হুমায়ূন ফরীদি

হুমায়ূন ফরীদি, বাংলাদেশের একজন শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, তাঁর অভিনয় দক্ষতা ও অসাধারণ প্রতিভার জন্য সর্বজনীন প্রিয়। ১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকার সউথা, পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। হুমায়ূন ফরীদির জীবনী আমাদের মনে প্রতিফলিত হয় তাঁর রঙিন ও বৈচিত্র্যময় অভিনয়জীবনের মাধ্যমে। তিনি ১৯৬৮ সালে এসএসসি ও ১৯৭০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্গানিক কেমিস্ট্রি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি।

১৯৭৮ সালে সেলিম আল-দীনের নির্দেশনায় “শকুন্তলা” নাটকে মঞ্চ অভিনয়ে তাঁর যাত্রা শুরু হয় এবং ১৯৮২ সালে “নীল নক্ষত্রের সন্ধানে” নাটক দিয়ে টেলিভিশন অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন হুমায়ূন ফরীদি। তাঁর অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি পরবর্তীতে ২০০৪ সালে “মাতৃত্ব” চলচ্চিত্রে সেরা অভিনেতা হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। হুমায়ূন ফরীদির কাজ বাংলা চলচ্চিত্র ও নাটকে এখনও স্মরণীয়। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হলেও, তাঁর অবদান আমাদের মনে চিরস্থায়ী স্থানের দখল নিয়ে থাকবে।

জীবনের শুরু

হুমায়ূন ফরিদী, যিনি হুমায়ূন ফরীদির জীবনীতে এক বিশেষ স্থান অধিকার করেন, জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫২ সালের ২৯ মে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার টুমুলিয়া গ্রামে। তাঁর সম্পর্কে জানা যায় যে তিনি এক অসাধারণ প্রতিভাবান অভিনেতা ছিলেন, যিনি সবসময় নতুনত্বের পথে চলে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা অর্জন করেন।

জন্ম ও প্রাথমিক শিক্ষা

গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করে হুমায়ূন ফরীদির প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। তার এই প্রাথমিক শিক্ষাই তাকে ভবিষ্যতে উন্নতি ও সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়। স্কুল জীবন থেকেই ফরীদি ছিলেন মেধাবী, যা পরে তার সৃজনশীল কর্মজীবনে প্রতিফলিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী শিক্ষা

মুক্তিযুদ্ধের সময় ফরীদি তার দেশের জন্য লড়াই করেন। মুক্তিযুদ্ধ শেষে, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন অর্থনীতি পড়ার জন্য। সেখানে তিনি সংস্কৃতি ও নাট্যকলায় যুক্ত হন যা তার কলা জগতে অসাধারণ অবদান রাখতে সাহায্য করে। হুমায়ূন ফরীদির জীবনী তার মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণ ও সফল শিক্ষা জীবনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি নিয়ে গড়ে উঠেছে।

অভিনয় যাত্রার শুরু

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হুমায়ূন ফরীদি এক কিংবদন্তী নাম। তার অভিনয় জীবনের শুরুটা ছিল মঞ্চ নাটক দিয়ে, যেখানে তিনি প্রমাণ করেছিলেন তার অসাধারণ প্রতিভা। তারপর ধীরে ধীরে টেলিভিশন নাটক এবং বাংলা চলচ্চিত্রেও তার যাত্রা শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ  তাসনিয়া ফারিণ

মঞ্চ নাটক

মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে নাট্যজগতে পা রাখেন হুমায়ূন ফরীদি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি মঞ্চ নাটক ‘মুনতাসির ফ্যান্টাসি’, ‘ফোনেমোনশা’, এবং ‘শকুন্তলা’ তে দুর্দান্ত অভিনয় করেন। বাংলা থিয়েটার তার প্রতিভা বিকশিত করার একটি প্রধান মাধ্যম ছিল, যা পরবর্তীতে তাকে নাট্যজগতের শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছাতে সহায়ক হয়। হুমায়ূন ফরীদির এত প্রতিভা ও পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে মঞ্চ নাটকে তার নামটি স্থায়ীভাবে খচিত হয়।

