দ্রুত পিরিফর্মিস সিনড্রোম নিরাময়ের উপায়

পিরিফর্মিস সিনড্রোম একটি সাধারণ সমস্যা যা প্রায়শই সায়াটিকা হিসাবে চিহ্নিত হয়। প্রতি বছর দেশে রিপোর্ট হওয়া ৩ মিলিয়ন সায়াটিকা কেসের প্রায় ১০% পিরিফর্মিস বা সাব গ্লুটিয়াল স্পেসের টিস্যুর সাথে সম্পর্কিত। এই অবস্থার কারণে ব্যথা নিতম্ব এবং পায়ের পেছনের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

দ্রুত আরোগ্যের জন্য পিরিফর্মিস সিনড্রোমের কার্যকর চিকিৎসা প্রয়োজন। পিরিফর্মিস পেশীর চাপের কারণে সায়াটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যথা, অসাড়তা এবং টনটন অনুভূতি হতে পারে। গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে পিরিফর্মিস ইনভলভমেন্ট পরীক্ষার ৭৮% সংবেদনশীলতা এবং ৮০% সুনির্দিষ্টতা রয়েছে।

প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফিজিওথেরাপি, যেমন ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন, আল্ট্রাসাউন্ড, কাপিং এবং ড্রাই নিডলিং ব্যবহার করে পিরিফর্মিস সিনড্রোমের ব্যথা কমানো যায়। কিছুক্ষেত্রে ইস্টেরয়েড ইনজেকশনের মাধ্যমেও উপশম লাভ করা যায়। তবে, ঘরোয়া চিকিৎসা এবং আসন ব্যায়ামও উল্লেখযোগ্য ফলাফল প্রদান করে। ব্যথা মুক্তির টিপস হিসেবে পিরিফর্মিস পেশীর স্ট্রেচিং এবং ম্যাসাজ প্রতিদিন অনেকবার করা উচিত।

আগামী মাসের পরবর্তী প্রবন্ধে আরও একটি সাধারণ সায়াটিকার কারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে।

Contents show

পিরিফর্মিস সিনড্রোমের পরিচিতি

পিরিফর্মিস সিনড্রোম হল একটি নিউরোমাসকুলার ডিজঅর্ডার যা পিরিফর্মিস মাসল এবং সায়াটিক নার্ভের মাঝে সংঘর্ষ হওয়ার ফলে ঘটে। এটি মূলত হিপ মাসলস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। যারা দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকেন, তারা প্রায়শই এই সমস্যার সম্মুখীন হন। এছাড়াও, যেসব অ্যাথলেট নিয়মিত ভার উত্তোলন করেন বা সাইক্লিং করেন, তারাও এই সিনড্রোমে ভোগার সম্ভাবনা রাখেন।

এই সিনড্রোমে আক্রান্ত রোগীরা সাধারণত নিতম্বে ও পায়ের পিছনে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। স্ট্রেচিং এবং ব্যায়াম এই সমস্যার কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। নিয়মিত স্ট্রেচিং আর ব্যায়াম পিরিফর্মিস মাসলের উত্তেজনা কমিয়ে এবং হিপ মাসলস-এর সচলতা বাড়িয়ে উপসর্গগুলোর উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।

সবচেয়ে বেশি প্রস্তাবিত স্ট্রেচিং ব্যায়ামগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • নিতম্বে চাপ দিয়ে হাঁটু টান ফুটো স্ট্রেচ
  • গোড়ালির উপরে হাঁটু রেখে পিরিফর্মিস স্ট্রেচ
  • ব্রিজ
  • সাইড লেগ লিফটস
  • ক্ল্যামশেল
  • মুখ নিচু করে পা তুলে রাখা
  • স্ট্যান্ডিং স্মল রেঞ্জ স্কোয়াট

এছাড়াও, দীর্ঘ সময় বসে থাকা এড়িয়ে চলা উচিত এবং কাজের সময় প্রতি আধাঘণ্টায় একবার দাঁড়িয়ে থাকা উচিত। যদি নিয়মিত স্ট্রেচিং ও ব্যায়ামের পরেও এক মাসের মধ্যে উপসর্গগুলি উন্নতি না হয়, তবে স্বাস্থ্যসেবক এর সাথে পরামর্শ করা যেতে পারে। অত্যন্ত বিরল ক্ষেত্রে সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে, যেখানে পিরিফর্মিস মাসল কেটে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ  বন্ধ্যাত্ব কী? জানুন বন্ধ্যাত্বের কারণ ও লক্ষণ

পিরিফর্মিস সিনড্রোমের লক্ষণ

পিরিফর্মিস সিনড্রোম ঐক্যবদ্ধ পর্যায়ে অনেক ধরনের লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। মূলত এটি সাধারণত নিতম্ব ব্যথা ও সংলগ্ন অঞ্চলগুলোতে জ্বালা করে। নিচে উল্লেখিত কিছু সাধারণ লক্ষণ এর কারণ হিসেবে চিন্হিত করা যায়:

