ফোনের স্পিড টেস্ট করার সহজ উপায় | পূর্ণ গাইড
আপনার ফোনের গতি মাপা অত্যন্ত জরুরী কারণ এটি নিশ্চিত করে যে আপনি সর্বোচ্চ গতিতে ইন্টারনেট এবং অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করছেন। ফোনের বিভিন্ন স্পিড টেস্ট অ্যাপস যেমন Speedtest by Ookla, Meteor Speedtest, এবং Wi-Fi Router Master ব্যবহার করে আপনি সহজেই মোবাইল স্পিড চেক করতে পারেন। এই পূর্ণ গাইডটিতে আমরা আপনাকে শেখাব কিভাবে সহজ উপায়ে আপনার ফোনের স্পিড টেস্ট করা যায় এবং আপনি কীভাবে গোপন কোড এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে ফোনের গতি মাপা ও পরীক্ষা করতে পারেন। আমাদের সাথে থাকুন এবং জানতে পারেন আপনার ফোনের সম্পূর্ণ স্পিড চেক প্রক্রিয়া।
ফোনের স্পিড টেস্ট কেন জরুরি?
ফোনের স্পিড টেস্ট করা খুবই প্রয়োজনীয় কারণ এটি আমাদের মোবাইল গতি পরীক্ষা করে যা ফোন পারফর্মেন্সের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। স্পিড টেস্টের গুরুত্ব এ কারণে বাড়ছে যে এটি আমাদের জানাতে সাহায্য করে যে ফোনের ডাউনলোড স্পিড, আপলোড স্পিড এবং পিং রেট কেমন কাজ করছে। ডাউনলোড স্পিড একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর, যা ডেটা দ্রুত ডাউনলোড হওয়ার হার নির্ধারণ করে। এর পাশাপাশি, আপলোড স্পিডও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ডেটা প্রেরণের দ্রুততা চিহ্নিত করে।
স্পিড টেস্টের গুরুত্ব আরো বাড়ে কারণ ইন্টারনেট গতি সহ ফোন পারফর্মেন্স নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। একাধিকবার মোবাইল গতি পরীক্ষা করলে সামগ্রিক ফোন পারফর্মেন্সের উপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব পড়ে। এছাড়া, বাদবাকি সেবাগুলি নির্বাচন করতেও স্পিড টেস্ট অত্যন্ত সহায়ক, কারণ এটি বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেট গতির তথ্য সরবরাহ করে।
ফোনের স্পিড টেস্ট করলে আপনি আপনার ডিভাইসের সামঞ্জস্যতা সম্পর্কে আরও সঠিক ধারণা পাবেন এবং আপনার ডিভাইসের পারফরম্যান্স কিভাবে বাড়ানো যায় তা জানতে পারবেন। তাই, মোবাইল গতি পরীক্ষা এবং স্পিড টেস্টের গুরুত্ব প্রতিটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর জন্য অপরিহার্য।
ফোনের স্পিড টেস্ট করার অ্যাপস
আপনি বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে আপনার ফোনের ইন্টারনেট স্পিড পরীক্ষা করতে পারেন। এর মধ্যে কিছু সেরা অ্যাপস হলো Ookla Speedtest, Meteor অ্যাপ, এবং Wi-Fi রাউটার মাস্টার। এই অ্যাপসগুলি নির্ভরযোগ্য এবং সঠিক গতি পরীক্ষার ফলাফল প্রদান করে।
Speedtest by Ookla ব্যবহার
Ookla Speedtest অ্যাপটি ইন্টারনেট স্পিড টেস্টিংয়ের একটি প্রায়শই ব্যবহৃত অ্যাপ। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা সহজেই তাদের ডাউনলোড এবং আপলোড স্পিড পরীক্ষা করতে পারেন। এটি লেটেন্সিও পরিমাপ করে এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ প্রদান করে। Ookla Speedtest আপনাকে আপনার বর্তমান নেটওয়ার্ক পারফর্মেন্স সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা দেয়।
Meteor Speedtest
Meteor অ্যাপ স্পিড টেস্টিংয়ের জন্য একটি খুবই জনপ্রিয় এবং কার্যকর অ্যাপ। এটি শুধু আপনার ইন্টারনেট স্পিড পরীক্ষা করে না, বরং আপনার অ্যাপসগুলির জন্য কীভাবে সেই স্পিড উপকারে আসে তাও মূল্যায়ন করে। Meteor অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি সহজেই দেখতে পারেন যে আপনার ইনস্টল করা অ্যাপগুলি কতটা দ্রুত কাজ করছে।
Wi-Fi Router Master