টেলিভিশন নাটক

হুমায়ূন ফরীদি তার অভিনয় দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমে। ১৯৮২ সালে ‘নীল নকশার সন্ধানে’ নাটকের মাধ্যমে তার টেলিভিশন অভিষেক ঘটে। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন টেলিভিশন নাটকে তাঁর অবদানের জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত হন। তার অভিনীত অন্যতম টেলিভিশন নাটকগুলির মধ্যে ‘বাকুলপুর কতদূর’, ‘মহুয়ার মন’, এবং ‘সাত আসমানের সিন্দুরী’ উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি টেলিভিশন নাটকে তার প্রভাবশালী অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।

প্রথম চলচ্চিত্র

বাংলা চলচ্চিত্র জগতে আসার পূর্বে হুমায়ূন ফরীদি টেলিভিশন ও মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল তানভীর মোকাম্মেলের পরিচালিত ‘দাবি’। এরপর বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে তিনি নজরকাড়া অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে ‘ভণ্ড’, ‘জয়যাত্রা’, এবং ‘শ্যামল ছায়া’ উল্লেখযোগ্য। তার প্রতিটি চলচ্চিত্র দর্শকদের মন জয় করতে সমর্থ হয়েছে এবং বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পে তার অনন্য অবদান রেখে গেছেন।

Humayun Faridi এর জনপ্রিয়তা

বাংলাদেশের অন্যতম অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি তাঁর অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তিনি মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র—এই তিনটি মাধ্যমেই অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।

সংশপ্তক নাটক

ফরীদি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় শুরু করেন এবং খুব দ্রুতই দর্শকদের নজর কাড়েন। বিশেষ করে ‘সংশপ্তক’ নাটকে তাঁর ‘কান কাটা রমজান’ চরিত্রটি দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। এই নাটকের মাধ্যমেই তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং বাংলাদেশের অভিনেতাদের মধ্যে পরিচালকদের প্রথম সারিতে চলে আসেন।

সমালোচকদের প্রশংসা

ফরীদি সমালোচকদের প্রশংসাও প্রচুর পরিমাণে অর্জন করেছিলেন। তাঁর অভিনয়ের বৈচিত্র্যতা এবং সংবেদনশীলতা প্রায় প্রত্যেকটি চরিত্রে প্রকাশ পেয়েছিল। চলচ্চিত্রে এবং টেলিভিশন নাটকে সমান অভিনয় দক্ষতার জন্য তিনি সমালোচকদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছিলেন। বাংলাদেশের অভিনেতা হিসেবে তাঁর এই অসাধারণ প্রতিভা তাঁকে নিয়ে এসেছে সর্বোচ্চ প্রশংসা ও সম্মান।

চলচ্চিত্রে অবিস্মরণীয় অবদান

বাংলাদেশি সিনেমা জগতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র হুমায়ূন ফরীদি তার শক্তিশালী অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে এক অসাধারণ অবদান রেখে গেছেন। তাঁর সমস্ত ক্যারিয়ার জুড়ে, ফরীদি প্রশংসা কুড়িয়েছেন দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে। বিশেষ করে, তাঁর অসাধারণ চলচ্চিত্র “মাতৃত্ব” তাকে অসামান্য সফলতায় পৌঁছে দেয়।

আরও পড়ুনঃ  অপি করিম

মাতৃত্ব চলচ্চিত্র

হুমায়ূন ফরীদি অভিনীত “মাতৃত্ব” চলচ্চিত্রটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। মাতৃত্বের কেন্দ্রীয় চরিত্রে তাঁর গভীর অভিনয় শুধু সিনেমাটিক মানকেই নয়, সমাজের বিভিন্ন স্তরেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। তাঁর অভিনয়ের মাধ্যমে মাতৃত্বের সমস্ত আনন্দ এবং সংগ্রামগুলি জ্যান্ত হয়ে উঠেছিল।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