নিতম্বে ব্যথা ও টনটন

পিরিফর্মিস সিনড্রোমের সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হল নিতম্বে তীব্র ব্যথা অনুভব করা। পিরিফর্মিস পেশী দ্বারা সায়াটিক স্নায়ুর সংকোচন বা জ্বালা জন্য এই ব্যথা পশ্চাত্ মাধ্যমে সায়াটিকা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া, পেশী টান হওয়ার ফলে, ব্যথা উরু, বাছুর এবং পায়েও ছড়িয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, এটি সিঁড়ি দিয়ে উঠানামার সময় সেই ব্যথা আরো প্রখর হয়।

অন্যান্য লক্ষণ

পিরিফর্মিস সিনড্রোমে অন্য কিছু লক্ষণও দেখা যেতে পারে, যেমন নিতম্বের জয়েন্টে ব্যথা ও ঝিমঝিম অনুভূতি। নিতম্ব ব্যথা সায়াটিক স্নায়ু বাহন করার পথে প্রসারিত হয় এবং প্রায়শই হাঁটার সময় কিংবা বসে উঠতে সমস্যা সৃষ্টি করে। প্রায়শই শারীরিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে যেন এই ব্যথা ছড়ায়, ফলে রোগীরা প্রায়ই সামান্য প্রয়াসেই ব্যথার শূল অনুভব করেন।

পিরিফর্মিস সিনড্রোমের কারণসমূহ

পিরিফর্মিস সিনড্রোমের দুইটি প্রধান কারণ রয়েছে: প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি কারণ। এই পেশী সমস্যা পিরিফর্মিস পেশীর সংস্পর্শে আসা সায়টিক নার্ভের উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়। কারণ ও প্রতিকার জানলে এই সমস্যার প্রতিকার করা সম্ভব।

প্রাইমারি পিরিফর্মিস সিনড্রোম

প্রাইমারি পিরিফর্মিস সিনড্রোম প্রাথমিকভাবে পেশীর জন্মগত সমস্যা থেকে উদ্ভূত হয়। সাধারণত, পেশীর অস্বাভাবিক গঠন বা স্থানাঙ্কের কারণ হতে পারে। এ ধরণের কাঠামোগত অসঙ্গতি কারণে সায়টিক নার্ভ সংকোচনের শিকার হতে পারে যা ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ সৃষ্টি করে।

সেকেন্ডারি পিরিফর্মিস সিনড্রোম

সেকেন্ডারি পিরিফর্মিস সিনড্রোম সহ বেশ কিছু কারণের মাধ্যমে দেখা দিতে পারে। এসব কারণের মধ্যে থাকে:

  • আঘাত: গাড়ি দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া, বা হাটুর হঠাৎ মোচড় খাওয়া পেশী সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে।
  • পেশীর খিঁচুনি বা সংকোচন: অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে পিরিফর্মিস পেশী ফুলে উঠতে পারে বা আঘাতগ্রস্ত হতে পারে, যার ফলে সংকোচন এবং খিঁচুনি হতে পারে।
  • প্রবেশিকা আঘাত: সরাসরি পেশীতে প্রবেশ করা জন্য কোনও ক্ষত পিরিফর্মিস সিনড্রোমের কারণ হতে পারে।

কারণ ও প্রতিকার জানার মাধ্যমে এই পেশী সমস্যা ব্যবস্থাপনা সহজে করা সম্ভব। প্রাথমিক কারণগুলো জন্মগত হলেও সেকেন্ডারি কারণগুলো এলোমেলো ঘটনাসমূহ থেকে তৈরি হয়। সঠিক চিকিৎসা এবং প্রতিকার পিরিফর্মিস সিনড্রোম নিরাময়ে সহায়ক হতে পারে।

পিরিফর্মিস সিনড্রোম নিরাময়ে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি

পিরিফর্মিস সিনড্রোম নিরাময়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে এই চিকিৎসা পদ্ধতি রোগমুক্তি ও স্বাস্থ্যের পূর্ণত্ব নিয়ে আসে।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মূলত ত্রয়ী উপায় দ্বারা কাজ করে থাকে। প্রথমত, যোগব্যায়াম যা পিরিফর্মিস মাসলের টান কমাতে সাহায্য করে। সম্পূর্ণ ব্যায়ামগুলি রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং পেশিগুলির স্থায়িত্বকে শক্তিশালী করে।

আরও পড়ুনঃ  পিত্তথলির পাথর এর লক্ষণ

দ্বিতীয়ত, প্রাণায়াম বা শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়মিত অনুশীলন শরীরের বিশ্রাম এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, যা পিরিফর্মিস সিনড্রোমের লক্ষণগুলি হ্রাস করে।