Wi-Fi রাউটার মাস্টার অ্যাপটি বিশেষত যারা Wi-Fi নেটওয়ার্কের স্পিড পরীক্ষা করতে চান তাদের জন্য উপযুক্ত। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনি আপনার Wi-Fi রাউটারের বর্তমান পারফর্মেন্স এবং সিগনাল স্ট্রেংথ পরীক্ষা করতে পারেন। Wi-Fi রাউটার মাস্টার আপনাকে কভারেজ ম্যাপ এবং নিকটবর্তী সেল টাওয়ারগুলির দিকনির্দেশনা দেয়, যা আপনাকে সর্বোচ্চ গতি পেতে সহায়তা করে।
How to Test Phone Speed with Built-in Tools
আপনার স্মার্টফোনের অতিরিক্ত কোনো অ্যাপ ইনস্টল না করেই স্মার্টফোন স্পিড এবং পারফর্ম্যান্স চেক করতে বিল্ট-ইন টুলস ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন স্মার্টফোনে বিভিন্ন বিল্ট-ইন টুলস এবং ফোন ডায়াগনস্টিক অপশন থাকলেও সাধারণত এগুলো খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়।
Samsung এর Galaxy স্মার্টফোনগুলোতে *#0*# কোড ব্যবহার করে বিল্ট-ইন টুলস-এর মাধ্যমে পিক্সেল কালার্স, অডিও, ভাইব্রেশন এবং সেন্সর টেস্ট করা যায়। উপরন্তু, Samsung Members অ্যাপ ব্যবহার করে ব্যাটারি, সেন্সরস, টাচ স্ক্রিন, ক্যামেরা, মাইক্রোফোন এবং কানেক্টিভিটির পরীক্ষা সহ ডিভাইস চেক আপ করতে পারবেন।
- Motorola ফোনগুলোতে রয়েছে Device Help অ্যাপ যা টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লে, ব্যাটারি, অডিও এবং ক্যামেরা টেস্ট করে।
- iPhone এবং Android ফোনের জন্য Phone Doctor Plus অ্যাপটি মেমোরি, CPU, স্পিকার এবং মাইক্রোফোন টেস্ট করতে পারে।
- Phone Check and Test অ্যাপ দ্বারা Android ফোনের মেমোরি, স্টোরেজ, ব্যাটারি এবং কানেক্টিভিটি টেস্ট করা যায়।
একটি সম্পূর্ণ ডিভাইস চেক আপ করার জন্য, Phone Diagnostics অ্যাপটি ব্যাবহার করতে পারেন যা টাচ স্ক্রিন, ক্যামেরা, স্পিকার, মাইক্রোফোন, Wi-Fi এবং GPS সহ অন্যান্য ফাংশনের পরীক্ষা করে। Android এবং iOS উভয় প্ল্যাটফর্মেই এটা ব্যবহার করা যায়।
আপনার ফোন ডায়াগনস্টিক এবং ডিভাইস চেক আপ আরও কার্যকর করার জন্য উপরের অ্যাপগুলো থেকে বেছে নিতে পারেন যা নির্ভরযোগ্য এবং ব্যবহার সহজ।
অ্যান্ড্রয়েড গোপন কোড
অনেকেই জানেন না যে অ্যান্ড্রয়েড গোপন কোড ব্যবহার করে আপনি ডিভাইসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে এক্সেস পেতে পারেন। এই গোপন কোডগুলি ডায়াল প্যাডে ইনপুট করলে বিভিন্ন টেস্ট মেনু এবং ডিভাইস তথ্য দেখতে পারবেন।
এখন কয়েকটি সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড গোপন কোড নিয়ে আলোচনা করা যাক, যা আপনার ডিভাইস সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এবং টেস্ট মেনু এক্সেস করতে সহায়তা করবে।
*#*#4636#*#*
এই কোডটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ফোনের বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এখানে আপনাকে বিভিন্ন টেস্ট মেনু প্রদান করা হয় যা আপনাকে ফোনের পরিস্থিতি, ব্যাটারি স্থিতি, এবং Wi-Fi তথ্য সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে।
*#0*#
এই কোডটি একটি সম্পূর্ণ ডিভাইস টেস্ট মেনু খুলে দেয় যেখানে আপনি ফোনের ডিসপ্লে, ক্যামেরা, সেন্সর এবং আরও অনেক ফিচার পরীক্ষা করতে পারবেন। এটি ডিভাইস তথ্য সম্পর্কে আরও সঠিক ধারণা পেতে সহায়ক।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে টেস্ট মেনু ব্যবহার করে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও টেস্ট এক্সেস করতে পারেন যা আপনাকে ডিভাইসের কর্মক্ষমতা ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করবে। তবে, কিছু কোড ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত কারণ এটি ডিভাইসের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ফোনের স্পিড টেস্টের সময় যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে
