জন্ডিস এর লক্ষণ কি?

বাংলাদেশে প্রায় ৩ মিলিয়ন মানুষ জন্ডিসের লক্ষণগুলির সাথে পরিচিত, যার মধ্যে রয়েছে হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, যকৃত ক্যান্সার, এবং ফ্যাটি লিভার ডিজিজ সহ নানাবিধ আকারের অসুখ। যকৃত ক্রিয়াকলাপের অসামঞ্জস্যতা, পিত্তনালীর অবরোধ, বিলিরুবিনের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং হেপাটাইটিস বি সহ নানান রোগ জন্ডিসের প্রধান কারণ হতে পারে। বাংলাদেশে জন্ডিস প্রতিরোধের জন্য বিশুদ্ধ পানি পান, অপরিষ্কার রাস্তার খাবার এবং পানীয় এড়ানো, সঠিক মাত্রায় নিষ্কাশন এবং পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা গ্রহণ, নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, ডায়াবেটিস এবং ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা করা, মদপান এড়িয়ে চলা, এবং যকৃতের দীর্ঘমেয়াদী রোগের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার পরামর্শ গ্রহণের কথা স্মরণ করা।

অনেক সময় বিলিরুবিন পরীক্ষা এবং লিভারের এনজাইম পরীক্ষা মিলে জন্ডিস ডায়াগনস্টিক করার অন্যতম উপায় হিসেবে কাজ করে। জন্ডিসের বিদ্যমান চিকিৎসা পদ্ধতিতে যকৃতের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা, বিলিরুবিন নিষ্কাশনের কৌশল, এবং জন্ডিসের আসল কারণ চিহ্নিতকরণের জন্য রক্ত পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকে। তবে, গ্রামাঞ্চলে এখনও ‘মেটে জন্ডিস’ বনাম ঝাড়ফুঁক ও তাবিজের মতো অবিজ্ঞানসম্মত ধারণা প্রচলিত রয়েছে, যা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মোটেই কাম্য নয়।

জন্ডিস কি?

চিকিৎসা বিজ্ঞানে জন্ডিস সংজ্ঞা এমন একটি অবস্থা হিসেবে পরিচিত, যেখানে রক্তে বিলিরুবিন মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, যা ত্বক ও চোখের সাদা অংশকে হলুদাভ করে তোলে। এই লক্ষণটি লিভার সমস্যা, বিলিরুবিন বিপাকের ত্রুটি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত জটিলতার ইঙ্গিত দেয়।

জন্ডিসের সংজ্ঞা

জন্ডিস মূলত শরীরে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে দেখা দেয়। বিলিরুবিন এক ধরনের পিত্ত রঞ্জক, যা লোহিত রক্তকণিকার প্রাকৃতিক ক্ষয় প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়। রোগের লক্ষণ হিসাবে জন্ডিসকে চিহ্নিত করার পর উপযুক্ত নির্ণয় ও চিকিৎসা অনুসরণ করা হয়।

জন্ডিসের কারণ

  • লোহিত কণিকা ক্ষয়: অতিরিক্ত হারে রক্তকণিকা ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া।
  • লিভার সমস্যা: লিভার প্রদাহ যেমন হেপাটাইটিস অথবা লিভার সিরোসিস।
  • বিলিরুবিন বিপাকের ব্যাঘাত: বিলিরুবিন যথাযথভাবে বিপাক না হওয়া।
  • পিত্তনালীর সমস্যা: পিত্তনালীতে অবরোধ হলে বিলিরুবিন যথাস্থানে না পৌঁছানো।
  • ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অথবা জেনেটিক কারণেও জন্ডিসের উদ্ভব হতে পারে।

সঠিক জন্ডিসের সংজ্ঞা এবং জন্ডিসের কারণ চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি উপসর্গের পেছনের গভীরতর স্বাস্থ্য সমস
্যাগুলি নির্ণয় করতে সাহায্য করে। এই বোঝাপড়ার মাধ্যমেই প্রভাবী চিকিৎসা সম্ভব হয়।

আরও পড়ুনঃ  দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায়

জন্ডিসের প্রধান লক্ষণ

জন্ডিসের উপস্থিতি সাধারণত কয়েকটি স্পষ্ট লক্ষণ দ্বারা চিহ্নিত হয়, বিশেষ করে ত্বকের হলুদ বর্ণ এবং চোখের স্ক্লেরা রঙ পরিবর্তন। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বাড়লে, এই লক্ষণগুলিকে আরো স্পষ্ট করে তোলে। চলুন এই দুই লক্ষণের বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