তৃতীয়ত, আয়ুর্বেদিক ওষুধ যেমন মহর্ষি আয়ুর্বেদিক ক্লিনিক-এর সুপরিচিত ভোগগুলি ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধগুলি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি যা প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা শরীরের ভেতরে জমা হওয়া টক্সিন দূর করে এবং দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।

  • প্রাকৃতিক উপাদান সহকারে মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম করা।
  • প্রতিদিন নিয়মিত প্রাণায়ামের অনুশীলন।
  • আয়ুর্বেদিক ওষুধ গ্রহণ।

এভাবে, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে পিরিফর্মিস সিনড্রোমের নিরাময় দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে সম্ভব।

বাড়িতে পিরিফর্মিস সিনড্রোম নিরাময়ের উপায়

পিরিফর্মিস সিনড্রোমের ব্যথা তীব্র হয়ে উঠলে, বাড়িতেই কিছু কার্যকরী হোম রেমেডিস্ব-যত্ন অনুসরণ করে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এর মধ্যে হট এন্ড কোল্ড থেরাপি এবং নির্দিষ্ট স্ট্রেচিং ব্যায়াম বিশেষভাবে কার্যকর। নিয়মিত এই অনুশীলনগুলি অনুসরণ করলে সুস্থতা বজায় রাখা সহজ হয়।

হট এন্ড কোল্ড থেরাপি

পিরিফর্মিস সিনড্রোমের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে হট এন্ড কোল্ড থেরাপি পালন করা অত্যন্ত উপকারী। তাপপ্রয়োগ করলে পেশীর অস্বস্তি কমে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা আরাম দেয়। অন্যদিকে ঠান্ডা থেরাপি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং ব্যথা উপশম করে। স্ব-যত্ন-এর অংশ হিসেবে এই থেরাপি প্রয়োগ করার কিছু নিয়ম রয়েছে:

  • প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় ২০ মিনিট ধরে দিনে ৩-৫ বার ঠান্ডা থেরাপি প্রয়োগ করুন।
  • পরবর্তী পর্যায়ে তাপপ্রয়োগ দিন। এক্ষেত্রে গরম প্যাড বা বোতল ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ২০-৩০ মিনিট ধরে প্রয়োগ করা উচিত।
  • বিকল্প হিসাবে হট এবং কোল্ড থেরাপি ব্যবহার করতে পারেন, যা দ্রুত ব্যথা নিরাময়ে কার্য়কর।

স্ট্রেচিং ব্যায়াম

নিয়মিত স্ট্রেচিং ব্যায়াম পালন করলে পিরিফর্মিস পেশীর স্থিতিস্থাপকতা উন্নত হয় এবং ব্যথা কমে। এই হোম রেমেডি অনুসরণ করে সহজেই ব্যথার উপশম সম্ভব:

  1. পিড়িফর্মিস স্ট্রেচ: মেঝেতে শুয়ে হাঁটু মুড়ে পায়ের গোড়ালি অন্য পায়ের হাঁটুর উপর রাখুন। এরপর বা-পায়ের হাঁটু ডান দিকে টানুন, যতক্ষণ না পায়টা বুকের কাছে আসে। ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপরে অন্য দিকে করুন।
  2. ঘোড়ার জুতা স্ট্রেচ: এক পা অন্য পায়ের সামনে রেখে প্রসারিত করুন। সামনে ঝুঁকে হাত দিয়ে মাটিকে স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। ৩০ সেকেন্ড ধরে থাকুন, এবং পায়ের স্থান পরিবর্তন করে পুনরাবৃত্তি করুন।
  3. গ্লুট স্ট্রেচ: পেছনের দিকে শুয়ে একটি পা বুকের কাছে টেনে আনুন এবং এরপর আস্তে করে অন্য পায়ের দিকে টানুন। ২০-৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন।

এই স্ব-যত্ন পদ্ধতি অনুসরণ করলে পিরিফর্মিস সিনড্রোমের মত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশী শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করতে পারে।

পিরিফর্মিস সিনড্রোমের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি

পিরিফর্মিস সিনড্রোমের কার্যকর চিকিৎসার জন্য ফিজিওথেরাপি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। যেহেতু পিরিফর্মিস সিনড্রোম আসলে সায়াটিক নার্ভের চাপের কারণে ঘটে, সঠিক ফিজিওথেরাপি ব্যাথা নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে। ফিজিওথেরাপি ক্লিনিকে প্রশিক্ষিত ফিজিওথেরাপিস্টদের পরামর্শে এই চিকিৎসা নেয়া উচিত, কারণ তারা ব্যাথা পরিচর্যার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ।

