মার্মা জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে মার্মা জাতি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। মার্মা জাতির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় এবং সম্মৃদ্ধ। এই জনগোষ্ঠীর জীবনের প্রতিটি ধাপে নিজেদের সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করার অনন্য দক্ষতা রয়েছে। ধর্মীয় উৎসব, সামাজিক অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মার্মা জনগোষ্ঠী তাদের অমূল্য ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখে।

মার্মা জাতি মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং এই ধর্মীয় বিশ্বাস তাদের সংস্কৃতির মূলে প্রবাহিত। তারা বিভিন্ন ধরনের উৎসব পালন করে, যার মধ্যে অন্যতম সাংগ্রাই উৎসব ও বুদ্ধ পূর্ণিমা। পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় তাদের উপস্থিতি এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। মার্মা জাতির পুরনো ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক রীতিনীতি এই জনগোষ্ঠীর জীবনের প্রতি স্তরে প্রতিফলিত হয়।

মার্মা জাতির পরিচিতি

মার্মা জনগোষ্ঠী তাদের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও প্রাচীন ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। এ জনগোষ্ঠীর মূল বসতি পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি অঞ্চলে অবস্থিত। তারা ম্যানমারের ম্রাইমা থেকে উদ্ভুত হয়ে স্থানীয় পরিবেশ এবং সংস্কৃতির সাথে সমন্বিত হয়েছে।

মার্মা শব্দের উৎপত্তি

মার্মা শব্দটি ম্যানমারের ম্রাইমা শব্দ থেকে এসেছে, যা জনগোষ্ঠীর ইতিহাস ও পরিচয় বহন করে। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে মূলত বসবাস করে এবং বিভিন্ন সংবিধিবদ্ধ সম্প্রদায়ের সাথে ঐক্যবদ্ধ।

জনসংখ্যা ও বিস্তার

মার্মা জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা বেশ কয়েক লক্ষাধিক। ১৯৯১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী, বাংলাদেশে মার্মা জনসংখ্যা ছিল ১,৫৭,৩০১। মার্মারা ব্যপক বিস্তৃত হয়েছে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি এলাকার পাহাড়ি অঞ্চলজুড়ে।

বাংলাদেশ ছাড়াও মার্মা জনগোষ্ঠী ভারত ও ম্যানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস করে। বিশেষ করে কক্সবাজার, বরিশাল এবং পটুয়াখালী এলাকায় তাদের জনপ্রিয়তা বিশেষ নজরকাড়া। তাদের সংখ্যা ও বিস্তারের প্রমাণ স্বরূপ এ জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও সামাজিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

মার্মা জাতির ইতিহাস

মার্মা ইতিহাস সম্পর্কে জানতে গেলে বুঝতে হবে তাদের বংশোদ্ভূত এবং ঐতিহ্য। মার্মা জাতি মঙ্গোলীয় উত্তরাধিকার অনুযায়ী বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় বসতি স্থাপন করেছে। তাদের ইতিহাস মঙ্গল, বর্মী ও আরাকানী যুদ্ধ এবং শান্তির সময়কালের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশের ভাষা - জাতীয় ভাষা বাংলা

অতীত ও বর্তমান

মার্মা ইতিহাস অতি প্রাচীন। ১৭৯৭ থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত, প্রায় ৪০,০০০ শরণার্থী কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং পটুয়াখালীতে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে, তারা ধর্মীয়ভাবে বৌদ্ধ ধর্ম অনুসরণ করে এবং প্রকৃতি পূজায় বিশ্বাসী। মার্মা বংশোদ্ভূত মানুষের সমাজে বিভিন্ন রিগ বা খ্যংসা (klan) রয়েছে, যেমন রিগো, কক্‌দাইংসা ইত্যাদি।

মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত

মার্মা বংশোদ্ভূত মানুষ মঙ্গোলীয় উত্তরাধিকার অনুসারে জাতিগত বৈচিত্র্য বজায় রেখেছে। এরা আরাকানী উপভাষা কথা বলে, যা বর্মী-আরাকানিস লিপি থেকে উদ্ভূত। বর্তমানে, তারা আরও সম্প্রদায়ের সাথে মিশে একটি বৈশিষ্ট্যমূলক সাংস্কৃতিক পরিচয় তৈরি করেছে।

মার্মা ভাষা ও সাহিত্য

মার্মা ভাষা বর্মী ভাষাশাখার অন্তর্গত, যা চট্টগ্রামের মারমা জনগোষ্ঠী ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা। এই ভাষার মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ এবং অন্যান্য লিপি রচনা প্রচলিত হয়েছে, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অর্জন করেছে।