ত্বকের রঙ পরিবর্তন

জন্ডিসের একটি প্রাথমিক এবং সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় লক্ষণ হলো ত্বকের হলুদ বর্ণ। বিলিরুবিন মূলত একটি পদার্থ যা লিভার দ্বারা যথাযথভাবে প্রক্রিয়াজাত না হওয়ার ফলে রক্তে সঞ্চিত হওয়া শুরু করে এবং ত্বকে হলুদ বর্ণ দান করে।

চোখের সাদা অংশের রঙ পরিবর্তন

চোখের সাদা অংশ বা স্ক্লেরার রঙ পরিবর্তন হলো জন্ডিসের আরেকটি সুস্পষ্ট লক্ষণ। চোখ হলুদ হওয়া বিলিরুবিন প্রভাবের ফলে ঘটে, যখন চোখের সাদা অংশে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং তা হলুদাভ হয়ে যায়।

এই লক্ষণগুলির উপস্থিতি জন্ডিসের ধারণা দেয় এবং অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তাকে ইঙ্গিত করে। সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ না করলে, স্বাস্থ্যজনিত জটিলতাগুলি উদ্ভূত হতে পারে।

অন্যান্য উপসর্গ

জন্ডিসের প্রারম্ভিক লক্ষণ হিসেবে সাধারণত পেটে অস্বস্তিশারীরিক দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়। এই উপসর্গগুলি রোগীদের দৈনন্দিন কাজে বাধা দেয় এবং সাধারণ স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।

পেটের সংকোচন

জন্ডিসের স্থায়ী উপসর্গ হিসেবে পেট ব্যথা প্রায়শই দেখা দেয়, যা পেটে চাপ অনুভবের সঙ্গে সঙ্গে সংকোচনের অনুভূতি নিয়ে আসে। এই অস্বস্তি খাওয়ার পরে অথবা শারীরিকভাবে অধিক পরিশ্রম করার পরে বেড়ে যেতে পারে।

ক্লান্তি বা দুর্বলতা

জন্ডিসের সংক্রান্ত ক্লান্তি এবং দুর্বলতা রোগীর জীবনযাত্রায় গভীর প্রভাব ফেলে। এটি সাধারণত রোগীদের কর্মক্ষমতা এবং পারিপার্শ্বিক ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণের ক্ষমতাকে হ্রাস করে। দুর্বলতা এবং ক্লান্তি অতিরিক্ত ঘুম হওয়া অথবা ঘুমের পর্যাপ্ত না হওয়ার ফলেও বাড়তে পারে।

  • পেট ব্যথাপেটে অস্বস্তি হ্রাসের জন্য নিয়মিত পরীক্ষা ও সঠিক চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ।
  • ক্লান্তিশারীরিক দুর্বলতা কমাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা জরুরি।

এই উপসর্গগুলি পরিচালনার মাধ্যমে জন্ডিসের প্রভাবকে হ্রাস করা সম্ভব এবং আক্রান্ত ব্যক্তির মানসিক ও শারীরিক স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখা যায়।

কোন সংকেত জানানো উচিত?

জন্ডিস এমন একটি রোগ যা বিভিন্ন জটিল উপসর্গ নিয়ে হাজির হয় এবং সেসব ক্ষেত্রে ডক্টরের পরামর্শ এবং যথাযথ জরুরি চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। এখানে কিছু সাধারণ এবং গুরুতর উপসর্গের তালিকা দেওয়া হলো যা জন্ডিসের ক্ষেত্রে লক্ষণীয়:

যখন চিকিৎসার প্রয়োজন

  • তীব্র ক্লান্তি এবং স্বাভাবিক থেকে অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া।
  • চোখ এবং ত্বকের হলুদ বর্ণ যা ক্রমেই গাঢ় হয়ে উঠছে।
  • মারাত্মক পেট ব্যথা যা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছানো।

গুরুতর উপসর্গ

  1. রক্তবমি বা চামড়ার নীচে অস্বাভাবিক রক্তপাত।
  2. পেট এবং পায়ে পানি এসে ফুলে যাওয়া।
  3. অস্বাভাবিক মানসিক অবস্থা বা কনফিউশন অনুভব করা।

এই ধরনের উপসর্গ দৃশ্যমান হলে অবিলম্বে জন্ডিস চিকিৎসা শুরু করা উচিত। বিশেষ করে, জন্ডিসের জটিল উপসর্গগুলির প্রতি সতর্ক থাকা এবং অবস্থান ভেদে যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া জরুরি।

আরও পড়ুনঃ  লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে?

