ভ্যাট কি?

ব্যবসার প্রস্থান থেকে চূড়ান্ত ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে যোগ হওয়া মূল্যের উপর আরোপিত এক ধরনের অপ্রত্যক্ষ কর হিসেবে পরিচিত হলো মূল্য সংযোজন কর বা VAT। মূলধনী যোগ নীতির আওতায় এই কর ব্যবহারের গভীর প্রসার রয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, যা গ্রাহকদের ক্রয় বিষয়ক সতর্কতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপীভাবে ব্যবসা ও সেবা সম্পর্কিত রাজস্ব সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে, উল্লেখিত মূল্য সংযোজন কর বা মূসক ব্যবস্থা ১৯৮৮ সালে চালু হয়ে, অর্থনীতিতে এর স্থায়িত্ব এবং গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমান অর্থনীতির রূপরেখায়, বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় প্রয়োজনীয় VAT হার নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশে প্রচলিত মূল্য সংযোজন করের হার স্থির করা হয়েছে ১৫% যা কিছু বিশেষ পণ্য বা পরিষেবা বাদে সকলের উপরই প্রযোজ্য। এমনকি, কিছু পণ্যে ৬% এবং বিশেষ অতিরিক্ত পণ্যে ৭% হারে ভ্যাট আরোপিত হয়। নিবন্ধনের লক্ষ্যে অনুমোদন প্রাপ্ত স্বাক্ষরকারী, আমদানি নিবন্ধন সার্টিফিকেট (IRC) এবং রপ্তানি নিবন্ধন সার্টিফিকেট (ERC) সহ বিভিন্ন নথিপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে। এই কর ব্যবস্থা শুধু রাজস্ব সংগ্রহেই নয়, বরং সরকার ও ব্যবসায়ী উভয়ের জন্য আর্থিক স্বচ্ছতা ও সুশাসন বৃদ্ধিতে সহায়ক।

ভ্যাটের সংজ্ঞা ও কার্যপদ্ধতি

ভ্যাট, যা মূল্য সংযোজন কর হিসেবে পরিচিত, একটি জনপ্রিয় কর পদ্ধতি যা বিভিন্ন ধাপের করযোগ্য পণ্য এবং সেবা-র উপর করের বোঝা নির্ধারণ করে। এই কর প্রণালীতে, পণ্য বা সেবা বিক্রেতা প্রাপ্ত বিক্রয়ের উপর ইনভয়েসের মাধ্যমে কর সংগ্রহ এবং পরে সরকারের কাছে জমা দেন।

ভ্যাট কীভাবে কাজ করে?

ভ্যাটের কার্যপদ্ধতি বুঝতে গেলে প্রথমে জানতে হবে যে এটি একটি বহুস্তরীয় কর প্রক্রিয়া যেখানে মূল্য সংযোজন প্রত্যেক উৎপাদন ও বিপণন ধাপে হিসাব করা হয়। প্রত্যেক বিক্রেতা বা সেবা প্রদানকারী বিক্রি হওয়া পণ্য অথবা সেবার উপর এক হার বিশিষ্ট ভ্যাট আরোপ করে, যা পরবর্তী ক্রেতার কাছে পাস করা হয়। এর ফলে উপভোক্তারা সবচেয়ে শেষের ধাপে মোট করের বোঝা বহন করেন।

ভ্যাটের প্রকারভেদ

  • সাধারণ ভ্যাট: এটি প্রায় সব পণ্য ও সেবায় সমান হারে প্রযোজ্য হয়।
  • পর্যায়ক্রমিক রেজিম: কিছু বিশেষ পণ্য যেমন লাক্সারি আইটেমগুলিতে ভিন্ন হার প্রযোজ্য হতে পারে।
  • শূন্য হার বিশিষ্ট ভ্যাট: কোনো কোনো সেবা, যেমন রপ্তানি পণ্য ও অন্তর্জাতিক পরিষেবা, যেগুলির উপর কোনো ভ্যাট আরোপিত হয় না।
  • কম হার বিশিষ্ট ভ্যাট: অনেক সময় খাদ্যপণ্য, ঔষধ প্রভৃতির মতো জীবনযাত্রায় অপরিহার্য পণ্য ও সেবাগুলির উপর কম হারে ভ্যাট আরোপিত হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ  বিপণন কাকে বলে?

