গুগল প্লে কনসোলে টেস্টার যোগ করার পদ্ধতি জানুন

গুগল প্লে কনসোল ব্যবহার করে আপনার অ্যাপে টেস্টার যুক্ত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা আপনার অ্যাপের কার্যকারিতা এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সহায়তা করে। এই নিবন্ধে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হবে কীভাবে আপনি সঠিকভাবে টেস্টার যোজন করবেন এবং অ্যাপ টেস্টিং প্রক্রিয়াটি কীভাবে সহজতর করবেন। গুগল প্লে কনসোলে টেস্টার যোজন করতে প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা ও ফিচার বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। আপনার অ্যাপ উন্নত করতে এবং তার কার্যকরীতা পরীক্ষা করতে আরও নির্ভুল পদ্ধতি জানতে এই নিবন্ধটি অনুশীলন করুন।

গুগল প্লে কনসোলের ভূমিকা

গুগল প্লে কনসোল হল একটি কেন্দ্রীয় ড্যাশবোর্ড যা ডেভেলপারদের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ডেভেলপার টুলস এর মাধ্যমে ডেভেলপাররা তাদের অ্যাপস গুগল প্লে স্টোরে প্রকাশ, পরিচালনা এবং মনিটর করতে পারে। এই প্ল্যাটফর্মটি ডেভেলপারদের জন্য কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফিচার প্রদান করে, যা তাদের অ্যাপ ব্যবস্থাপনা আরও সহজ করে তোলে।

গুগল প্লে কনসোলের অন্যতম প্রধান ফিচারগুলির মধ্যে রয়েছে –

  • অ্যাপের পার্ফরম্যান্স ট্র্যাক করা
  • ব্যবহারকারীর রিভিউগুলি পড়া এবং তাতে রেসপন্স করা
  • ফিনান্সিয়াল তথ্য হ্যান্ডেল করা

গুগল প্লে কনসোল ব্যবহারের মাধ্যমে ডেভেলপাররা তাদের অ্যাপের বিস্তারিত লগআউট দেখতে পায় এবং তাতে উপযুক্ত পরিবর্তন করার সুযোগ পায়। এসব ডেভেলপার টুলস ব্যবহার করে ডেভেলপাররা তাদের অ্যাপ ব্যবস্থাপনা আরও দক্ষতার সাথে করতে পারে। গুগল প্লে কনসোল ডেভেলপারদের সময়ে সময়ে ফিডব্যাক গ্রহণ এবং সেই অনুযায়ী অ্যাপের উন্নতি করতে সহায়তা করে, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে। এই কারণে গুগল প্লে কনসোল প্রতিটি ডেভেলপারের জন্য একটি অপরিহার্য টুল।

How to Add Tester in Google Play Console

গুগল প্লে কনসোল ব্যবহার করে টেস্টার সংযোজন করা একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ যা সমস্ত গুগল প্লে ডেভেলপারদের জানা উচিত। এটি নিশ্চিত করে আপনার অ্যাপ টেস্টিং কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। টেস্টার যোগ করার মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যাপের সম্ভাব্য ত্রুটি সনাক্ত করতে পারেন।

  1. প্রথমেই, গুগল প্লে কনসোলে লগইন করুন এবং আপনার ড্যাশবোর্ডে যান।
  2. তারপর “Testing” ট্যাব-এ ক্লিক করুন এবং উপযোগিতা অনুযায়ী “Internal”, “Closed”, অথবা “Open” টেস্ট নির্বাচন করুন।
  3. “Create Test” এ ক্লিক করুন এবং টেস্টের নাম ও বিস্তারিত বিবরণ সংযুক্ত করুন।

গুগল প্লে কনসোলের নিয়ম অনুসারে, প্রতি অ্যাপে সর্বাধিক ১০০ জন অভ্যন্তরীণ টেস্টার যোগ করা যাবে। ক্লোজড টেস্টে লক্ষ্য সংখ্যা হল ২০০টি তালিকা, যেখানে প্রত্যেক তালিকায় সর্বোচ্চ ২০০০ জন যোগ করা যাবে।