উল্লেখ্য, জন্ডিসের প্রাথমিক অবস্থায় যখনই প্রথম লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়, তখনই ডক্টরের পরামর্শ গ্রহণ করা আবশ্যক। প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে জন্ডিসের জটিলতার হার অনেক কমে যায়।

শিশুদের মধ্যে জন্ডিস

জন্মের পর প্রথম সপ্তাহগুলোতে নবজাতক জন্ডিস দেখা দেও৯াটা খুবই সাধারণ বিষয়। এটি প্রায়ই নবজাতকদের লিভার অপরিপক্কতার কারণে ঘটে। একইভাবে শিশুর জন্ডিস তাদের প্রথম জীবনের পর্বে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।

নবজাতকদের জন্ডিস

সদ্যজাত শিশুদের জন্ডিস সাধারণত নিরপেক্ষ এবং সিলটিমিটেড হয়, যা বিলিরুবিন স্তরের সামান্য বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ঘটে। সাধারণত 60% পূর্ণমেয়াদি এবং 80% অপূর্ণমেয়াদি নবজাতকদের এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে, বিলিরুবিনের মাত্রা যদি অত্যন্ত বাড়তে থাকে তবে অবশ্যই চিকিৎসা প্রয়োজন।

শিশুদের লক্ষণ

শিশু জন্ডিস লক্ষণ সচারাচর হলুদ ত্বক এবং চোখের সাদা অংশে হলুদাভ বর্ণ দেখা দেওয়া। এছাড়াও অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে একটি মন্দ খাওয়ানো অভ্যাস, মলের রঙে পরিবর্তন এবং অনিয়মিত মূত্র পরিলক্ষিত হতে পারে।

শিশু স্বাস্থ্য পরামর্শ অনুযায়ী, যদি বাচ্চাদের জন্ডিসের লক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয় অথবা বিলিরুবিনের মাত্রা খুবই বেশি বৃদ্ধি পায়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে যত্ন নেওয়া উচিত। প্রাথমিক অবস্থায় সঠিক পদক্ষেপ শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে জন্ডিস

প্রাপ্তবয়স্ক জন্ডিস এর নির্ণয় ও চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি লিভারের গুরুতর সমস্যা সূচিত করতে পারে। জন্ডিসের ভালভাবে লক্ষণ ও পরীক্ষা করা এবং সময়মতো জন্ডিস চিকিৎসা না হলে গুরুতর স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দিতে পারে।

সাধারণ লক্ষণ

  • ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া
  • ক্ষুধামন্দ্য ও বারবার বমি বমি ভাব
  • অস্বাভাবিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা

জরুরি স্বাস্থ্যসেবা

প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে জন্ডিসের ক্ষেত্রে যে কোনও জরুরি লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক জন্ডিস সাহায্য এবং চিকিৎসা নিতে হবে:

  • হঠাৎ পেট ফুলে যাওয়া বা পানি জমা
  • পেটে চাকা অনুভূতি বা তীব্র পেটব্যথা
  • চরম দুর্বলতা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

প্রাপ্তবয়স্ক জন্ডিসের সাথে জড়িত জটিলতা সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

জন্ডিসের প্রকারভেদ

জন্ডিস বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যার প্রতিটির নিজস্ব কারণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান দুই প্রকার হলো হেপাটাইটিস জন্ডিস এবং পিত্তনালী জন্ডিস

হেপাটাইটিস জন্ডিস

হেপাটাইটিস জন্ডিস মূলত ভাইরাল হেপাটাইটিস এর ফলে সৃষ্টি হয়। ভাইরাসজনিত হেপাটাইটিস যেমন হেপাটাইটিস A, B, C, D, ও E লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং এই প্রদাহের ফলে লিভার ঠিকমতো বিলিরুবিন প্রক্রিয়াজাত করতে পারে না, যার ফলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং জন্ডিস দেখা দেয়।

পিত্তনালী জন্ডিস

অন্যদিকে, পিত্তনালী জন্ডিস সাধারণত পিত্তনালী অস্তরোধ এর কারণে ঘটে। পিত্তনালীতে অস্তরোধ হতে পারে গলগন্ড, পিত্তপাথরী, টিউমার অথবা পিত্তনালীর ঘনাকৃতির পরিবর্তনের কারণে। এই অস্তরোধের ফলে পিত্তরস ঠিকমতো অন্ত্রে প্রবাহিত হতে পারে না, যার ফলে বিলিরুবিন জমা হয়ে রক্তে বেড়ে যায় এবং জন্ডিস সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুনঃ  হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়