ফোনের স্পিড টেস্ট করার সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা উচিত যা আপনার মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থিতি এবং ডিভাইস পারফরমেন্স প্রভাবিত করতে পারে। অনেক অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, কিন্তু সাধারণত স্পিড টেস্ট টিপস না মেনে চলে।
নিচে কিছু স্পিড টেস্ট টিপস দেওয়া হল যা আপনার ফোনের নেটওয়ার্ক পারফরমেন্স পরিমাপকালে অনুসরণ করা উচিত:
- নেটওয়ার্ক ধরন: স্পিড টেস্ট করার সময় নিশ্চিত করুন যে আপনি 4G বা 3G মোডে আছেন কিনা। ভিন্ন নেটওয়ার্ক মোডের গতিতে প্রভাব পড়তে পারে।
- ফোনের চার্জের অবস্থা: লো ব্যাটারি অবস্থায় স্পিড টেস্ট করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে, ডিভাইস পারফরমেন্স কমে যেতে পারে।
- তারবিহীন অবস্থায় তফাত: ওয়াইফাই এবং মোবাইল ডেটা উভয়ই পরীক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন সংযোগে ভিন্নগতি পাওয়া যেতে পারে।
- ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ্লিকেশন: স্পিড টেস্ট করার সময় অন্যান্য চলমান অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ রাখুন। এটি সঠিক ফলাফল পাওয়া নিশ্চিত করবে।
- লোড টাইমিং এবং আপলোড স্পিড: শুধুমাত্র ডাউনলোড স্পিড নয়, আপলোড স্পিড ও লেটেন্সির যাবতীয় তথ্যকেও গুরুত্ব দিন। বিশেষ করে গেমিং, মেসেজিং এবং ভিডিও কলের জন্য আপলোড স্পিড গুরুত্বপূর্ণ।
শেষে, আপনার নেটওয়ার্কের স্থিতি এবং ডিভাইসের পারফরমেন্স সঠিকভাবে পরিমাপের জন্য নির্ভরযোগ্য অ্যাপ্লিকেশন যেমন Fast Speed Test এবং Fast.com ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। এসব স্পিড টেস্ট টিপস মনে রেখে আপনি পুনর্নির্মাণ করতে পারবেন আপনার মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থিতি এবং ডিভাইস পারফরমেন্স।
ইন্টারনেট স্পিড কম হলে কি করবেন?
ইন্টারনেট স্পিড কম হলে সেটির সমাধানে আপনাকে কিছু সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বপ্রথমে, আপনার স্লো ইন্টারনেট সামাধান করার জন্য আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (ISP) এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। বহু অ্যাবন্স, ওয়াইফাই রাউটার ট্রাবলশুটিং, যেমন রাউটার রিসেট, করতে পারেন যা সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ উল্লেখ করা হলো।
ISP-কে জানান
আপনার ISP-কে দ্রুত আপনার ইন্টারনেট স্পিডের গোলযোগ সমস্যার কথা জানান। অনেক সময় আপনার ISP যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করতে পারে, যেমন নেটওয়ার্ক সেটিংস আপডেট বা লাইন চেক করা।
- ISP-কে দ্রুত যোগাযোগ করুন এবং তাদেরকে আপনার স্লো ইন্টারনেট সমস্যার কথা জানান।
- আপনার বর্তমান সাবস্ক্রিপশনের সার্ভিস গ্রেড এবং স্পিড চেক করে নিশ্চিত করুন।
রাউটার রিসেট করুন
যখনই আপনার ইন্টারনেট স্পিড কম হয়, রাউটার রিসেট করার চেষ্টা করুন। এ সহজ পদ্ধতিতে প্রকৃতপক্ষে স্লো ইন্টারনেট সামাধান করা যায়। রাউটার ট্রাবলশুটিং করে দেখুন কোনো ত্রুটি আছে কিনা।
- রাউটারের পাওয়ার সুইচ বন্ধ করে কমপক্ষে ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন, তারপর আবার চালু করুন।
- সব রাউটার এবং মডেম সংযোগ পুনরায় চেক করুন।
এন্ড্রয়েড ফোनের গতি বাড়ানোর টিপস