ভাষার বৈশিষ্ট্য

মার্মা ভাষার বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে আছে এটির অনন্য শব্দতত্ত্ব এবং ধ্বনিতত্ত্ব। এই ভাষা প্রধানত টোনাল প্রকৃতির, যা শব্দের উচ্চারণে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম। মার্মা ভাষায় বিভিন্ন বর্ণমালা ব্যবহৃত হয় যার মধ্যে এখনকার আধুনিক লিপি গ্রন্থনা অন্যতম।

সাহিত্য ও লিপি

মার্মা সাহিত্য সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন ধারা এবং রীতির বিকাশ ঘটিয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ছাড়াও, মার্মা ভাষায় লেখা হয়েছে বিবিধ নাটক, উপন্যাস, এবং কবিতা। সাহিত্যিকদের অনন্য সাহিত্যকর্মে মার্মা ভাষার সৌন্দর্য এবং বোধগম্যতা ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে বর্মী ভাষাশাখার প্রভাব মার্মা জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলে।

Upcoming Book Sales

  • Starting from 7th December, there will be a clearance sale offering discounts up to 70% on books and up to 78% on products.
  • মার্মা জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য – TK. 301 with a 14% discount.
  • মারমা সংস্কৃতির স্বরূপ সন্ধান – original price TK. 300, discounted price TK. 258, amount saved TK. 42.
  • Books like মারমা ভাষায় রূপকথা, চাকমা ভাষায় রূপকথা, সাঁওতাল ভাষায় রূপকথা are each priced at TK. 301.

মার্মা জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব

মার্মা জনগোষ্ঠী তাদের বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতির মাধ্যমে বিশিষ্টতা লাভ করেছে, যার অন্যতম প্রধান দিক হলো তাদের উৎসব। এই জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসবগুলোর মধ্যে দুটি বিশেষভাবে আলোচ্য: সাংগ্রাই এবং বুদ্ধ পূর্ণিমা

সাংগ্রাই উৎসব

সাংগ্রাই উৎসব, যা মার্মা এবং রাখাইন সম্প্রদায়ের নববর্ষ উদযাপন, এটি প্রতি বছর ১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলে। এই উৎসবের মূল আকর্ষণ হল জল খেলা, যা আনন্দ এবং উল্লাসের সাথে পালন করা হয়। সাংগ্রাই উৎসবের সময় ঘরবাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো হয়, মন্দিরে মোমবাতি জ্বালানো হয় এবং পূজা-অর্চনা করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  গুজরাটি ভাষা শেখার সহজ উপায় - একটি গাইড

সাংগ্রাই উৎসবের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম হলো:

  • ফুল সংগ্রাই (ফুল উৎসব), যা ১২ এপ্রিল রাতে পালিত হয়।
  • সাংগ্রাই জিহ (সাংগ্রাই বাজার), যা ১৩ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলে।
  • বুদ্ধ স্নান এবং আনুষ্ঠানিক স্নান।

এই সময়ে নারী ও পুরুষ উভয়ে একত্রে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নেয় এবং স্থানীয় পণ্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করে। এই উৎসবে বিশেষ খাওয়া-দাওয়া এবং ঝলমলে পোশাক পরিধানও করা হয়।

বুদ্ধ পূর্ণিমা ও অন্যান্য উৎসব

বুদ্ধ পূর্ণিমা মার্মা জনগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এই দিনে বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ এবং মহাপরিনির্বাণ উদযাপিত হয়। প্রবারণা পূর্ণিমা ও কাথিন চীবর দানও মার্মা ধর্মীয় জীবনে বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়।

বুদ্ধ পূর্ণিমায় মার্মা জনগোষ্ঠী মন্দিরে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করে, ধর্মীয় ধর্মসভায় অংশগ্রহণ করে এবং বুদ্ধের প্রতিকৃতিকে পানিতে স্নান করায়। এটি সামাজিক সংহতির প্রতীক এবং ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার প্রতিফলন। এই উৎসবগুলো মার্মা জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে এবং তাদের ঐতিহ্যকে আরও বর্ণাঢ্য করে তোলে।

মার্মা উৎসব সাধারণত এক বৈচিত্র্যপূর্ণ, চৌম্বকীয় ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে সকল বয়সের মানুষ আনন্দ ও শান্তির সন্ধান পায়।

মার্মা পোশাক ও অলঙ্কার

মার্মা জাতির ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং অলঙ্কার তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম প্রধান রূপ। এই পোশাক এবং অলঙ্কারে মার্মা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার আভাস স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে।

পোশাকের বৈশিষ্ট্য

মার্মা জনগণের ঐতিহ্যবাহী পোশাক প্রধানত হাতে তৈরি হয়। পুরুষরা দেয়াহ নামে পরিচিত এক ধরনের লুঙ্গি পরে থাকেন, যা বেশিরভাগ সময় কাপড়ে বানানো হয়। অন্যদিকে, মহিলারা থ্বিং বা থামি নামে পরিচিত এক ধরনের স্কার্ট পরে থাকেন, যা রঙিন কাপড় এবং সূচিকর্ম দিয়ে সজ্জিত হয়। এই ঐতিহ্যবাহী পোশাক মার্মা জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত রয়েছে এবং তা উৎসব ও বিশেষ অনুষ্ঠানগুলিতে পরিধান করা হয়।

