কেমোথেরাপি কি? – ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যাখ্যা

কেমোথেরাপি এক শক্তিশালী ও পরিচিত ক্যান্সার চিকিৎসার পদ্ধতি, যা কর্কটরোগের চিকিৎসায় আধুনিক যুগের এক অন্যতম উপাদান। এটি সিস্টেমিকভাবে ক্যান্সার সেলগুলির বিস্তার ও পুনুৎপাদনের মুখোমুখি হয়ে, তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য বিশেষ ধরণের ঔষধের প্রয়োগ করে। চিকিৎসকরা যখন মনে করেন যে ক্যান্সার কোষগুলো শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিস্তার লাভ করেছে, তখন তারা কেমোথেরাপির সিদ্ধান্ত নেন। আর এই চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত প্রভাবশালী হতে পারে লিউকেমিয়ার মত কিছু নির্দিষ্ট প্রকারের ক্যান্সারে, যা সমগ্র শরীরে বিস্তৃত হয়।

কেমোথেরাপি যদিও শরীরকে দুর্বল করতে পারে, কিন্তু এটি যে সব প্রতিকূল প্রভাব রাখে, তার মধ্যে কিছু হয় সাময়িক, যেমন চুল পড়া বা ত্বকের পরিবর্তন, যা চিকিৎসা শেষে অনেক সময়ে আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এই থেরাপির সময়কাল রোগের ধরণ এবং চিকিৎসা পদ্ধতির উপর নির্ভর করে, যা ১৫ দিন ব্যাপী অনবরত কিংবা মাসে একবারের চিকিৎসা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা রোগীর সাড়া অনুযায়ী কেমোথেরাপির মাত্রা ও সেশন সমন্বয় করেন, রোগীর সার্বিক চিকিৎসা প্রতিক্রিয়া এবং সহনীয়তার ভিত্তিতে। আপোলো অঙ্কোলজিস্টদের অনুসরণ করে ২৮শে আগস্ট, ২০২৩ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে যে, কেমোথেরাপি স্বাধীন ক্যান্সার চিকিৎসায় একটি প্রধান পদ্ধতি।

Contents show

কেমোথেরাপির ধারণা

ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে কেমোথেরাপির ব্যাপক প্রয়োগ এবং এটির অনন্য সাইটোটক্সিক ক্রিয়াকলাপ বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এই ধারাটি বিস্তারিত আলোচনা করবে কেমোথেরাপি কীভাবে কাজ করে তার উপর, এর বিবিধ তথ্য এবং ইতিহাস নিয়ে।

কেমোথেরাপি কীভাবে কাজ করে

কেমোথেরাপির প্রক্রিয়া মূলত অ্যান্টি-ক্যান্সার ওষুধগুলির মাধ্যমে ক্যান্সার সেলগুলিকে ধ্বংস করা। এই ওষুধগুলি রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং ক্যান্সার সেলগুলির DNA এবং RNA ক্ষতির মাধ্যমে তাদের বিভাজন ও বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়। এটি তাদের পুনরুজ্জীবনের ক্ষমতা হ্রাস করে দেয় এবং অবশেষে সেলগুলি মারা যায়।

কেমোথেরাপির ইতিহাস

কেমোথেরাপির ইতিহাস দীর্ঘ এবং জটিল। প্রারম্ভিক সময়ে, এটি ক্যান্সারের বিভিন্ন রূপ নির্ণয়ে এর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে বিজ্ঞানীরা এর প্রভাব এবং কার্যকারিতা উন্নীত করেছেন যা এখন অনেক অ্যান্টি-ক্যান্সার থেরাপির মূল অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়।

আরও পড়ুনঃ  কি খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়?