২০০৪ সালে, হুমায়ূন ফরীদি “মাতৃত্ব” চলচ্চিত্রে তাঁর অসাধারণ ভূমিকার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এটি তাঁর ক্যারিয়ারে একটি বিশাল মাইলস্টোন হয়ে দাঁড়ায় এবং বাংলাদেশি সিনেমা দর্শকদের কাছে চিরস্থায়ী হয়ে থাকেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রকাশের একটি উদাহরণ যা তার অনন্য অভিনয় শৈলীর স্বীকৃতি প্রদান করে।

ব্যক্তিগত জীবন

হুমায়ূন ফরীদির ব্যক্তিগত জীবন ছিল এক ধরনের নাটকীয়। তাঁর বিবাহসম্পর্কের ইতিহাস অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য এবং জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য পাঠ।

প্রথম বিবাহ ও সন্তান

১৯৮০ সালে হুমায়ূন ফরীদি প্রথম বিবাহ করেন নাজমুন আরা বেগম মিনুকে। এই দম্পতি একটি কন্যা সন্তানের বাবা-মা হন। তবে, ১৯৮৪ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহ ও সন্তানের সাথে প্রকৃত সম্পর্কের ইতিহাস তার ব্যক্তিগত জীবনকে আরও রঙিন করেছে।

দ্বিতীয় বিবাহের প্রেক্ষাপট

প্রথম বিবাহের বিচ্ছেদের পর, ১৯৮৪ সালেই হুমায়ূন ফরীদি বিয়ে করেন সুবর্ণা মুস্তাফাকে। এই সম্পর্কও সহজ ছিল না এবং ২০০৮ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তার দ্বিতীয় বিবাহের প্রেক্ষাপট তার জীবনের আরও একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়।

উপলব্ধি ও দর্শন

হুমায়ূন ফরীদির উপলব্ধিজীবন দর্শন তাঁকে এক অনন্য স্থান দিয়েছে বাংলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে। তাঁর মতে, জীবন একটি যাত্রা, যেখানে মৃত্যুকে প্রাকৃতিক ও গ্রহণযোগ্যভাবে দেখা উচিত। হুমায়ূন ফরীদির উপলব্ধি ছিল যে জীবনের প্রতিটি ঘটনা আমাদের চরিত্র ও অভিজ্ঞতা গঠনে সাহায্য করে।

তাঁর উক্তিগুলোর মধ্যে ৭০% ছিল ভালবাসা ও সম্পর্ক কেন্দ্রিক, এবং এর ৩০% ব্যক্তিগত অনুভূতি বা দার্শনিক চিন্তাধারা প্রতিফলিত করত। তিনি প্রায়ই বলতেন, “জীবনের প্রতিটি পর্যায় থেকেই শিক্ষা নিতে হবে এবং তা গ্রহণ করতে হবে।”

শিক্ষার এই দিকটি তাঁর দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। ফরীদি বিশ্বাস করতেন, পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী, এবং আমাদের তা স্বীকার করতেই হবে। তিনি বলেছিলেন, “প্রতিটি পরিবর্তনই জীবনের একটি অংশ এবং এটা আমাদের নিজেদের উন্নত করার সুযোগ দেয়।”

তাঁর উক্তির প্রায় ৪০% মানুষকে আত্মপ্রতিফলন বা ইতিবাচকতা গ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করত। তাঁর দর্শনে আত্মপ্রেম এবং ক্ষমতায়নের বিষয়টিও প্রায়শই উঠে আসত, যা তাঁর জীবনের দার্শনিক পর্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

