা বাড়ানো উচিত।

ইভ টিজিং সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি

বৈশ্বিক সমাজে ইভ টিজিং একটি নিন্দনীয় অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে, যার প্রতিবাদে বিভিন্ন দেশ নিজস্ব আইনি ও সাংস্কৃতিক কাঠামো গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে ইভ টিজিং সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা ও এর ফলশ্রুতিতে সামাজিক প্রতিফলন বিষয়ে গভীর আলোচনা প্রয়োজন।

বিভিন্ন দেশের আইনি কাঠামো

পুলিশ হেডকোয়ার্টার অনুসারে, গত বছর ১০৫টি মামলা নিবন্ধিত হয়েছে, যেখানে ৩৩৭টি জেনারেল ডায়েরি ও অভিযোগ নথিবদ্ধ হয়েছে ১২৯৬ জনের বিরুদ্ধে এবং প্রায় ৫২০ জন ব্যক্তি ইভ টিজিং এর সাথে জড়িতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই আইনি পদক্ষেপ বাংলাদেশের আইনি কাঠামোর একটি অংশ হিসেবে দেখা যায়। তদুপরি, অভিযোগের ভৌগলিক বিবরণ অনুযায়ী, রাজশাহীতে ১৩টি, সিলেটে ১৮টি, বরিশালে ২৭টি, রংপুরে ৫ টি এবং চট্টগ্রামে ২৩৭টি ঘটনা ঘটেছে। ইভ টিজিং এ প্রতিবাদ করায় অভিযুক্তের পিতা-মাতা, যেমন নাটোরের মিজানুর রহমান এবং ফরিদপুরের ছাপা রানি বৌমিক, নিজেরাও ভুক্তভোগী হচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি

বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশে মহিলাদের কেনাকাটা ও বাজারের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করে বলা হয়েছে যে নারীদের ক্রয়শক্তি এবং বাজারের প্রবণতা গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভাষা, ধর্ম, জাতি এবং সামাজিক মানদণ্ডের মতো সামাজিক-সাংস্কৃতিক উপাদানগুলির প্রসঙ্গে লিঙ্গভেদে খরচের আচরণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। নারীদের অবহিত ক্রয় সিদ্ধান্ত নিতে এবং অর্থনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ শক্তিশালী করার প্রয়োজন উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, মে ৩১, ২০২০, জুন ১৫, ২০২০, এবং জুন ২৮, ২০২০-এর মতো বিশেষ তারিখগুলি গবেষণা বা প্রকাশনার সময়সীমার প্রেক্ষাপটে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button