অলঙ্কার ও তার ব্যবহার

মার্মা অলঙ্কারে বিভিন্ন ধরনের মালা, কানের দুল, এবং হাতের গয়না অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই অলঙ্কারগুলি প্রধানত বাঁশ এবং মেটালের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। মার্মা নারীরা এসব অলঙ্কার খুবই গুরুত্ব সহকারে পরেন যা তাদের ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। অলঙ্কারের নকশা এবং প্রস্তুতি প্রক্রিয়া পরিবার থেকে পরিবারে স্থানান্তরিত হয়, যা একটি ধারাবাহিক ঐতিহ্য বজায় রাখার প্রতীক।

আরও পড়ুনঃ  বাংলা ব্যাকরণ - সহজ নিয়ম ও শব্দের ব্যবহার

মার্মা খাবার এবং রান্না

মার্মা জনগোষ্ঠীর খাবার ও রান্নার ধরণ তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল এবং স্বতন্ত্র রন্ধনশৈলীর মাধ্যমে তারা পার্বত্য রান্নার এক অনন্য ধারনা তৈরি করেছেন। বিশেষ করে জুম চাষ ও ভোজনবিলাসের সংমিশ্রণটি অনেকের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে।

প্রধান খাদ্যসমূহ

মার্মা খাবার প্রধানত ভাত এবং বাঁশের শুটের পাওয়া যাবতীয় পদ থেকে তৈরি। এখানকার খাবারের মধ্যে পার্বত্য রান্না বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যার মধ্যে বাঁশের শুটের ধোঁকা এবং খুবই অল্প তেলে রান্না করা শাকসবজি ও মাছের ব্যবহার দেখা যায়। এখানে রান্নার প্রণালীতে ঝাল-মসলার ব্যবহার কম, বরং তাজা উপকরণের স্বাদসমূহ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়।

রান্নার পদ্ধতি ও উপকরণ

অধিকাংশ মার্মা পরিবারে প্রথাগত উঁচু মাচা-বানানো হেঁসেল (কিচেন) ব্যবহার করা হয়, যা বিশেষভাবে তাঁদের রান্নার ধরনকে প্রভাবিত করে। এখানে রান্নার জন্য ব্যবহৃত উপকরণসমূহের মধ্যে বাঁশের শুট, বিভিন্ন ধরনের শাক, স্থানীয় মাছ ও মাংস প্রাধান্য পায়। বিশেষত, জুম চাষ থেকে প্রাপ্ত ধান ও শাকসবজির ব্যবহার বেশিরভাগ খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকে। নিজেদের উৎপাদিত ফসল দিয়ে তৈরি এই খাবারগুলি মার্মা জনগোষ্ঠীর খাদ্যসংস্কৃতির বিশেষ দিক।

মার্মা শিল্প ও স্থাপत্য

মার্মা জাতির ইতিহাস এবং সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল তাদের শিল্প এবং স্থাপত্য। এই জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি এবং স্থাপত্যশৈলী তাদের জীবনধারা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ির মত এলাকায় তাদের অবস্থান যে তাদের স্থাপত্য এবং ঘরবাড়ির নির্মাণে কতটা প্রভাব ফেলেছে, তা বুঝা যায় তাদের নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব নকশায়।

বাড়িঘর ও গৃহস্থালি

মার্মা জনগোষ্ঠীর বাড়িঘর সাধারণত বাঁশ, কাঠ এবং রঙিন কাপড় দ্বারা নির্মিত হয়। এসব উপকরণ সহজলভ্য হওয়ায় গ্রাম্য পরিবেশের সাথে মিশে আছে। বাড়িঘরগুলো অধিকাংশই উঁচুতে বানানো, যাতে মাটি থেকে ভেজা এবং জীবজন্তু থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। বাড়ির ছাদগুলো ঢালু করার মাধ্যমে বৃষ্টির পানি সহজে নামানো হয়। গৃহস্থালি জিনিসপত্রের মধ্যে থাকে বাঁশ এবং কাঠের তৈজসপত্র।

স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য

মার্মা জাতির স্থাপত্যশৈলীতে প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রভাব লক্ষণীয়। স্থাপত্যশৈলীতে বাঁশের ব্যবহার অত্যন্ত বেশি। মাটি থেকে উঁচুতে বানানো হলেও ঘরগুলো মূলত খুলে যায়, যা প্রচুর বাতাস চলাচল বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই ধরনের স্থাপত্যশৈলী তাদের স্থায়িত্ব এবং স্থিতিশীলতাকে ধরে রাখে যথার্থ পরিবেশ বজায় রাখতে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button