টেস্টারদের অ্যাপ টেস্টিং অভিজ্ঞতা নিখুঁত করার জন্য আপনাকে প্রথমেই অবশ্যই প্রয়োজনীয় যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সমাপ্ত করতে হবে। টেস্টিং প্রক্রিয়ায় যুক্ত সব ব্যবহারকারীর একটি গুগল অ্যাকাউন্ট (@gmail.com) অথবা গুগল ওয়ার্কস্পেস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

  • নতুন গুগল ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট: ২০টি অভ্যন্তরীণ টেস্টার অন্তর্ভুক্ত করে একটি অ্যাপ কমপক্ষে ১৪ দিন পরীক্ষা করতে হবে।
  • মুক্ত টেস্টের জন্য যে কোন ব্যবহারকারী কমপক্ষে ৫০টি তালিকা তৈরি করতে পারবে, যাতে ২০০০ জন পর্যন্ত সন্নিবেশিত করা যায়।
  • অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় টেস্টাররা বিনামূল্যে অ্যাপ ইনস্টল করতে পারবেন; তবে অন্যান্য টেস্টে অর্থ প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটের স্ক্রিন সেন্সিটিভিটি ঠিক করার উপায়

আপنی যদি গুগল প্লে ডেভেলপার হিসাবে যুক্ত হয়ে নতুন অ্যাপ চালু করতে চান, তাহলে প্রথমে টেস্টার সংযোজন ও তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক অ্যাপ টেস্টিং কৌশলগুলির মাধ্যমে আপনার অ্যাপটি আরও উন্নত ও নির্ভুল হবে।

গুগল প্লে কনসোলে অ্যাকাউন্ট তৈরি

গুগল প্লে কনসোলে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হলে প্রথমেই আপনার একটি গুগল অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজন। গুগল প্লে কনসোলে ডেভেলপার হিসেব নিবন্ধনের জন্য এটি অবশ্যই অত্যাবশ্যক।

গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার

প্রথমে আপনার বিদ্যমান গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লগইন করুন। গুগল অ্যাকাউন্ট না থাকলে, অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন খুব সহজেই। একবার লগইন করলে, আপনি গুগল প্লে কনসোলের হোমপেজে চলে যাবেন।

গুগল প্লে কনসোলে নিবন্ধন

লগইন করার পর, “পরিষেবা নীতি” এবং “ব্যবহারের শর্তাবলী” পড়ে সম্মত হন। তারপর, “Get Started” বা “নমুনা শুরু করুন” বাটনে ক্লিক করুন। এখানে কিছু ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক তথ্য পূরণ করতে হবে যেমন, আপনার নাম, ঠিকানা, এবং পেমেন্ট তথ্য। সমস্ত তথ্য ঠিকমতো পূরণ করা হলে, আপনি গুগল প্লে কনসোলে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলবেন।

এইভাবে, একটি সঠিক গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সহজেই গুগল প্লে কনসোলে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। এটি আপনাকে ডেভেলপার হিসেবে প্লে স্টোরে অ্যাপস প্রকাশ করতে সহায়তা করবে।

ড্যাশবোর্ডের সাথে পরিচয়

ড্যাশবোর্ড হল গুগল প্লে কনসোলের হৃদয়, যেখানে আপনি আপনার অ্যাপ্লিকেশনগুলি পরিচালনা এবং বিশ্লেষণ করতে পারবেন। এই গুগল প্লে ড্যাশবোর্ডে বিভিন্ন মডিউল রয়েছে যা অ্যাপ পার্ফরম্যান্স এবং ইউজার ইনগেজমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে।

গুগল প্লে ড্যাশবোর্ডের সাহায্যে, আপনি নিম্নলিখিত কাজগুলি করতে পারবেন:

  • অ্যাপ পার্ফরম্যান্স ট্র্যাক করা
  • ইউজার ইনগেজমেন্ট এনালাইসিস
  • রিভিউ মনিটরিং এবং সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেওয়া
  • অ্যাপ ইনস্টলেশন ও আনইনস্টলেশন স্ট্যাটিস্টিক্স দেখা
  • রেভিনিউ রিপোর্ট এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক ডেটা পর্যালোচনা

এই ড্যাশবোর্ড ব্যবহার করতে, আপনাকে প্রথমে অ্যাপ ম্যানেজমেন্ট এর নিখুঁত ধারণা থাকতে হবে। ড্যাশবোর্ডে আপনি আপনার অ্যাপ্লিকেশনের অ্যাপ পার্ফরম্যান্স সম্পর্কিত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন যা আপনাকে আপনার অ্যাপ জনপ্রিয় করতে এবং এর মানোন্নয়ন করতে সাহায্য করবে।

