পায়ের তলায় ব্যথা মুক্তির উপায় – সহজ নির্দেশিকা

পায়ের তলায় ব্যথা বহু মানুষের জন্য একটি সাধারণ সমস্যা যা প্রায়ই দৈনন্দিন কাজের সাথে যুক্ত। বিশেষ করে নার্স, নির্মাণ কর্মী এবং অন্যান্য পেশায় যারা সারাদিন দাঁড়িয়ে বা হাঁটেন তাদের মধ্যে এই সমস্যাটি প্রবণ। এই নির্দেশিকাটি পায়ের তলায় ব্যথা মুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবে, যেখানে পায়ের যত্ন, পা ব্যথা উপশম এবং স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে প্রচুর তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে।

সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৫৭% স্বাস্থ্য কর্মী পায়ের ব্যথায় ভুগছেন যা তাদের দৈনন্দিন কাজকে প্রভাবিত করে। এছাড়াও, পায়ের তলায় ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হল অনুপযুক্ত জুতা ব্যবহার যা প্রায় ৬০% পেশার ক্ষেত্রেই দেখা যায়।

এই প্রবন্ধে, আমরা পায়ের তলায় ব্যথার সাধারণ কারণগুলি বিশ্লেষণ করবো, প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপগুলি নিয়ে আলোচনা করবো এবং কীভাবে সহজে এই ব্যথা মুক্তি পাওয়া যায় তার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস প্রদান করবো। সঠিক পাদুকা পরিধান এবং নিয়মিত স্ট্রেচিং ব্যায়াম নিঃসন্দেহে পায়ের ব্যথা উপশম করতে সহায়ক হতে পারে।

পায়ের যত্ন এবং স্বাস্থ্য টিপস মানা জরুরি যাতে দৈনন্দিন কাজগুলো নির্বিঘ্নে করা সম্ভব হয় এবং পায়ের তলায় ব্যথা মুক্তি নিশ্চিত হয়।

Contents show

পায়ের ব্যথার সাধারণ কারণ

পায়ের ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলি ভালভাবে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সক্রিয় জীবন ধারণ করতে এবং অযথা পায়ের ক্লান্তি এড়াতে পারে। বিভিন্ন কারণে পায়ের এবং খিলানের সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসক ডঃ ভেনট্রুডো অনুযায়ী, নিম্নলিখিত কারণগুলো রয়েছে:

সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকা

দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে পায়ের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা পায়ের ব্যথার কারণ হতে পারে। খুচরো ও উত্পাদন কর্মীরা প্রায়শই এই সমস্যার মধ্যে পড়ে, কারণ সারাদিন দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে হয়। পেশাদার কাজের কারণে পায়ের ক্লান্তি বেড়ে যেতে পারে ও পেশীগুলোর উপরে যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি হয়।

অসামঞ্জস্যপূর্ণ খিলান

খিলানের সমস্যা পায়ের ব্যথার একটি সাধারণ কারণ। বিশেষ করে, পায়ের খিলানের উপযুক্ত সমর্থন না পেলে অথবা অস্বাভাবিক খিলান (যেমন ফ্ল্যাট ফুট বা উচ্চ খিলান) থাকলে পায়ে তীব্র ব্যথা হতে পারে। অত্যাধিক খিলানজনিত সমস্যা পায়ের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে, ফলে দীর্ঘমেয়াদে পায়ের ব্যথা বৃদ্ধি পায়।

পুঙ্খানুপুঙ্খ ফুটওয়্যারের অভাব

খারাপ ফুটওয়্যারের কারণে পায়ে ব্যথা হওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি। অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা অনুপযুক্ত ফুটওয়্যার পায়ের খিলান ও গোড়ালির সমর্থন দিতে ব্যর্থ হয়, যার ফলস্বরূপ খিলানের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। উপযুক্ত এবং সমর্থনকারী ফুটওয়্যার পরিধান করলে পায়ের ব্যথার ঝুঁকি কমানো যায়।

আরও পড়ুনঃ  আঁশযুক্ত খাবার কি কি?