বিভিন্ন ধরনের কেমোথেরাপি

কেমোথেরাপির বিবিধ পদ্ধতি এবং তার ব্যাবহারিক প্রয়োগ রোগীর চিকিৎসায় বিশেষ করে ক্যান্সারের ধরণ, মাত্রা, এবং রোগের পর্যায় ভিত্তিক নির্বাচিত হয়। এর অন্তর্ভুক্তির পদ্ধতি হিসেবে রোগীর দেহে ইনজেকশান, ওরাল পিল, টপিক্যাল ক্রিম বা আঞ্চলিক পদ্ধতিতে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। প্রতিটি পদ্ধতির আলাদা কার্যকারিতা এবং ধরণ রোগীর চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কেমোথেরাপির উদ্দেশ্য

কেমোথেরাপির প্রধান উদ্দেশ্য ক্যান্সারের টিউমারগুলি সঙ্কুচিত করা এবং ক্যান্সার কোষগুলির বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা। এই উদ্দেশ্য পূরণে বিভিন্ন ধরনের থেরাপি এবং কৌশল প্রয়োগ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে নিও-অ্যাডজুভেন্ট থেরাপি

কেমোথেরাপির মৌলিক উদ্দেশ্য

মৌলিকভাবে, কেমোথেরাপির লক্ষ্য হল ক্যান্সার কোষগুলি ধ্বংস করা, যা অন্যান্য চিকিৎসার পূর্বে বা পরে দেওয়া হয়। এই থেরাপি ক্যান্সারের কোষগুলির বিভাজন ও বৃদ্ধি ব্লক করে দেয়, যাতে তাদের বৃদ্ধি বন্ধ হয় এবং কোষগুলি মৃত্যুবরণ করে।

রোগের স্তরের উপর ভিত্তি করে উদ্দেশ্য

কেমোথেরাপি বিভিন্ন ক্যান্সারের স্তর ভেদে বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। প্রাথমিক স্তরে, এটি টিউমারগুলিকে টিউমার সঙ্কুচিত করা এবং পরবর্তী সার্জারি বা রেডিয়েশনের জন্য প্রস্তুত করে। অ্যাডভান্সড স্তরে, এটি ক্যান্সারের প্রসার ও বৃদ্ধি আটকানোর লক্ষ্যে অধিক তীব্রভাবে প্রয়োগ করা হয়।

কেমোথেরাপির প্রকারভেদ

কেমোথেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসা বিভিন্ন প্রকারভেদ অনুযায়ী পরিচালিত হয়, যা রোগের ধরন এবং রোগীর শারীরিক অবস্থান অনুসারে নির্ধারিত হয়। এই প্রকারভেদগুলির মধ্যে প্রধান দুটি হল সিস্টেমিক কেমোথেরাপি ও স্থানীয় কেমোথেরাপি।

সিস্টেমিক কেমোথেরাপি

সিস্টেমিক কেমোথেরাপির ক্ষেত্রে, চিকিৎসা সাধারণত তরল বা স্যালাইনের সাথে চিকিৎসা পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই পদ্ধতিতে ওষুধ রক্তনালী বা মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এবং সমগ্র শরীরে ক্যান্সার কোষগুলোকে লক্ষ্য করে।

স্থানীয় কেমোথেরাপি

অন্যদিকে, স্থানীয় কেমোথেরাপি হল যেখানে চিকিৎসা শুধুমাত্র ক্যান্সারে আক্রান্ত বিশেষ কিছু অংশে প্রযোজ্য হয়। এই পদ্ধতিতে ওষুধ সরাসরি টিউমারের উপর বা তার আশপাশের টিস্যুতে প্রয়োগ করা হয়, যাতে ক্ষতিগ্রস্থ অংশগুলিতে প্রভাব ফেলা যায় এবং সুস্থ টিস্যুগুলিকে সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায়।

প্রতিটি চিকিৎসা পদ্ধতির তার নিজস্ব প্রয়োগ ও ফলাফল রয়েছে যা রোগীর চিকিৎসার উদ্দেশ্য ও শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। তরল বা স্যালাইনের সাথে চিকিৎসা, সিস্টেমিক কেমোথেরাপি, এবং স্থানীয় কেমোথেরাপির মাধ্যমে প্রাপ্ত সুবিধা ও সীমাবদ্ধতাগুলি বিবেচনা করে চিকিৎসা পরিকল্পনা করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ভিটামিন সি এর কার্যকারিতা - স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