গুগল প্লে ড্যাশবোর্ডের বিভিন্ন সুবিধাসমূহ আপনাকে আরও বেশি জ্ঞান এবং দক্ষতার সাথে আপনার অ্যাপ পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।

টেস্টার যোগ করার জন্য প্রযঋজনীয় তথ্য

গুগল প্লে কনসোলে টেস্টার যোগ করতে টেস্টারের তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, টেস্টারের ইমেইল অ্যাড্রেস, ডিভাইসের মডেল নাম্বার এবং পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত অ্যাপ ভার্সন কন্ট্রোল তথ্য প্রদান করতে হবে।

টেস্টার যোগ করার ক্ষেত্রে অ্যাপ টেস্টিং এর প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন:

  1. ইমেইল সংগ্রহ: টেস্টারের যোগাযোগের জন্য প্রথমেই তাদের ইমেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করতে হবে।
  2. ডিভাইস সংক্রান্ত তথ্য: টেস্টার যে ডিভাইসে অ্যাপ পরীক্ষা করবে তার মডেল, সিস্টেম ভার্সন ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা জরুরি।
  3. ভার্সন কন্ট্রোল: টেস্টিং প্রক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ এবং সফলতা নির্ধারণের জন্য নির্দিষ্ট অ্যাপ ভার্সন নির্ধারণ করতে হবে।

উপরিউক্ত প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে পালন করলে অ্যাপ টেস্টিং এর প্রক্রিয়া আরও দক্ষ এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। এছাড়া, টেস্টারের তথ্য সঠিকভাবে নথিভুক্ত করা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হলে, সে অনুযায়ী অ্যাপের কার্যক্ষমতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে।

আরও পড়ুনঃ  অ্যান্ড্রয়েড ফোনের স্ক্রিন রেজোলিউশন জানুন সহজে

টেস্টার আমন্ত্রণ প্রক্রিয়া

গুগল প্লে কনসোলে টেস্টার আমন্ত্রণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। এটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হলে কয়েকটি ধাপে অ্যাপ ব্যবস্থাপনা, টেস্টার সন্ধান এবং সঠিক আমন্ত্রণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এখানে আমরা সেই প্রক্রিয়াটি বিশ্লেষণ করবো।

অ্যাপ ব্যবস্থাপনা

সফলভাবে টেস্টার আমন্ত্রণ করতে হলে অ্যাপ পরিচালনা পূর্ব প্রস্তুতির একটি অপরিহার্য অংশ। আপনার অ্যাপের সর্বশেষ সংস্করণটি আপলোড করুন এবং যথাযথ টেস্ট পরিকল্পনা তৈরি করুন যা টেস্টারদের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্দীপনা সরবরাহ করবে।

টেস্টার অনুসন্ধান এবং নির্বাচন

টেস্টারদের নির্বাচন প্রক্রিয়া ভীষণ কৌশলী। সঠিক টেস্টার পাওয়ার জন্য আপনার টার্গেট অডিয়েন্স অনুযায়ী অনুসন্ধান করুন। এজন্য আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং কমিউনিটি ফোরাম ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার টেস্ট পরিকল্পনা সফল হবে।

আমন্ত্রণ পাঠানো

টেস্টার আমন্ত্রণ পাঠানোর ক্ষেত্রে আপনাকে বিস্তারিত তথ্যপূর্ণ আমন্ত্রণ পাঠাতে হবে। এতে আপনাকে টেস্ট পরিকল্পনা এবং কীভাবে তারা তাদের ফিডব্যাক সরবরাহ করবেন তার বিস্তারিত বর্ণনা প্রদান করতে হবে। ফিডব্যাক সংগ্রহ করার জন্য তোমাকে বিভিন্ন টুল ব্যবহার করতে হবে যেন সহজেই তথ্য সংগৃহীত হয়।