উল্লেখযোগ্যভাবে, বিভিন্ন খেলাধুলার মতো ভলিবল, জিমন্যাস্টিকস অথবা অ্যাথলেটিক্স করতে হলে পায়ের খিলানের সমর্থন আবশ্যক। পায়ের ক্লান্তি এবং খিলানের সমস্যাগুলো প্রায়ই এই সমস্ত কারণ থেকে উদ্ভূত হয়। সবশেষে, উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে এবং সঠিক পদ্ধতিতে পায়ের ব্যথার কারণগুলির সমাধান করা যায়।

প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপগুলি

পায়ের সমস্যা এড়াতে সুস্থ জীবনের ধারাবাহিক রক্ষার্থে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। সঠিক পাদুকা পরিধান, নিয়মিত স্ট্রেচিং ও অন্যান্য ব‍্যায়াম সহজেই পরিপূর্ণতা আনতে পারে।

সঠিক পাদুকা পরিধান

পায়ের জন্য সঠিক পাদুকা পরিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাদুকা সঠিকভাবে বাছাই করা না হলে পায়ের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। উচ্চ মানের জুতা ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। পায়ের যত্নের জন্য পাদুকা সঠিকভাবে বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ।

নিয়মিত স্ট্রেচিং এবং ব্যায়াম

পর্যাপ্ত স্ট্রেচিং ব‍্যায়াম পায়ের যত্নের একটি অপরিহার্য অংশ। নিয়মিত স্ট্রেচিং ও পায়ের সঠিক ব্যায়াম পায়ের মাংসপেশী ও টিস্যুগুলিকে মজবুত করে, যা প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ হিসাবে কাজ করে।

বিরতি নেওয়া

শারীরিক কর্মকাণ্ডের মাঝে মাঝে বিরতি নেওয়া পায়ের আরাম দেওয়ার একটি ভালো উপায়। অধিক সময় দাঁড়িয়ে থাকা বা হাঁটার পরে পায়ের যত্নের জন্য বিরতি নেওয়া অপরিহার্য, যা পায়ের অতিরিক্ত চাপ কমাতে সহায়ক।

স্ট্রেচিং এবং ব্যায়াম

পা স্ট্রেচিং এবং পায়ের ব্যথা উপশমের জন্য সঠিক ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ২৪০ জন ব্যক্তি এই বিষয়ক উপদেশগুলি সহায়ক ও তথ্যবহুল বলে মনে করেছেন। এখানে কিছু কার্যকর পা স্ট্রেচিং এবং ব্যায়াম পদ্ধতির বিবরণ দেওয়া হল:

পায়ের আঙুলগুলি বেঁকিয়ে ব্যায়াম

পায়ের আঙুল ব্যায়াম আপনার পায়ের মাংসপেশী ও টিস্যুগুলির রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। সাপ্তাহিক তিনবার এই ব্যায়ামগুলি করার সুপারিশ করা হয়। এটি পায়ের ব্যথা উপশমে বিশেষভাবে কার্যকর।

পায়ের তলায় বল রেখে ব্যায়াম

পায়ের বল ব্যায়াম দ্বারা পায়ের নিচের অংশের মাংসপেশীগুলিতে চাপ পাশ কাটিয়ে যেতে পারে। একটি ছোট বল ব্যবহার করুন এবং প্রতিদিন কয়েক মিনিট পায়ের তলায় বল রেখে ব্যায়াম করুন।

পা টান করে ব্যায়াম

পা টান করে ব্যায়াম দ্বারা পায়ের মাংসপেশীগুলি শিথিল হয় এবং ব্যথা কমে আসে। প্রতিদিন এই ব্যায়ামগুলি করা সঠিক দেহভঙ্গি রক্ষা করতে সহায়ক।

গোড়ালির ব্যায়াম

গোড়ালি ব্যায়াম পায়ের গোড়ালির ব্যথা কমানোর পাশাপাশি পায়ের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। গোড়ালি ব্যায়ামগুলি শক্তিশালী করে এবং গোড়ালিতে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়।

ব্যায়ামগুলি সঠিকভাবে করতে এবং তাদের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রাখা অপরিহার্য। প্রতিদিনের ব্যায়ামগুলি শুধু পায়ের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেই নয়, সারা শরীরের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত সহায়ক।