সারাংশে, ভ্যাটের কাঠামো ও তার প্রযোজ্যতা বিবেচনায় নেওয়া অত্যন্ত জরুরি, যাতে করে করের সঠিক হার এবং কোন কোন ধাপে এটি প্রযোজ্য তা সুনিশ্চিত করা যায়। এতে করে করের বোঝা সমতল থাকে, এবং ব্যবসায় ও গ্রাহকদের উপর অহেতুক অর্থনৈতিক চাপ কমানো সম্ভব হয়।

ভ্যাটের ইতিহাস

বিশ্বের ইতিহাসে ভ্যাটের সর্বপ্রথম চালু হয় জার্মানিতে, ১৯২২ সালে। এরপর পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশ যেমন জাপান, ফ্রান্স এবং বিশেষ করে ১৯৫৩ সালে আর্জেন্টিনা এই কর প্রণালী গ্রহণ করে।

ভ্যাটের উৎপত্তি

বিশ শতাব্দীতে জার্মানি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশসমূহ ভ্যাট প্রথার সূচনা করে যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী ভ্যাট হিসেবে প্রসারিত হয়। এই কর ব্যবস্থা সরকারের রাজস্ব আয়ে অবদান রাখে এবং বাণিজ্যিক সঠিকতাকে উন্নত করে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভ্যাট ব্যবস্থা

  • আর্জেন্টিনাজাপানের মত দেশগুলিতে ভ্যাট ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে ১৯৫০ এবং ১৯৬০ দশকে চালু হয়।

  • দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশসমূহ, যেমন চীন এবং ভারত, এগুলি ভ্যাট প্রথা চালু করে জাতীয় রাজস্ব বৃদ্ধির পথ অনুসরণ করেছে।

  • ইংল্যান্ড এবং কানাডার মত উন্নত দেশগুলিও ভ্যাট ব্যবস্থা মোকাবিলা করে তাদের অর্থনীতির সুষ্ঠু প্রসার নিশ্চিত করেছে।

ভ্যাট ব্যবস্থা দেশে দেশে বৈচিত্র্যময় হলেও এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য একই থেকে গেছে, যা হলো অর্থনৈতিক ট্রান্সপারেন্সি বাড়ানো এবং সরকারী রাজস্ব আয়ের উন্নতি ঘটানো।

ভ্যাটের উপকারিতা

মূল্য বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়ের হিসাব নিয়ে যখন কথা উঠে, তখন ভ্যাট একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এটি না শুধু রাজস্ব সংগ্রহে সহায়তা করে, বরং এটি অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখে। এই ধারণা ভিত্তিক করের পদ্ধতি সরকারি আয় বৃদ্ধির একটি প্রধান উৎস হিসেবে অবদান রাখে।

ব্যবসায়ীদের জন্য ভ্যাটের সুবিধা

  • প্রভাবশালী মূল্য নির্ধারণ: ব্যবসায়ীরা পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করার সময় ভ্যাট যোগ করে থাকেন, যা তাদের আর্থিক সমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
  • স্বচ্ছ হিসাব পদ্ধতি: ভ্যাট সিস্টেম ভিত্তিক ব্যবসায়ের হিসাব রাখা সহজ এবং স্বচ্ছ হয়, যা কর ফাঁকি দেওয়া এবং অর্থনৈতিক অনিয়ম হ্রাস করতে সাহায্য করে।
  • করের বোঝা হ্রাস: ব্যবসায়ের উপর করের বোঝা সমন্বয়ের মাধ্যমে ভ্যাট করের সমন্বয় করা হয়, যা অনেক সময় কর পরিশোধে সাশ্রয় ঘটায়।

সরকারের জন্য ভ্যাটের সুবিধা

  • নিরবচ্ছিন্ন রাজস্ব সংগ্রহ: ভ্যাট সরকারের জন্য নিয়মিত এবং স্থিতিশীল রাজস্ব সংগ্রহের একটি উৎস হিসেবে কাজ করে, যা দেশের বাজেট পূরণে এবং সরকারি পরিকল্পনাগুলির অর্থায়নে সহায়তা করে।
  • অর্থনৈতিক সামগ্রিকতা বৃদ্ধি: স্থায়ী সরকারি আয়ের মাধ্যমে ভ্যাট অর্থনীতির সামগ্রিকতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবদান রাখে, যা নাগরিক সেবা এবং বিকাশের জন্য পুনরায় বিনিয়োগ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ  অর্থনৈতিক উন্নয়ন কি?