টেস্টিং ছাড়পত্র এবং আপডেট

একটি সফল টেস্ট রিলিজ পরবর্তীতে, অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো অ্যাপ্লিকেশনের ছাড়পত্র এবং আপডেট নিশ্চিত করা। সাধারণত, টেস্টারদের প্রতিক্রিয়া গ্রহণের পরে নতুন অ্যাপ আপডেট করতে হয় যা বাগ ফিক্সিং সহ বিভিন্ন বিষয়গুলোকে সমাধান করে।

বাগ ফিক্সিং এর সাহায্যে, ডেভেলপাররা শীঘ্রই ত্রুটিগুলি সনাক্ত করে এবং সমাধান করে যা টেস্টারদের দ্বারা রিপোর্ট করা হয়ে থাকে। এটি অ্যাপ্লিকেশনটির স্থায়িত্ব উন্নত করতে সহায়তা করে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সুদর্শন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।

অ্যাপ আপডেট করার সময় ডেভেলপারদের অবশ্যই সমস্ত পরীক্ষিত ডিজাইন এবং কার্যকারিতা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। টেস্টারদের প্রতিক্রিয়া এবং পরামর্শের ভিত্তিতে, একটি চূড়ান্ত সংস্করণ রিলিজ করার আগে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলি করা হয়।

  • প্রথমে, টেস্ট রিলিজ এবং প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ।
  • পরবর্তীতে, কোন কোন বাগ ফিক্সিং প্রয়োজন তা নির্ধারণ।
  • তারপর, সংশোধিত অ্যাপ আপডেট প্রস্তুত করা।

এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করার ফলে ডেভেলপাররা নিরাপদে এবং কার্যকরভাবে তাদের অ্যাপ্লিকেশনটির চূড়ান্ত সংস্করণ প্রয়োগ করতে পারেন। সুষ্ঠু আপডেট রোলআউট নিশ্চিত করে যে ব্যবহারকারীরা তাঁদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সর্বাধিক কার্যকর অ্যাপ্লিকেশনটি পেতে সক্ষম হন।

টেস্টিং ফিডব্যাক সংগ্রহ

গুগল প্লে কনসোলে টেস্টিং ফিডব্যাক সংগ্রহের জন্য কেন্দ্রীয় বিষয়গুলি একসঙ্গে নিয়ে আসা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই ধাপের মাধ্যমে অ্যাপ উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের সঠিক উদ্ধারণ করা যায় এবং অর্ধের যাবতীয় সমস্যা নির্ধারণ করা যায়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেস্টিং ফিডব্যাক সংগ্রহ করে অ্যাপ উন্নতি করার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। নিচে কিছু কার্যকর উপায় উল্লেখ করা হল:

ফর্ম ব্যবহার

ফিডব্যাক সংগ্রহের একটি সাধারণ এবং কার্যকর উপায় হল ফর্ম ব্যবহার করা। আপনি গুগল ফর্ম বা যেকোনও সাধারণ ফর্ম তৈরির টুল ব্যবহার করে সহজেই ফিডব্যাক সংগ্রহ করতে পারেন। ফর্মটিতে কি ধরনের সমস্যা টেস্টারেরা সম্মুখীন হচ্ছে এবং কি ধরনের উন্নতি তারা দেখতে চায় তা জানতে পারেন।

  • টেস্টিং ফিডব্যাক ফর্ম ব্যবহার করা সহজ
  • উন্নতি প্রয়োজন এমন ক্ষেত্রগুলি দ্রুত উদ্ধারণ করতে সাহায্য করে
  • একক প্ল্যাটফর্মে সমস্ত ফিডব্যাক সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ
আরও পড়ুনঃ  প্লে স্টোর ছাড়া কীভাবে গেমস ডাউনলোড করবেন

ইমেইল দ্বারা ফিডব্যাক

আরও একটি জনপ্রিয় উপায় হল ইমেইল দ্বারা ফিডব্যাক সংগ্রহ করা। টেস্টারদের পৃথক ইমেইল পাঠিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা এবং সমস্যাগুলি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে। এটি অনেক সময় গ্রহণ করতে পারে তবে এটি খুবই ব্যক্তিগত এবং কার্যকরী হতে পারে।

  • ব্যক্তিগত ফিডব্যাক সংগ্রহের জন্য কার্যকর ইমেইল
  • স্বল্প পরিমাণে টেস্টারদের জন্য উপযুক্ত
  • উন্নতি প্রয়োজন এমন বিষয়গুলি সরাসরি জানার উপায়