উল্লিখিত দুই প্রকার জন্ডিস চিনে তাদের লক্ষণ ও কারণ বুঝে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে এই শারীরিক সমস্যার প্রভাব অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

চিকিৎসার সময় জন্ডিসের লক্ষণ

জন্ডিস চিকিৎসার দৃষ্টিকোণ থেকে যথাযথ জন্ডিস পর্যবেক্ষণরোগী যত্ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। প্রত্যেক রোগীর বিশেষ চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক কর্তৃক সুস্পষ্ট ও সঠিক নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে রোগের অগ্রগতি নির্ণয় ও পরিচালনা করা সম্ভব হয়।

  • জন্ডিসের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিলিরুবিনের মাত্রার উপর নজ়র রাখা হয়।
  • রোগীদের স্থিতিশীলতা ও উন্নতির লক্ষণের উপর সঠিক রোগীর সহায়তা সরবরাহ করা।

পর্যবেক্ষণ ও ব্যবহার

জন্ডিস চিকিৎসা প্রতিটি পর্যায়ে বিস্তারিত মনিটরিং এবং রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে রোগের অবস্থার উন্নতি বা অবনতিকে চিহ্নিত করা হয়। নিয়মিত লিভারের ফাংশন পরীক্ষা, রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা যাচাই, এবং অন্যান্য লক্ষণের নিরীক্ষণ খুব জরুরি।

রোগীদের জন্য নির্দেশনা

রোগীদের জন্য সুনির্দিষ্ট জন্ডিস নির্দেশনা থাকা অপরিহার্য। চিকিৎসা পরামর্শ মোতাবেক খাবার ও ওষুধ গ্রহণ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, এবং নির্দেশিকা অনুযায়ী টিকাকরণ সাপেক্ষে জন্ডিসের প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

  • রোগীদের সচেতনতা ও ডায়াগনোস্টিক পরীক্ষার জন্যে নিয়মিত ক্লিনিক পরিদর্শন করা।
  • আরোগ্য লাভের পর রোগ পুনরাবৃত্তি এড়াতে এবং স্বাস্থ্যবান ফলাফলের জন্য পরামর্শমতো চিকিৎসা অব্যাহত রাখা।

ঘরোয়া প্রতিকার

জন্ডিস নিয়ে যখন আলোচনা হয়, তখন ঘরোয়া প্রতিকারের কথাও উঠে আসে। এর মধ্যে রয়েছে সেইসব প্রাথমিক সেবাসমূহ, যা জন্ডিস ঘরোয়া প্রতিকারের অংশ হিসেবে দেখা যায়। এমন সেবাসমূহ রোগীর সাময়িক আরাম দান এবং এই রোগের জটিলতা রোধে কিছুটা সহায়ক হতে পারে। ঘন ঘন চুলকানি এবং শ্লেষ্মা ঝিল্লির হলুদ হওয়ার মতো উপসর্গগুলি সামলানোর জন্য প্রয়োজন হয় যত্নবান হেলথ টিপস।

প্রাথমিক সেবাসমূহ

জন্ডিস সংক্রান্ত প্রধান হেলথ টিপস হলো পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও নিরাপদ পানি পান করা, যা লিভারের চাপ কমিয়ে আনে এবং শরীরের সম্পূর্ণ বিষমুক্তিকরণ প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে। বিষাক্ত বা অতিরিক্ত ঔষধ সেবন এড়িয়ে চলা, অ্যালকোহলের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং তীব্র লিভার প্রদাহ এবং পিত্তনালী সম্পর্কিত সমস্যায় সচেতন থাকা জরুরি।

স্বাস্থ্যকর খাদ্য

স্বাস্থ্য সচেতন খাদ্য জন্ডিসের প্রতিকারে অপরিহার্য। হেমোলাইটিক এনিমিয়া এবং গিলবার্ট সিন্ড্রোম মতো কিছু রোগের কারণে জন্ডিস হতে পারে, তাই আমরা যে ডায়েট অনুসরণ করি তার উপর খুব বেশি নির্ভর করে। উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য, যেমন ফলমূল এবং শাকসবজি, এবং যথেষ্ট প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার লিভারের কাজকে সহায়তা করে। স্বাস্থ্যকর ডায়েট মাধ্যমে আমরা প্রি-হেপাটিক, হেপাটোসেলুলার এবং পোস্ট-হেপাটিক জন্ডিসের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button