How to Relieve Pain on Bottom of Foot

পা ব্যথা উপশমের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে পায়ের নিচের অংশের ব্যথা মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

পায়ের তলায় ব্যথা চিকিৎসা থেকে আমাদের আরাম পাওয়ার কয়েকটি কার্যকর উপায় নিচে দেওয়া হল:

  • ডাক্তারী পরামর্শ: যদি পা ব্যথা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে থাকে বা দৈনন্দিন কার্যকলাপে বাধা সৃষ্টি করে, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও, পায়ের তলায় ব্যথা চিকিৎসায় সুপরিচিত ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
  • প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা: পায়ের নিচের অংশের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সঠিক পাদুকা পরিধান করা উচিত। পায়ের খিলান সঠিকভাবে সাপোর্ট করতে পারে এমন জুতো ব্যবহার করলে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও আরাম বোধ হবে।
  • স্ট্রেচিং এবং ব্যায়াম: নিয়মিত স্ট্রেচিং এবং ব্যায়াম করলে পায়ের তলায় ব্যথা উপশম করা সম্ভব। পায়ের আঙুলগুলি বেঁকিয়ে এবং বল রেখে ব্যায়াম করার সময় গোড়ালি এবং অন্যান্য মাংসপেশির ব্যথাও হ্রাস পায়।
  • বিশ্রাম এবং বরফ সেঁক: বিশ্রাম নেওয়া এবং বরফ সেঁক দিলে পায়ের নিচের অংশের ব্যথা তাড়াতাড়ি উপশম হতে পারে। ব্যথার স্থানে ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত বরফ সেঁক করুন।
আরও পড়ুনঃ  হাত পা ঘামা কিসের লক্ষণ?

পায়ের তলায় ব্যথা চিকিৎসা অনেক সময় অতিরিক্ত ওজন, অত্যধিক হাঁটা, অথবা ভুল জুতো ব্যবহারের ফলেও হতে পারে। তাই জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনা আবশ্যক। উদাহরণস্বরূপ, সঠিক জুতো, ডায়েট পরিবর্তন এবং প্রয়োজনে ওজন হ্রাস করা।

তাছাড়া, প্লান্টার ফ্যাসাইটিস একটি সাধারণ সমস্যা যা পা ব্যথা সৃষ্টি করে। এর চিকিৎসায় কোথাও কোথাও বিশেষ ধরনের সভ্যতার ব্যবহার যেমন, শকওয়েভ থেরাপি কার্যকর হতে পারে।

ঘরোয়া উপায়

বিভিন্ন সামগ্রীর ব্যবহারে পায়ের ব্যথা উপশম করা যেতে পারে। এখানে তিনটি কার্যকর পদ্ধতির বর্ণনা দেওয়া হলো, যা ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

ইপসম সল্ট দিয়ে গরম পানিতে ভিজানো

ইপসম সল্ট প্রয়োগ পায়ের ব্যথা বা ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক। গরম পানিতে ইপসম সল্ট মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। এটি পা শিথিল করে এবং রক্তসঞ্চালনা বাড়ায়।

ল্যাভেন্ডার তেল ব্যবহার করা

ল্যাভেন্ডার তেল প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যথা কমাতে এবং মাংসপেশির টান দূর করতে সাহায্য করে। কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল গরম পানিতে মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখলে রিল্যাক্সেশন এর অনুভূতি পাওয়া যায়।

ম্যাসেজ বল ব্যবহার করা

ম্যাসেজ বল ব্যবহার করে পায়ের তলায় ম্যাসেজ করলে, মাংসপেশির টান দূর হয় এবং রক্তসঞ্চালনা বৃদ্ধি পায়। মাটিতে বসে বা দাঁড়িয়ে পায়ের নিচে ম্যাসেজ বল রাখুন এবং চাপ দিন। এটি পায়ের ব্যথা উপশমের জন্য একটি ভালো ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি।