ভ্যাট নিবন্ধন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে কর্মরত ব্যবসায়ীদের জন্য ভ্যাট নিবন্ধন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া কীভাবে সাজানো হয় এবং কি কি আবশ্যক নথি প্রয়োজন হতে পারে তা জানা জরুরি।

নিবন্ধনের জন্য কি কি প্রয়োজন?

ভ্যাট নিবন্ধনের জন্য মূলত ব্যবসায়িক তথ্য এবং নির্দিষ্ট কিছু আবশ্যক নথির প্রয়োজন হয়। নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি নিশ্চিত করা উচিত:

  • প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা
  • মালিকানার বিবরণ ও অংশীদারদের জানানোর তথ্য
  • ব্যাংক হিসাবের বিবরণ
  • নির্বাচিত কর অফিসের নির্দেশনা

উপরোক্ত তথ্যাদির পাশাপাশি, অনলাইন নিবন্ধনের পদ্ধতি অনুসারে নিবন্ধন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।

নিবন্ধনের পদ্ধতি

ভ্যাট নিবন্ধনের জন্য দুটি প্রধান পদ্ধতি রয়েছে—অনলাইন নিবন্ধন এবং কর অফিসে গমন। প্রত্যেক পদ্ধতির বিবরণ নিম্নরূপ:

  1. অনলাইন নিবন্ধন: ব্যবসায়ীদের উচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন পোর্টালে লগ-ইন করে নিবন্ধন ফরম পূরণ করা। এই প্রক্রিয়া গৃহীত ভ্যাট আইন মোতাবেক হয়।
  2. কর অফিসে গমন: যারা অনলাইন পদ্ধতিতে সক্ষম নন তারা সরাসরি কর অফিসে গিয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

উল্লিখিত দুটি পদ্ধতির যে কোনো একটি অনুসরণ করে ভ্যাট নিবন্ধন সম্পন্ন করা যায়। নিবন্ধন সম্পন্ন করার পর, কর অফিস থেকে ভ্যাট নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এই সার্টিফিকেট সকল আর্থিক লেনদেন এবং ব্যবসায়িক চালানের জন্য অবশ্যকীয়।

ভ্যাটের হার

ব্যাপক বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন দেশের ভ্যাট এর হার বিশ্বজুড়ে প্রচলিত মূসক হার এবং কর সিস্টেমের একটি আসাধারণ উদাহরণ দেয়। বাংলাদেশ মূসক প্রণালি এতে তার স্বকীয়তা মেলে ধরে।

বিভিন্ন দেশের ভ্যাট হার

  • ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে প্রায়শই ২০% থেকে ২৫% পর্যন্ত ভ্যাটের হার দেখা যায়।
  • জাপানের কর সিস্টেমে মূসক হার হল ১০%।
  • কানাডায় প্রদেয় ভ্যাট যা GST নামে পরিচিত, যার হার প্রায় ৫%।

বাংলাদেশে ভ্যাটের হার

বাংলাদেশের মূসক হার এবং করের সিস্টেম একটি জটিল গঠন প্রদর্শন করে। নিচে আইন অনুযায়ী নির্ধারিত কিছু বিশেষ খাতের ভ্যাট হারের একটি তালিকা দেওয়া হল:

  1. হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে এসি ব্যবহারকারী হোটেল ১৫% এবং রেস্টুরেন্ট ১০%।
  2. নির্মাণ খাতের জন্য ৭.৫% ভ্যাটের হার প্রযোজ্য।
  3. বীমা সংস্থাগুলি ব্যতিত বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে, ভ্যাট হার ১৫%।
  4. শিক্ষামূলক পরিষেবায় যেমন ইংরেজি মাধ্যম স্কুল জন্য ভ্যাটের হার ৫%।

বিভিন্ন রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রগুলোয় এই ভ্যাটের হার স্পষ্টভাবে প্রদর্শিত হয়, যা সরকারের করের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট আর্থিক বছরের বাজেটের পরিবর্তনশীলতা দর্শায়।

আরও পড়ুনঃ  বসুন্ধরা গ্রুপ

ভ্যাট আদায়ের প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে ভ্যাট সংগ্রহ একটি জটিল কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম, যা প্রধানত রাজস্ব বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে সরকারের আর্থিক প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং জনকল্যাণে ব্যয়িত হয়।

ভ্যাট কিভাবে সংগ্রহ করা হয়?