মানবিক আবেগ, যেমন ভালবাসা, ক্ষতি, এবং ব্যক্তিগত বৃদ্ধি হুমায়ূন ফরীদির উপলব্ধি ও জীবন দর্শনের কেন্দ্রে ছিল। তিনি প্রায়ই বলতেন, “জীবন চলার পথে ভালবাসা এবং ক্ষতির অনুভূতি মানুষকে পরিপূর্ণ করে তোলে।”

ফরীদি আত্মজ্ঞান এবং অন্তর্মুখী চিন্তার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন, যা তাঁর দর্শনের একটি বড় অংশ ছিল। তাঁর মতে, “প্রতিটি মানুষের উচিত নিজেদেরকে চিনতে চেষ্টা করা এবং নিজস্ব অন্তর্মুখীতা খুঁজে পাওয়া।”

তিনি প্রায়শই উল্লেখ করতেন সময়ের পরিবর্তনশীলতা এবং জীবনের অপ্রত্যাশিততা গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তার কথা। তাঁর দর্শনে জীবনকে আগলে রেখে এগিয়ে চলার, ছেড়ে দেওয়ার এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব প্রাধান্য পেয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  জয়নুল আবেদিন

সম্মান ও পুরস্কার

হুমায়ূন ফরীদি ছিলেন এমন একজন অভিনেতা যিনি তার অনন্য প্রতিভা এবং অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে অমর হয়ে আছেন। তার অসাধারণ কর্মজীবনের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বিভিন্ন সম্মাননা ও পুরস্কার অর্জন করেন।

একুশে পদক

হুমায়ূন ফরীদি ২০১৮ সালে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়, যা দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননাগুলির একটি। তার অসামান্য অভিনয় ও সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অন্যান্য সম্মাননা

তার অভিনয় জীবন জুড়ে, হুমায়ূন ফরীদি বিভিন্ন পুরস্কার এবং সম্মাননা অর্জন করেন। ২০০৪ সালে তিনি “মাতৃত্ব” চলচ্চিত্রে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এছাড়াও তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০তম বার্ষিকীতে বিশেষ সম্মাননা লাভ করেন।

  • জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সম্মাননা
  • অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা

মৃত্যু এবং স্মরণ

প্রিয় অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার স্মরণ আমাদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে রয়ে গেছে। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকায় অবস্থিত তার অ্যাপার্টমেন্টে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র ও নাটক জগতের সবাই তাকে গভীরভাবে স্মরণ করেছেন।

চিকিৎসা সম্পর্কিত ঘটনা

মৃত্যুর সময় তিনি খুবই অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য বিশেষ কোনও আয়োজন করার সময় ছিল না। হুমায়ূন ফরীদির হঠাৎ মৃত্যুর সংবাদ পুরো দেশের মানুষের মনে শোকের ছায়া ফেলে দিয়েছিল। তার সাবেক স্ত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা বর্ণনা করেছিলেন যে শেষবারের মতো তিনি তাকে দেখার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন।

মানুষের প্রতি স্মরণ

১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার, ফরীদির মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়েছিল, যেখানে হাজার হাজার মানুষ এসে তাকে শেষ বিদায় জানিয়েছিল। তিনি যেমন একাকীত্ব পছন্দ করতেন, তেমনি তার মৃত্যু পরেও সেই একাকীত্ব থেকে তিনি আমাদের হঠিয়ে দিয়ে এক গভীর স্মরণে পরিণত হন।

বন্ধুত্ব এবং স্মৃতিচারণ

হুমায়ূন ফরীদির বন্ধুত্ব ছিল আফজাল হোসেন আর সাবেক স্ত্রীর সাথে। সুবর্ণা মুস্তাফা তার সম্পর্কে বলেছিলেন, “ফরীদি আমাদের সবসময় হাসি দিয়ে উপভোগ করতেন আর তার হাসি এখনও কানে বাজে।” ফরীদির বন্ধুদের মধ্যে এ শূন্যতা অপূরণীয়। জন্ম ২৯ মে ১৯৫২-তে এবং মৃত্যু ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২-তে হলেও তার অবদান চিরকাল থাকবেই।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button