উভয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে টেস্টিং ফিডব্যাক সংগ্রহ করলে, অ্যাপের কার্যকারিতা এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নতি করা সহজ হবে। সঠিক উদ্ধারণ এবং উন্নতির মাধ্যমে গুগল প্লে কনসোলে আপনার অ্যাপের গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা যাবে।

জরিপ এবং বিশ্লেষণ

অ্যাপ ব্যবহারের সময় ত্রুটি এবং উন্নতির সুযোগ খুঁজে বের করতে জরিপ অপরিহার্য। গুগল প্লে কনসোলে টেস্টারগণের প্রতিক্রিয়া সংগ্রহের মাধ্যমে, অ্যাপ ডেভেলপাররা প্রয়াস করতে পারবেন সেই সমস্ত দিক চিহ্নিত করতে যেগুলি উন্নত করার প্রয়োজন আছে।

একটি কার্যকর জরিপ পরিচালনা করতে, নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন:

  • উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন: টেস্টারদের নির্দিষ্ট প্রশ্ন করুন যা থেকে গুণগত বিশ্লেষণ করা সহজ হবে। উদাহরণস্বরূপ, “এপ্লিকেশন ব্যবহারের সময় কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন?”
  • ডেটা সংগ্রহ: যতটা সম্ভব ডেটা সংগ্রহ করুন, বিশেষ করে ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া এবং প্রমিত মেট্রিক্স। এটি গুণগত বিশ্লেষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • বারবার পরীক্ষা: সমান তালে বারবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত করুন যে একই ত্রুটি পুনরাবৃত্তি না হয়। প্রযোজনীয় ক্ষেত্রে ডেটা বিশ্লেষণ করে পুনরায় যাচাই করতে হবে।

জরিপ এবং ডেটা সংগ্রহের পরে, ডেটা বিশ্লেষণ শুরু করুন। এটি করতে গেলে নিম্নলিখিত বিষয় বিবেচনা করুন:

  • পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ: আপনার অ্যাপের বিভিন্ন দিক চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে। কীভাবে বিভিন্ন ব্যবহারকারী আপনার অ্যাপ ব্যবহার করছেন তা পর্যালোচনা করুন।
  • গুণগত বিশ্লেষণ: ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়ার একটি সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করুন। এটি কেবল সমস্যা সমাধানেই সাহায্য করবে না, বরং নতুন বৈশিষ্ট্য বিকাশের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দেবে।
  • ফলাফল প্রয়োগ: জরিপ এবং ডেটা বিশ্লেষণের ফলাফলের ভিত্তিতে আপনার অ্যাপের ক্রমাগত উন্নতি করুন। সমস্যা সমাধান এবং নতুন আপডেট আনুন যা আপনার ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করবে।

সমাপ্তি

একটি সাফল্যমণ্ডিত গুগল প্লে কনসোল টেস্টিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে, কৌশল সমাপন এবং পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমস্ত বিভাগের মাধ্যমে আপনি প্লে কনসোলের টেস্টার যোগ করার প্রয়োজনীয় সমস্ত ধাপ এবং কৌশল সম্পর্কে শিখতে পেরেছেন।

গুগল প্লে কনসোলের ড্যাশবোর্ড, টেস্টার আমন্ত্রণ প্রক্রিয়া, এবং আপডেট সংরক্ষণ পদ্ধতি সহ অন্যান্য বিবরণ এই নিবন্ধে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি ধাপে আপনাকে সাহায্য করার জন্য এবং ব্যবহারকারীদের থেকে ফিডব্যাক সংগ্রহ করার জন্য ফর্ম এবং ইমেইল ব্যবহারের কৌশল সমাপন করা হয়েছে।

প্রকল্পের সফল সমাপ্তির জন্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং ফিডব্যাক বিশ্লেষণ অপরিহার্য। টেস্টিং প্রক্রিয়া এবং প্রোজেক্টের শেষ পর্যায়ে এই দুটি প্রধান কার্যক্রম কৌশল সমাপন নিশ্চিত করে। আশা করি এই নিবন্ধের মাধ্যমে আপনি গুগল প্লে কনসোলের বিভিন্ন দক্ষতা এবং কৌশল সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন এবং আপনার টেস্টিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button