এন্ড্রয়েড ফোনের গতি বাড়ানোর জন্য কয়েকটি কার্যকরী টিপস অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমন আপনি যদি ফোন অ্যাকসেলারেট করতে চান, প্রথমেই অনাবশ্যক অ্যাপস মুছে ফেলুন। অনেক সময় ব্যবহার না করা অ্যাপ্লিকেশনগুলো ফোনের মেমরি এবং র্যাম দখল করে রাখে, যা মোবাইল পারফর্মেন্স বুস্ট করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে।
আপনার ফোনের ক্যাশে পরিষ্কার করার মাধ্যমেও মোবাইল পারফর্মেন্সে উন্নতি আসতে পারে। ক্যাশে হলো সেই অস্থায়ী ফাইল যা ফোনের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় জমা হয় এবং সময়ের সাথে সাথে ক্যাশে ফোনের গতি কমাতে পারে। ক্যাশে ক্লিয়ার করার জন্য ফোনের Settings এ যান, তারপর Storage বা Memory সেকশন থেকে ক্লিয়ার ক্যাশে অপশনটি নির্বাচন করুন।
একইভাবে, র্যাম পরিষ্কারের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের অ্যাপ্স মোবাইল পারফর্মেন্স বুস্ট করতে সাহায্য করে এবং ফোনকে দ্রুততর করে তোলে।
নিয়মিত ব্যাটারি পারফরম্যান্স যাচাই করাও গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, PCMark for Android অ্যাপটি ব্যবহার করে আপনার ব্যাটারির লাইফ চেক করতে পারেন। দ্রুত চার্জিং সম্পর্কে জানিয়ে রাখা ভালো যে, দ্রুত চার্জিং ক্ষমতাসম্পন্ন ফোনগুলি সাধারণত আধা ঘণ্টায় ৬০-৯০% ব্যাটারি লেভেলে পৌঁছাতে পারে।
সঠিকভাবে গতি পরীক্ষার জন্য, ফোনের Geekbench 6, GFXBench এবং PCMark for Android এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এসব অ্যাপ ফোনের CPU এবং GPU পারফরম্যান্স মাপার ক্ষেত্রে সর্বাধিক কার্যকর। এন্ড্রয়েড ফোনের স্পিড এবং জীবদ্দশায় উন্নত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে নিয়মিত এই টিপসগুলো অনুসরণ করুন। সর্বোপরি, মোবাইল পারফর্মেন্স বুস্ট নিশ্চিত করা সম্ভব সঠিক অ্যাপ ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে।
মোবাইল ডেটার গতি কিভাবে পরীক্ষা করবেন
মোবাইল ডাটা স্পিড টেস্ট করার জন্য অনেকগুলো জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন বর্তমান। এর মধ্যে অন্যতম হলো SpeedTest এবং nLive। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার মোবাইল ডাটার গতি পরীক্ষা করতে পারেন। SpeedTest এর ওয়েবসাইটকে অনেক ব্যবহারকারী প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে যা এটি প্রমাণ করে যে অ্যাপ্লিকেশনটি অত্যন্ত সহায়ক।
3G স্পিড চেক করার সময় আপনার সংযোগের কর্মক্ষমতা নির্ধারণের জন্য অ্যাপ্লিকেশনগুলির অনেক ব্যবহার হয়। স্পিড টেস্ট এপ্লিকেশনগুলি প্রথমই আপনার সংযোগের মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে ডাউনলোড এবং আপলোড স্পিড প্রদর্শন করে। আপনার সংযোগের প্রকৃত গতি জানার জন্য এবং উপযুক্ত প্ল্যান নির্বাচন করার জন্য এই পরীক্ষা প্রয়োজনীয়।
4G/5G নেটওয়ার্ক টেস্ট করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এখন আপনার হাতে রয়েছে। অপারেটরের সাথে মিল না থাকলে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, তাই সঠিক সংযোগের গতি মাপা অত্যন্ত জরুরি। 5G নেটওয়ার্ক কভারেজ এখন প্রায় প্রতিটি শহরে রোল আউট হয়েছে, যা উচ্চ গতির ইন্টারনেট এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করতে সক্ষম।
আপনার মোবাইল ডাটার গতি পরীক্ষা করার জন্য 4G থেকে 5G LTE অপ্রয়োজনীয় অ্যাপে বিভিন্ন স্মার্ট ইউটিলিটি ফিচার রয়েছে। সহজে ডিভাইস এবং SIM তথ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি, এই অ্যাপ্লিকেশনটি আপনার সংযোগের আপ্টিমাইজেশন করতে পারবে। এছাড়াও আপনি এই এপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে দিন-প্রতি ডাটা ইউজ ট্র্যাক করতে পারবেন যা আপনার ডাটা ব্যবহারের মূল্যায়ন করতে সহায়ক।