আরও পড়ুনঃ  কিভাবে মিলন করলে সন্তান হয় না

ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে পিরিফর্মিস সিনড্রোম নিরাময়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। পিরিফর্মিস সিনড্রোমের প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে নিতম্বে গভীর ব্যথা, তীক্ষ্ণ ও বিকিরণকারী ব্যথা, পায়ের বা নিতম্বের অসাড়তা, এবং পায়ে আঙ্গুলের অনুভুতি বা স্পন্দন। ফিজিওথেরাপি ক্লিনিকে স্ট্রেচিং ও মসাজ, ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন, স্টেরয়েডস এবং মাংশপেশির ইনজেকশন দিয়ে এই লক্ষণগুলির উন্নতি সম্ভব।

সঠিক ফিজিওথেরাপি প্রোটোকল অনুসরণ করলে পিরিফর্মিস সিনড্রোমের লক্ষণগুলি দ্রুত কমে যেতে পারে এবং প্রয়োজনীয় হলে দীর্ঘমেয়াদি অভিজ্ঞতাও এড়ানো যায়। তাছাড়া, বৈকালিক বা দাঁড়িয়ে থাকলে পায়ে বা নিতম্বে ব্যথা কমানোর জন্য দৈনিক স্ট্রেচিং ও হট এন্ড কোল্ড থেরাপির প্রভাব উল্লেখযোগ্য। তবে কিছু গুরুতর ক্ষেত্রে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে কিন্তু উপযুক্ত এবং সময়মত ফিজিওথেরাপি প্রোগ্রাম এড়াতে সাহায্য করতে পারে এ ধরনের সমাধানের প্রয়োজন।

মনে রাখতে হবে, পিরিফর্মিস সিনড্রোমের ক্ষেত্রে সময়মত চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক অবস্থাতেই ফিজিওথেরাপি শুরু করলে ব্যথা পরিচর্যা সহজ হয় এবং আরও গুরুতর অবস্থায় পৌঁছানোর পূর্বেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

FAQ

পিরিফর্মিস সিনড্রোম দ্রুত উপশমের উপায় কী?

পিরিফর্মিস সিনড্রোম দ্রুত উপশমের জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা, যেমন হট এন্ড কোল্ড থেরাপি ও নির্দিষ্ট স্ট্রেচিং ব্যায়াম খুবই কার্যকর। ফিজিওথেরাপি করার মাধ্যমে ও পেশীর নির্দিষ্ট অনুশীলনে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।

পিরিফর্মিস সিনড্রোম কী?

পিরিফর্মিস সিনড্রোম হল একটি নিউরোমাসকুলার ডিসঅর্ডার যা সায়াটিক নার্ভ কম্প্রেশনের ফলে হয়। এটি সাধারণত নিতম্বে ও পায়ের পিছনে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে।

পিরিফর্মিস সিনড্রোমের সাধারণ লক্ষণগুলি কী কী?

পিরিফর্মিস সিনড্রোমের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে নিতম্বে ব্যথা ও টনটনের অনুভূতি, সায়াটিকা ব্যথা, হাঁটাচলার সমস্যা, বসে উঠতে কষ্ট হওয়া, ও ব্যথার শূল অন্যান্য অঞ্চলে ছড়ানো অন্তর্ভুক্ত।

পিরিফর্মিস সিনড্রোমের কারণ কী?

প্রাইমারি পিরিফর্মিস সিনড্রোমের মূল কারণ হল পেশীর জন্মগত সমস্যা। সেকেন্ডারি পিরিফর্মিস সিনড্রোম সাধারণত আঘাত, পেশীর খিঁচুনি, বা সংকোচন জনিত কারণে হয়।

পিরিফর্মিস সিনড্রোম নিরাময়ে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি কী কী?

আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি পিরিফর্মিস সিনড্রোমের নিরাময়ে খুব কার্যকর। যোগ, প্রাণায়াম, ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়।

পিরিফর্মিস সিনড্রোম নিরাময়ে বাড়িতে কী কী উপায় আছে?

বাড়িতে পিরিফর্মিস সিনড্রোম নিরাময়ের জন্য হট এন্ড কোল্ড থেরাপি ও নির্দিষ্ট স্ট্রেচিং ব্যায়াম কার্যকর। নিয়মিত এই অনুশীলন অনুসরণ করতে হবে।

ফিজিওথেরাপি কীভাবে পিরিফর্মিস সিনড্রোমের চিকিৎসায় সহায়ক হতে পারে?

ফিজিওথেরাপি মাধ্যমে পিরিফর্মিস সিনড্রোমের ব্যথা ও অস্বস্তি কমানোর জন্য পেশীর নির্দিষ্ট অনুশীলন ও ম্যাসাজ প্রদান করা হয়। এটি দ্রুত আরাম দেয় ও পেশীর সংকোচন কমায়।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button