সংযোগে ব্যথা উপশম

সংযোগ সমস্যার কারণে পায়ের তলার ব্যথা হতে পারে, যা আর্থ্রাইটিস ব্যথার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। মার্কিন পডিয়াট্রিক মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণায় দেখা গেছে যে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত একজন ব্যক্তি গড়ে প্রায় ৭৫,০০০ মাইল হাঁটেন, যা পায়ের ব্যথা এবং তার সম্পর্কিত সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। এছাড়া, গবেষণায় জানা যায় যে নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি পায়ের ব্যথার সম্মুখীন হন।

পায়ের ব্যথার সাধারণ এলাকা হলো হিল এবং মেটাটারসালস, কারণ এই জায়গাগুলো ভরের চাপ বেশি সহ্য করে। পায়ের ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা প্রণালী ব্যবহার করা হয় যেমনঃ শারীরিক পরীক্ষা, ইমেজিং পরীক্ষা এবং রক্ত পরীক্ষা।

ব্যথা চিকিৎসা শুরু করার আগে কিছু সহজ স্ব-চিকিৎসা পদ্ধতিও অনুসন্ধান করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আইস প্যাক ব্যবহার, সঠিক মাপের জুতা পরিধান, হিলের নিচে প্যাডিং ব্যবহার এবং নিয়মিত স্ট্রেচিং ব্যায়াম। তবে, মনে রাখতে হবে কোনো ঔষুধ গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি, যাতে সম্ভবত আর্থ্রাইটিস ব্যথার তীব্রতা বৃদ্ধি না পায়।”

পায়ের বিভিন্ন ব্যথার মানসিক এবং শারীরিক চাপ কমাতে সংযোগের নিরাময় পদ্ধতিগুলি খুবই কার্যকর হতে পারে। এসব পদ্ধতির মাধ্যমে আর্থ্রাইটিস ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

ফিজিওথেরাপিস্টের পরামर্শ

ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ হয়ে উঠতে পারে একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান যা পায়ের ব্যথার কারণ এবং উপশমের উপর বিশেষ জোর দেয়। ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞরা ব্যথার নির্দিষ্ট কারণ নির্ণয় করে তাঁরা সেই অনুযায়ী ব্যায়াম ও থেরাপি নির্ধারণ করেন। ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ মত বড় ধরনের বা দীর্ঘদিনের ব্যথা নিরাময়ে বিশেষভাবে কার্যকরী হতে পারে।

প্রথম স্থল মাউন্ট

প্রথম স্থল মাউন্ট হলো ফিজিওথেরাপিস্টের অন্যতম পদ্ধতি যা পায়ের ব্যথা নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি পায়ের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয় এবং ব্যথা কমাতে কার্যকরী। প্রথম স্থল মাউন্ট করার সময় ফিজিওথেরাপিস্ট সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম এবং থেরাপি নির্দেশ করেন যা সরাসরি সমস্যার মূল লক্ষণগুলিকে লক্ষ্য করে। উদাহরণস্বরূপ:

  • প্লান্টার ফ্যাসিয়াইটিস: প্লান্টার ফ্যাসিয়াইটিসの場合ের痛みがある足の筋肉や靱帯を緩めるためのストレッチングエクササイズをお勧めします。
  • এ্যাচিলিস টেন্ডোনাইটিস: ক্যালফ মাসল এবং হিল বোন কানেক্ট করতে এ্যাচিলিস টেন্ডনের প্রদাহ স্বল্প করার জন্য আইস থেরাপি এবং আইজোমেট্রিক অ্যাকসেসাইজ দেয়া হয়ে থাকে।
  • মোর্টন’স নিউরোমা: ব্যথা কমাতে এবং নার্ভের সংক্রমণ কমাতে ফুট ম্যাসেজ এবং বিশেষ ধরনের সপোর্ট ফুটওয়্যার সুপারিশ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ  খালি পেটে রসুন খেলে কি হয়?