ভ্যাট সংগ্রহের প্রক্রিয়া বিভিন্ন ধাপে বিভক্ত। প্রথমে, ব্যবসায়ীদের নিবন্ধন করতে হয়, এরপর তারা তাদের বিক্রয় থেকে আদায় করা ভ্যাট সরকারের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমা দেয়। সকল বিক্রয় ও ক্রয়ের উপর থেকে ভ্যাট কাটা হয়, এবং এই সকল লেনদেনের হিসেব রাখা হয়।

ভ্যাট ফেরত প্রক্রিয়া

যদি কোনো ব্যবসায়ী প্রাপ্যের অধিক ভ্যাট ফেরত প্রদান করে থাকেন, তবে রিফান্ড পলিসি অনুসারে তারা অর্থ প্রত্যাবর্তন দাবি করতে পারেন। এ জন্য তাদের নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিতে হয়। পরবর্তীতে, দাখিল করা হিসাবের যাচাই-বাছাই করা হয় এবং সঠিক প্রমাণিত হলে ভ্যাট ফেরতের অর্থ ব্যবসায়ীর নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হয়।

  1. ভ্যাট নিবন্ধন সম্পন্ন করা।
  2. বিক্রয় ও ক্রয়ের উপর থেকে ভ্যাট কেটে সরকারে জমা দেওয়া।
  3. নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণপূর্বক ভ্যাট ফেরত দাবি করা।

এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে মেনে চলা হলে, ব্যবসায়ীদের জন্য অন্যান্য সুবিধা সহজেই প্রাপ্ত হবে এবং ভ্যাটের সঠিক ব্যবস্থাপনা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

ভ্যাটকে কীভাবে হিসাব করবেন

ব্যবসা ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে ভ্যাট ক্যালকুলেশন। সঠিক হিসাব পদ্ধতিকর গণনা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয়। আমাদের এই ধারার পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট হিসেবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে।

ভ্যাট হিসাব করার পদ্ধতি

বাংলাদেশে ভ্যাটের প্রমাণিত হার ১৫%। কিন্তু সব পণ্য বা সেবায় একই হার প্রযোজ্য নয়, কারণ কিছু পণ্য এবং সেবা ভ্যাট মুক্ত। ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত লেনদেনে, ভ্যাট চালানে সুনির্দিষ্ট করা থাকে। যদি মূল্যে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত না থাকে তবে, ফর্মুলা হলো: (দাম x ১৫%) / ১০০। সঠিক ভ্যাট হিসাবের জন্য, প্রয়োগকৃত হারের ভিত্তিতে মোট বিল মূল্যের উপর ভ্যাট গণনার পদ্ধতি অত্যন্ত জরুরী।

উদাহরণসহ বিশ্লেষণ

ধরুন, একটি পণ্যের মূল্য যদি ১০০০ টাকা হয় এবং ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত না থাকে, তবে ভ্যাটের পরিমাণ হবে: (১০০০ টাকা x ১৫%) / ১০০ = ১৫০ টাকা। সুতরাং, গ্রাহকের মোট প্রদেয় অর্থ হলো ১১৫০ টাকা। অপরদিকে, ভ্যাট-অন্তর্ভুক্ত লেনদেনে, চুক্তির মোট মূল্য থেকে ভ্যাট বের করার জন্য ব্যবহৃত ফর্মুলা হলো: ভি = সিআই * ভি / ১০০ অথবা ভি = সিটি * ভি / (১০০ + ভি)। এই সব পদ্ধতির সঠিক ব্যবহার আপনাকে সঠিক ভ্যাট হিসাব এবং ট্যাক্স নির্ধারণে সহায়তা করবে।

এ ধরনের আরো আর্টিকেল

Back to top button