কেমোথেরাপির প্রক্রিয়া

কেমোথেরাপি প্রক্রিয়া রোগীর চিকিৎসার পদ্ধতি অনুযায়ী পরিচালিত হয়, যা ক্যান্সারের প্রকার এবং রোগের পর্যায় অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি তিনটি প্রধান ধাপে বিভক্ত: চিকিৎসার প্রস্তুতি, কেমোথেরাপির পরিচালনা এবং চিকিৎসার দৈর্ঘ্য।

চিকিৎসার প্রস্তুতি

চিকিৎসার প্রস্তুতি পর্বে রোগীকে কেমোথেরাপির জন্য শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত করা হয়। এটি বিভিন্ন চিকিৎসার পদ্ধতি অনুসরণ করে, যেমন নির্দিষ্ট ওষুধের ডোজ ঠিক করা, শারীরিক পরীক্ষা, এবং পরামর্শ। রোগীকে কেমোথেরাপির ক্রিয়াকলাপ এবং সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসমূহ সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

কেমোথেরাপির পরিচালনা

কেমোথেরাপির পরিচালনা পর্বে, রোগীকে আনুষঙ্গিক ঔষধ প্রয়োগ করা হয়, যা মুখে অথবা শিরায় ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হতে পারে। চিকিৎসার পদ্ধতি অনুসারে, ঔষধের ডোজ এবং উপায় নির্বাচন করা হয়, এবং রোগীর প্রতিরক্ষা সিস্টেমের মান অনুযায়ী তা পরিচালনা করা হয়।

  • চিকিৎসা অব্যাহত হওয়াকালীন নিয়মিত মনিটরিং
  • পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিরীক্ষণ এবং প্রতিকারের পদ্ধতি

চিকিৎসার সময়কাল

চিকিৎসার সময়কাল পর্যন্ত রোগীর প্রতিক্রিয়া এবং চিকিৎসার ফলাফল অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এই দৈর্ঘ্য কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত হতে পারে, যা কেমোথেরাপি প্রক্রিয়া এবং রোগীর শারীরিক অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

সাধারণত, চিকিৎসার দৈর্ঘ্য বিভিন্ন চিকিৎসার পরিমাণ এবং চিকিৎসার প্রকার অনুযায়ী নির্ধারিত হয়, যেমন নিয়োআজুভ্যান্ট, ইনডাকশন, অথবা অ্যাডজুভ্যান্ট থেরাপি। প্রতি সেশন বা সাইকেলের মাঝে যথারীতি বিরতি নিশ্চিত করা হয়, যা রোগীর দেহকে পুনরুদ্ধারের সময় দেয়।

কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কেমোথেরাপি ক্যান্সারের চিকিৎসার একটি প্রধান উপায় হলেও, এর সাথে কিছু চিকিৎসা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও জড়িত থাকে যা রোগীর জীবনযাত্রা ও মানসিক অবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে।

সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী কী?

  • বমি ও মাথা ঘোরা
  • চুল পড়ে যাওয়া
  • অত্যধিক ক্লান্তি
  • ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়া
  • ত্বকের পরিবর্তন, যেমন র‌্যাশ বা শুষ্কতা
  • কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্যান্য হজম সমস্যা

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তির উপায়

কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রতিকার খুঁজতে গিয়ে মৌলিকভাবে চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুসরণ করা উচিত। নিচে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ তুলে ধরা হল:

  1. ডাক্তার কর্তৃক প্রদত্ত ওষুধ নিয়মিত গ্রহণ করা।
  2. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে হালকা ও সুপাচ্য খাবার গ্রহণ।
  3. যথেষ্ট বিশ্রাম নিশ্চিত করা এবং মানসিক চাপ কমানো।
  4. শারীরিক কসরত যেমন হালকা হাঁটা বা যোগা অনুশীলন।
  5. চিকিৎসা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রবণতা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ।
আরও পড়ুনঃ  হারপিস সোর দ্রুত নিরাময় করার উপায়

যদিও এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো অনেক ক্ষেত্রে অস্থায়ী, তবুও যদি তারা গুরুতর আকার ধারণ করে, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্যবান জীবনযাত্রা এবং উচিত চিকিৎসা পরামর্শের মাধ্যমে কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রভাব কমানো সম্ভব।

কেমোথেরাপি এবং অন্যান্য চিকিৎসার সাথে সমন্বয়

ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি সংমিশ্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি প্রায়শই সার্জারি এবং বিকল্প চিকিৎসা মেথডগুলির সাথে মিলিত হয়ে চিকিৎসা পদ্ধতির দক্ষতা বৃদ্ধি করে। এই ধরনের সমন্বিত চিকিৎসাবিধি ক্যান্সারের টিউমর সঙ্কোচন এবং মোট চিকিৎসা প্রক্রিয়ার উন্নতি লাভে সহায়ক।

বিকল্প চিকিৎসা

বেশ কিছু বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি, এবং ন্যাচারোপ্যাথি কেমোথেরাপির সাথে মিলিত হয়ে রোগীদের সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নতি এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হ্রাসে সাহায্য করতে পারে। এই ধরনের বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি মানসিক শান্তি বৃদ্ধি এবং শারীরিক সংগঠনের উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম।

সার্জারি এবং কেমোথেরাপি

সার্জারি প্রায়ই কেমোথেরাপির পূর্বে অথবা পরে পরিচালিত হয়, যা টিউমারকে হ্রাস করার লক্ষ্যে নিও-অ্যাডজুভেন্ট অথবা অ্যাডজুভেন্ট থেরাপির অংশ হিসেবে কার্যকরী হতে পারে। এই পদ্ধতি টিউমারের আকার কমিয়ে সার্জারির জটিলতা এবং ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে, এবং সর্বোপরি রোগীর পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।

কেমোথেরাপির পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্বাচন

ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি একটি প্রধান এবং কার্যকরী উপায়। যখন একজন রোগীর জন্য কেমোথেরাপি নির্বাচনের বিষয় আসে, চিকিৎসকের পরামর্শ এবং চিকিৎসা মূল্যায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, রোগের ধরন এবং রোগীর সামগ্রিক অবস্থা—যেমন বয়স ও স্বাস্থ্য, এসকল দিক চিন্তা করে চিকিৎসার পদ্ধতি নির্বাচন করা হয়।

কেমোথেরাপি নির্ধারণের জন্য শর্ত

কেমোথেরাপি শুরু করার আগে রোগীদের জীবনযাপন, পুনরুদ্ধার এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হয়। খাদ্যের গুণমান, চিকিৎসার জন্য সময় এবং রোগীর সামাজিক সমস্যাগুলি প্রাধান্য পান। এই মূল্যায়ন নিশ্চিত করে যে রোগীদের একজন সঠিক এবং কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি পেতে যাচ্ছেন।

চিকিৎসকের ভূমিকা

চিকিৎসকরা কেমোথেরাপির দক্ষতা এবং বিষয়ের গভীর জ্ঞান ব্যবহার করে রোগীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তাদের সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদানে সাহায্য করেন। উপশমকারী কেমোথেরাপি থেকে প্রধান চিকিৎসা পর্যন্ত, চিকিৎসকের পরামর্শ সারা চিকিৎসা প্রক্রিয়ার এক মারাত্মক অংশ। তাঁরা অনুসন্ধান এবং নির্বাচন করেন যে চিকিৎসা পদ্ধতি রোগীর জন্য সেরা হবে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button