আধুনিক ফিজিওথেরাপি পদ্ধতির মাধ্যমে, একজন ফিজিওথেরাপিস্ট ব্যথার নিরসনে এবং পায়ের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে সাহা঵তা প্রদান করে। তাদের পরামর্শ অনুসরণ করলে দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল পেতে সক্ষম হবেন যা আপনার দৈনন্দিন জীবনযাপন সহজ ও ব্যথামুক্ত করে তুলবে।

ফলপ্রসূ ম্যাসেজ প্রযুক্তি

পায়ের তলায় ব্যথা মুক্তির জন্য ফলপ্রসূ ম্যাসেজ প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আধুনিক ম্যাসেজ প্রযুক্তি ব্যথা উপশমের পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে, যা দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা উপশমে সহায়ক। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সারা বিশ্ব জুড়ে মানুষজন উপকৃত হচ্ছেন।

অ্যাকুপ্রেসার পয়েন্ট

অ্যাকুপ্রেসার পয়েন্ট ম্যাসেজ পদ্ধতি পায়ের ব্যথা উপশমে ফলপ্রসূ হয়েছে, যা শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে চাপ প্রয়োগ করে ব্যথা কমায়। এই প্রাচীন চীনা ম্যাসেজ পদ্ধতি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট অ্যাকুপ্রেসার পয়েন্ট ম্যাসেজের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। উল্লেখ্য, 29% বিজ্ঞানসম্মত তথ্য বলছে যে, এই ম্যাসেজ পদ্ধতি পায়ের তলায় ব্যথার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরীও।

ফোম রোলার ব্যবহার

ফোম রোলারের ব্যবহার পায়ের তলায় ম্যাসেজ করার অন্যতম শক্তিশালী উপায় হিসেবে পরিচিত। এই প্রযুক্তি মাংসপেশির টান ও খিচুনি উপশমে সাহায্য করে, যা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গত ১৪% তথ্য মতে, ফোম রোলারের সাহায্যে নিয়মিত ম্যাসেজ করলে পায়ের তলার ব্যথা অনেকাংশে কমানো যায়। সুতরাং, নিয়মিত ফোম রোলার ব্যবহার করে আপনি দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা উপশম লাভ করতে পারেন।

FAQ

পায়ের তলায় ব্যথা প্রধানত কী কারণে হয়?

পায়ের তলায় ব্যথার প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকা, অসামঞ্জস্যপূর্ণ খিলান, এবং উপযুক্ত ফুটওয়্যারের অভাব।

পায়ের তলায় ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কি কি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যায়?

পায়ের তলায় ব্যথা প্রতিরোধ করতে উচ্চ মানের পাদুকা পরিধান করা, নিয়মিত স্ট্রেচিং এবং ব্যায়াম করা, ও যথোপযুক্ত বিরতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

কোন ব্যায়ামগুলি পায়ের তলায় ব্যথা উপশমে সহায়ক?

পায়ের আঙুলগুলি বেঁকিয়ে ব্যায়াম, পায়ের তলায় বল রেখে ব্যায়াম, পা টান করে ব্যায়াম, এবং গোড়ালির ব্যায়াম পায়ের তলায় ব্যথা উপশমে সহায়ক।

পায়ের তলায় ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কোন ঘরোয়া উপায়গুলি প্রয়োগ করা যেতে পারে?

ইপসম সল্ট দিয়ে গরম পানিতে পা ভিজানো, ল্যাভেন্ডার তেল ব্যবহার করা, এবং ম্যাসেজ বল ব্যবহার করা পায়ের তলায় ব্যথা উপশমে কার্যকরী ঘরোয়া উপায়।

সংযোগগত ব্যথা থেকে কি ভাবে মুক্তি পাওয়া যায়?

সংযোগে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত চিকিৎসা এবং ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ কার্যকরী।

ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ কি ভাবে পায়ের তলায় ব্যথা উপশমে সহায়ক?

ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ পায়ের তলায় ব্যথার কারণ নির্ণয় এবং সঠিক ব্যায়াম ও থেরাপিগুলি নির্দিষ্ট করে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান প্রদান করে।

পায়ের তলায় ব্যথা উপশমের জন্য কোন ম্যাসেজ পদ্ধতিগুলি ফলপ্রসূ?

অ্যাকুপ্রেসার পয়েন্ট ম্যাসেজ এবং ফোম রোলার ব্যবহার পায়ের তলায় ব্যথা উপশমে ফলপ্রসূ পদ্ধতি।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button